নীলফামারীতে কালবৈশাখীর তাণ্ডবে ব্যাপক ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে জেলার কয়েকহাজার মানুষ। এই ঝড়ে শত শত হেক্টর ফসলি জমির ভুট্টা, বোরো ধান মাটির সঙ্গে মিশে গেছে। সেই সঙ্গে উড়ে গেছে শত শত টিনের ঘরের চালা।
পুরো জেলায় বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধ হয়ে আছে রাত থেকেই। বহু ঘরবাড়ির টিনের চাল উড়ে গেছে। আহত হওয়ার খবর পাওয়া গেছে বেশ কয়েকজনের। ঘরবাড়ি হারিয়ে অনেকেই স্থান নিয়েছে খোলা আকাশের নিচে।
বৃহস্পতিবার (১৯ মে) সকালে সরেজমিনে জেলার বিভিন্ন এলাকা ঘুরে দেখা গেছে, হটাৎ এই ঝড়ে জেলা শহরসহ বিভিন্ন স্থানে ভেঙে পড়ে আছে বড় বড় গাছ। ভেঙ্গে যাওয়া গাছ অপসারণের লোকের সঙ্কটও দেখা দিয়েছে।
জেলা ত্রাণ ও পুনর্বাসন কার্যলয়ের এই রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত দেওয়া তথ্যমতে, সদর উপজেলার পাঁচশত পরিবার, সৈয়দপুর ২৫০ ও কিশোরগঞ্জে ২৫০ পরিবার ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।
জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-সহকারী পরিচালক আবু বক্কর সিদ্দিক বলেন, ঘরে তোলার জন্য প্রস্তুত ফসলের জমিতে কয়েক দিনের বৃষ্টিতে বিভিন্ন এলাকায় পানি আটকে ছিল। আর গত রাতের ঝড়ে ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। তাৎক্ষণিক ফসলের ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ নির্ণয় করা যায়নি। তবে কৃষি বিভাগের লোকজন মাঠে গিয়ে ক্ষতির পরিমাণ নির্ণয়ে কাজ করছে।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন