শনিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৪, ০৭ বৈশাখ ১৪৩১, ১০ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

ব্যবসা বাণিজ্য

বৈদেশিক মুদ্রা নগদায়নে গ্রাহকের সম্মতি লাগবে

স্টাফ রিপোর্টার | প্রকাশের সময় : ১৮ মে, ২০২২, ১২:০১ এএম

পণ্যের পাশাপাশি সেবা রফতানির বিপরীতে আয়ের একটি অংশ ইআরকিউ হিসাবে সংরক্ষণ করতে পারেন গ্রাহক। এখন ডলারের বাড়তি চাহিদার কারণে অনেক ব্যাংক গ্রাহককে না জানিয়েই এ অর্থ টাকায় রূপান্তর করছে। এমন প্রেক্ষাপটে এখন থেকে গ্রাহকের সম্মতি ছাড়া বৈদেশিক মুদ্রা নগদায়ন না করার নির্দেশ দিয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক। গত সোমবার এ সংক্রান্ত একটি নির্দেশনা সব ব্যাংকে পাঠানো হয়। সংশ্লিষ্টরা জানান, তথ্য প্রযুক্তি (আইসিটি) খাত, পেশাদার বা গবেষণা, অ্যাডভাইজারি ইত্যাদি সেবা রফতানির ক্ষেত্রে বৈদেশিক মুদ্রা আয় এক্সপোর্টারস রিটেনশন কোটা (ইআরকিউ) হিসাবে সংরক্ষণ করতে পারেন গ্রাহক। বর্তমানে আইটি সেবা খাতের আয়ের ৭০ শতাংশ এবং অন্যান্য সেবাখাতে ৬০ শতাংশ বৈদেশিক মুদ্রায় নিজ হিসাবে সংরক্ষণ করা যায়। ইআরকিউ হিসাবে রাখা বৈদেশিক মুদ্রা বাংলাদেশ ব্যাংকের প‚র্বানুমতি ছাড়াই গ্রাহক তারা প্রয়োজন অনুযায়ী বিদেশে পাঠাতে পারেন। তবে ব্যাংকগুলো অনেক ক্ষেত্রে এ সুবিধা দিতে অনীহা দেখায়।
বাংলাদেশ ব্যাংকের সার্কুলারে বলা হয়েছে, বিদেশ থেকে পাওয়া আয় বৈদেশিক মুদ্রায় সংরক্ষণের ব্যবস্থার বিষয়টি গ্রাহককে অবহিত করতে হবে। গ্রাহকের সম্মতি ছাড়া তাৎক্ষনিকভাবে পাওয়া বৈদেশিক মুদ্রা টাকায় নগদায়ন করা যাবে না। অপর এক সার্কুলারের মাধ্যমে প্রবাসীদের সঙ্গে করে অর্থ আনা, তাদের নামে হিসাব খোলা ও পরিচালনার সুযোগ সুবিধা অবহিত করা হয়েছে। ওই সার্কুলারের সঙ্গে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের একটি বিজ্ঞপ্তি সংযুক্ত করা হয়।
তাতে বলা হয়েছে, একজন প্রবাসী বৈদেশিক মুদ্রায় হিসাব খুলতে পারেন। বিদেশ থেকে আসার সময় যে কোনো পরিমাণ অর্থ সঙ্গে আনতে পারেন। বৈদেশিক মুদ্রার পরিমাণ ১০ হাজার ডলার বা এর কম হলে শুল্ক কর্তৃপক্ষের কাছে ঘোষণার প্রয়োজন নেই। আবার এসব হিসাবের স্থিতি অবাধে টাকায় নগদায়ন করা যায়। বিদেশ থেকে আসা প্রবাসী বাইরে যাওয়ার সময় এই হিসাব থেকে ৫ হাজার ডলার নোট আকারে এবং প্রয়োজন অনুযায়ী অন্য বৈদেশিক মুদ্রা সঙ্গে নিতে পারেন।

 

 

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন