শুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০, ১৮ রমজান ১৪৪৫ হিজরী

সারা বাংলার খবর

আসন্ন জাতীয় বাজেট বিষয়ে আইসিএমএবি’র আলোচনা

স্টাফ রিপোর্টার | প্রকাশের সময় : ১৮ মে, ২০২২, ৬:৩৭ পিএম

২০২২-২৩ অর্থবছরের জাতীয় বাজেটের ওপর প্রাক বাজেট গোলটেবিল বৈঠক ইনস্টিটিউট অব কস্ট অ্যান্ড ম্যানেজমেন্ট অ্যাকাউন্ট্যান্টস অব বাংলাদেশ (আই সি এম এ বি) এর উদ্যোগে গতকাল মঙ্গলবার (১৭মে, ২০২২) সন্ধ্যায় আইসিএমএবি রুহুল কুদ্দুছ অডিটরিয়াম, নীলক্ষেত ঢাকায় অনুষ্ঠিত হয়।

পরিকল্পনা মন্ত্রী এমএ মান্নান প্রধান অতিথি হিসেবে এবং মহাহিসাব নিরীক্ষক ও নিয়ন্ত্রক জনাব মোহাম্মদ মুসলিম চৌধুরী বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন। অগ্রণী ব্যাংক লিমিটিডের চেয়ারম্যান ড. জাহিদ বখত ও সেন্টার ফর পলিসি ডায়ালগ (সিপিডি) এর ফেলো অধ্যাপক মুস্তাফিজুর রহমান আলোচনায় অংশগ্রহণ করেন।

আইসিএমএবি’র প্রেসিডেন্ট মো. মামুনুর রশিদ এফসিএমএ এর সভাপতিত্বে স্বাগত বক্তব্য দেন সেমিনার ও কনফারেন্স কমিটির চেয়ারম্যান এ কে এম দেলোয়ার হোসেন এফসিএমএ। কাউন্সিল সদস্য আবু সাঈদ মোঃ শায়খুল ইসলাম এফসিএমএ এর সঞ্চালনায় বাজেটের উপর প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন লংকাবাংলা ফাইন্যান্স লিমিটেডের সিনিয়র এক্সিকিউটিভ ভাইস প্রেসিডেন্ট ও হেড অব অপারেশন এ.কে.এম. কামরুজ্জামান এফসিএমএ। অনুষ্ঠানের সমাপনী বক্তব্য দেন ভাইস প্রেসিডেন্ট মো. মনিরুল ইসলাম এফসিএমএ।

অনুষ্ঠানে বক্তারা বর্তমান বিশ্ব পরিস্থিতি বিবেচনায় আগামী অর্থবছরের বাজেটের করনীয় ও বর্জনীয় দিক তুলে ধরেন।

পরিকল্পনামন্ত্রী এম এ মান্নান বলেছেন, চলমান অর্থনৈতিক সমস্যা মোকাবিলায় বর্তমান সরকার অত্যন্ত আন্তরিক। আমি হাওর এলাকার সন্তান। আমি ছোটবেলায় দেখেছি হাওরের ঢেউ কত কঠিন হতে পারে। ঢেউ দেখে মাথা নষ্ট হয়ে যেত, কিন্তু হাল ছাড়িনি। আমাদের প্রান্তিক জনগণের প্রতি নজর আছে। বাজার অর্থনীতির শক্তির কারণে নিয়ন্ত্রণ করতে পারছি না। বাজার অর্থনীতির বাস্তবতা মেনে নিয়েই এর নিষ্ঠুরতা যত কমানো যায় তা নিয়ে কাজ করছি।

তিনি আরও বলেন, অর্থনৈতিক উন্নয়নের ক্ষেত্রে স্থিতিশীলতা এবং ধারাবাহিকতা খুব প্রয়োজন। আমরা কয়েকদিন আগেও মাহাথির মোহাম্মদের নাম শুনলে পাগল হয়ে যেতাম। তাকে আমাদের কাছে রোল মডেল হিসেবে ধরা হয়। কারণ তিনি ২২ বছর মালয়েশিয়াকে সাপোর্ট দিয়ে, সেবা করে উন্নয়ন করেছেন। শেখ হাসিনা তিনবারের মতো প্রধানমন্ত্রী হয়ে গেছেন যেন আর সহ্য হচ্ছে না অনেকের। মাহাথিরের ক্ষেত্রে ২২ বছর সহ্য হয়, কিন্তু শেখ হাসিনার বেলায় ১২ বছরেই উসখুস শুরু হয়ে গেছে।

মহাহিসাব নিরীক্ষক ও নিয়ন্ত্রক মোহাম্মদ মুসলিম চৌধুরী বলেন, বাজেট কোনো আয় ব্যয়ের শিট নয়। বর্তমানে বাজেট প্রণয়নে আগের চেয়ে অনেক বেশি স্বচ্ছতা এসেছে। জাতীয় বাজেট মোট অর্থনীতির চার ভাগের একটি অংশ মাত্র। এক্ষেত্রে লক্ষণীয় যে, টাকা আনলিমিটেড নয়। সরকারের টাকার লিমিটেশন আছে। আমাদের জিডিপির গড়ে ৩০ শতাংশ বিনিয়োগ করা হয়। এরমধ্যে ২৪ শতাংশ প্রাইভেট সেক্টর থেকে আসে, আর বাকি ৬ শতাংশ সরকারি বিনিয়োগ।

বক্তারা বিদেশি বিনিয়োগ বাড়ানোর জন্য প্রতিযোগি দেশগুলির সাথে সামঞ্জস্য রেখে কর্পোরেট ট্যাক্স কমানোর মতামত দেন। তারা বেসরকারি বিনিয়োাগকারীদের আস্থায় আনতে ধারাবাহিক কর নীতিরও দাবি জানিয়েছেন। ব্যক্তিগত করদাতাদের করের হার পুনর্গঠন করাও প্রয়োজন যাতে স্বল্প আয়ের জনগোষ্ঠি স্বস্তি পায়। আসন্ন বাজেটে আগামী বছরে অনুষ্ঠেয় সংসদ নির্বাচনকে যথাযথ গুরুত্ব দিতে হবে। সময় ও ব্যয়বৃদ্ধি এড়ানোর লক্ষ্যে ভবিষতে আয় আসবে যে উন্নয়ন প্রকল্পগুলি থেকে তা তাড়াতাড়ি সম্ভব সমাপ্ত করা উচিত। অদূর ভবিষ্যতে সরকারের জন্য যে প্রকল্পগুলি কোনও আয় করবে না সেই উন্নয়ন্ন প্রকল্পগুলি পিছিয়ে দেওয়ার পরামর্শ দিয়েছেন বক্তরা। ২০২২-২৩-এর বাজেট হবে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ বা সরকারের রাজস্ব আয়ের লক্ষ্যমাত্রা এবং মূল্যস্ফীতির ক্রমবর্ধমান প্রবণতার কঠিন বাস্ততার মধ্যে ভারসাম্যপূর্ণ।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন