বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১, ১৫ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

আন্তর্জাতিক সংবাদ

লাদাখ সীমান্তে ফের সেতু বানাচ্ছে চীন

ইনকিলাব ডেস্ক | প্রকাশের সময় : ২০ মে, ২০২২, ১২:০৩ এএম

লাদাখে ভারত-চীন সীমান্ত নিয়ে বিতর্ক দীর্ঘদিনের। মূলত পূর্ব সীমান্তে অরুণাচল ও পশ্চিম সীমান্তে লাদাখ নিয়ে ভারত ও চীনের একাধিকবার সংঘর্ষ হয়েছে। তবে এবার স্যাটেলাইট চিত্রে দেখা গেছে, সীমান্তের কাছে ফের তৎপরতা বাড়িয়েছে চীনা। সংবাদমাধ্যমে প্রকাশিত প্রতিবেদনে জানানো হয়েছে, প্যাংগং লেকের কাছে আবারো একটি সেতু তৈরির কাজ শুরু করেছে চীনের পিপলস লিবারেশন আর্মি (পিএলএ)। তবে আগেরটির চেয়ে এটি আরো বড়। বিশেষজ্ঞদের ধারণা, সেনাবাহিনীর ট্যাঙ্ক ও সাঁজোয়া যান পারাপারের জন্যেই মূলত সেতুটি তৈরি করা হচ্ছে। প্যাংগং লেকটি স্থলবেষ্টিত। প্রায় এক শ’ ৩৫ কিলোমিটারের লেকটির কিছু অংশ লাদাখে আর বাকিটা তিব্বতে। ২০২০ সালের মে মাস থেকে ভারত ও চীনা সৈন্যদের সংঘর্ষের সাক্ষী এ অঞ্চল। সেখানে চীনের নতুন সেতু তৈরির খবরে আবারো আতঙ্ক ছড়িয়েছে। যা নিয়ে সরগরম রাজনৈতিক মহলও। নতুন সেতু তৈরির ঘটনার কথা তুলে ধরে নরেন্দ্র মোদি সরকারের বিরুদ্ধে সমালোচনা করেছেন কংগ্রেস নেতা রণদীপ সিংহ সুরজেওয়ালা। তিনি টুইটার বার্তায় লিখেন, ‘প্যাংগং লেকের ওপর চীনের দ্বিতীয় সেতু তৈরি ‘জাতীয় নিরাপত্তার’ অমার্জনীয় লঙ্ঘন! চীনের এমন গুরুতর উস্কানির মুখে মোদি সরকারের নম্র আত্মসমর্পণ অত্যন্ত আতঙ্কের। কার্যত এটি শেষ পেরেক। প্রধানমন্ত্রী এবং বাকি মন্ত্রীরা কি এবার জাগবেন বা কিছু বলবেন?’ ওই লেক সংলগ্ন এলাকার যে অংশটি তাদের দখলে সেখানে এর আগেও একটি সেতু তৈরি করেছে চীন। ২০২১ সালের শেষের দিকে তা নির্মাণের কাজ শুরু হয়েছিল। যা শেষ হয়েছে গত এপ্রিল মাসে। উল্লেখ্য, প্রথম সেতুটির ঠিক পাশেই তৈরি হচ্ছে এই দ্বিতীয় সেতুটি। তবে দ্বিতীয়টি অনেক বেশি বড়। মনে করা হচ্ছে, বর্তমানে যে সেতুটি তৈরি করা হচ্ছে সেটির জন্য ক্রেন বা অন্যান্য নির্মাণ সরঞ্জাম আনা-নেয়ার কাজে ব্যবহার হতে পারে প্রথমটি। কয়েক সপ্তাহ আগেই দ্বিতীয় সেতু তৈরির কাজ শুরু করে চীন। বিভিন্ন রিপোর্ট থেকে এমনটাই জানা যাচ্ছে। নাম প্রকাশ না করার শর্তে প্রতিরক্ষা দফতরের সূত্র জানায়, মনে হয় সেনাদের ভারী ভারী সাঁজোয়া যান ভারতের সীমান্তের কাছে আনার জন্যেই এই দ্বিতীয় সেতুটি তৈরির সিদ্ধান্ত নিয়েছে চীন সরকার। পাশাপাশি ভারতীয় সেনা যদি প্যাংগং লেকের দক্ষিণে কোনো অভিযান চালায় তাহলে তা তড়িঘড়ি প্রতিহত করতে একাধিক রাস্তাও থাকবে বেজিংয়ের কাছে। অর্থাৎ শুধু বাহিনীর সদস্যদের পাঠাতেই নয়, অস্ত্রভর্তি সাঁজোয়া মজুত করার পথ প্রশস্ত করতেই এতটা তৎপরতা চীনের। লাদাখে ২০২০ সালের মে থেকে শুরু হওয়া ভারত-চীন সংঘর্ষের এটি তৃতীয় বছর। এবিপি।

 

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

এ সংক্রান্ত আরও খবর

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন