বৃহস্পতিবার, ২৮ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০, ১৭ রমজান ১৪৪৫ হিজরী

আন্তর্জাতিক সংবাদ

পুষ্টি চাহিদা মেটাতে পারে তেলাপোকার চাষ

ইনকিলাব ডেস্ক | প্রকাশের সময় : ১৮ মে, ২০২২, ১২:০৪ এএম

আফ্রিকার তানজানিয়ার এক কাঠমিস্ত্রী লুসিয়াস ভিন্ন এক চাষের চ্যালেঞ্জ নিয়েছিলেন। আর সেটা হলো তেলাপোকা চাষ। চীন এবং বিশ্বের আরো কয়েকটি দেশ তার চাষ করা তেলাপোকা আমদানি করে। বিশ্ববাজারে লুসিয়াসের চাষ করা তেলাপোকার জনপ্রিয়তা বাড়লেও তার স¤প্রদায়ের অনেক মানুষ এখনো এটা সহজভাবে নিতে পারছে না। কাঠমিস্ত্রী হলেও একটি পেশার ওপর ভরসা করে থাকেননি লুসিয়াস। তেলাপোকা বিক্রি করে ভালো অর্থ উপার্জন করেন তিনি। প্রথমে নিজের পোষা প্রাণীদের খাওয়াতে তেলাপোকা চাষ শুরু করেন। চীনের বাজারে তেলাপোকার চাহিদা থাকায় তিনি বাণিজ্যিকভাবে চাষ শুরু করেন। অন্তত ৭০ প্রজাতির তেলাপোকা রয়েছে। যেগুলোর বেশিরভাগই দেখা যায় শৌচাগার বা টয়লেটে। বাড়ির বিভিন্ন স্থানে এবং জঙ্গলে দেখা যায় কয়েক প্রজাতির তেলাপোকা। তবে কিছু তেলাপোকা রয়েছে, যেগুলো মানুষের জন্য ক্ষতিকর নয়। সেসব তেলাপোকায় রয়েছে প্রোটিন; যা মানবদেহে প্রোটিনের অভাব দূর করে। লুসিয়াস বলেন, আমি যখন তেলাপোকা চাষ শুরু করি, মানুষ ভাবছিল- আমি পাগলামি করছি। খুব কম বিনিয়োগেই চাষ শুরু করেছিলেন তিনি। তিনি বলেন, তিনদিন পরপর খাবার দিলেই চলে। আলুর সঙ্গে কমলা মিশিয়ে কিংবা কমলার সঙ্গে ক্যাসাভা মিশিয়ে খাবার দেন। একটি তেলাপোকার ডিম থেকে ৩০-৫০টি বাচ্চা বের হয়। মানুষ আসলে ভাবতেও পারে না যে, কেউ তেলাপোকা চাষ শুরু করতে পারে। এর আগে এরকম চেষ্টা কেউ করেনি। স্থানীয় বাসিন্দা জোসেফ এমগিম্বা বলেন, মানুষ এখনো ভাবে যে- তেলাপোকা খাওয়া খুব অদ্ভ‚ত বিষয়। আমিও তেলাপোকা খেতে পারি না। আমি কখনোই এটা খাইনি। কাউকে এটা খেতেও দেখিনি। হয়তো বাইরের দেশের মানুষ খায়। যদি দেখি আমার সহকর্মীরা এটা খাচ্ছে, তাহলে হয়তো আমিও খাবো। পুষ্টিবিদরা বলছেন, তেলাপোকা সাধারণত নোংরা স্থানে থাকে। সে কারণে এগুলো দেখলেই মানুষ তা মেরে ফেলার চেষ্টা করে। তবে ভালো পরিবেশে রাখা গেলে এসব তেলাপোকায় ক্ষতি নেই। এগুলো পুষ্টির চাহিদা মেটাতে পারে। বিবিসি।

 

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন