পঞ্চগড়ে বৃষ্টির পানিতে জমিতে বোরো ধান, টমেটো, বাদাম, মরিচ ও ভূট্টা ডুবে গেছে। ফসল ডুবে উৎপাদন কম ও কৃষকের লোকসানের আশঙ্কা করা হচ্ছে। বহু কষ্টের ফসল এভাবে বৃষ্টির পানিতে ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ায় মাথায় হাত পড়েছে কৃষকদের। যদিও ক্ষতির পরিমাণ নিরূপণে কাজ করছে কৃষি বিভাগ।
স্থানীয় কৃষকরা জানান, গত কয়েকদিনের ভারী বর্ষণে এ এলাকার ফসলি জমিতে ভয়াবহ পানিবদ্ধতা তৈরি হয়েছে। এতে ক্ষতির সম্মুখীন হয়েছেন শত শত কৃষক।
কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর সূত্রে জানা গেছে, চলতি মৌসুমে জেলায় ৮ হাজার ৫২৫ হেক্টর জমিতে বাদাম, ৩০ হাজার ৫০০ হেক্টর জমিতে বোরো ধান, আর টমেটোর আবাদ হয়েছে ৭৭২ হেক্টর জমিতে।
কৃষক সফিউল ইসলাম জানান, তার দুই বিঘা জমির টমেটো পানিবদ্ধতার কবলে। ফলন এবং দাম ভালো থাকলেও লাভের মুখ দেখা হবেনা তার। তিনি বলেন, দুই বিঘা ক্ষেত থেকে এখন পর্যন্ত ৪০ হাজার টাকার মত টমেটো বিক্রি করেছি। এখনো ক্ষেতে প্রচুর ফল রয়েছে, বৃষ্টির পানি না জমলে এবার এক থেকে দেড় লাখ টাকা পেতাম।
কৃষক ওয়ালিয়ার রহমান বলেন, বৃষ্টির পানি কৃষকদের ব্যাপক ক্ষতি করেছে। দুই বিঘা জমিতে বাদাম করেছি, এখনো পরিপক্ক হয়নি। অথচ পুরো ক্ষেত এখন পানির নিচে। তিনি আরো বলেন, ৪০ হাজার টাকা খরচ করে দুই বিঘা টমেটো করেছি। এখনো খরচের টাকাই তুলতে পারিনি, এর আগেই ক্ষেত ভরা পানি। কাজলদিঘী কালিয়াগঞ্জ ইউনিয়নের আজিজার রহমান জানান, বৃষ্টির পানিতে বোরো ক্ষেতে হাটু পানি এতে ধান কেটে মাঠে নিতে খরচ হচ্ছে অনেক বেশি।
ইউনিয়ন ভিত্তিক উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তারা ক্ষতির পরিমাণ নিরূপণে কাজ করছে। পানিবদ্ধ জমির পানি দ্রুত নিষ্কাশন করা গেলে ক্ষতির পরিমাণ খুব বেশি হবেনা বলে জানান, পঞ্চগড় জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তা জয়দেব বর্মন।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন