শনিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৪, ০৭ বৈশাখ ১৪৩১, ১০ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

জাতীয় সংবাদ

ইসলামবিরোধী শক্তির মোকাবিলা করে কল্যাণরাষ্ট্র প্রতিষ্ঠা করতে হবে

বরিশালে জনসমুদ্রে পীর সাহেব চরমোনাই

স্টাফ রিপোর্টার | প্রকাশের সময় : ২১ মে, ২০২২, ১২:০০ এএম

ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের আমীর মুফতি সৈয়দ মুহাম্মদ রেজাউল করীম পীর সাহেব চরমোনাই বলেছেন, একটি অপশক্তি সাম্প্রদায়িকতাকে কৃত্রিমভাবে উপস্থাপন করে বৈশ্বিক হানাদার শক্তির দৃষ্টি আকর্ষণের অপচেষ্টা চালাচ্ছে। ঘাদানিকের শ্বেতপত্রকে ‘গণনাগরিক অবমাননা’ অবহিত করে পীর সাহেব চরমোনাই বলেন, কথিত শ্বেতপত্র নিয়ে তাদের এক ধরণের রাখঢাক-লুকোচুরি ও মিডিয়াবাজি প্রমাণ করে যে, তারা সারবত্তাহীন অভিযোগ পত্র নিয়ে নাগরিকদের মাঝে বিদ্বেষ ছড়াচ্ছে। এ ধরণের দেশ ও ইসলামবিরোধী শক্তিকে মোকাবিলা করে কল্যাণরাষ্ট্র প্রতিষ্ঠা করতে হবে।
পীর সাহেব চরমোনাই বলেন, আমরা দেশে প্রকৃত শান্তি প্রতিষ্ঠা, জনমনে উদ্বেগ-উৎকণ্ঠা দূর, মানুষকে স্বস্তি ও নিরাপত্তা দিতে চাই। ন্যায়বিচার ও সুশাসন প্রতিষ্ঠা করে মানুষের মানবীয় ও মৌলিক অধিকার ফিরিয়ে দিতে চাই। সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি চাই। প্রতিহিংসা জিঘাংসা আর ধ্বংসের রাজনীতির চির অবসান চাই। এ জন্য আমরা কালজয়ী আদর্শ ইসলামের আলোকে বাংলাদেশকে একটি কল্যাণরাষ্ট্রে পরিণত করতে চাই।
তিনি বলেন, স্বাধীনতার ৫১তম বর্ষে এসেও আজকের সরকার ৭১ পূর্ববর্তী সরকারের মতো, নিপিড়নমূলক আচরণ করছে। দেশের সাধারণ নাগরিকদের কোনো অধিকার ও সম্মান নেই। সকল অধিকার ভোগ করছে ক্ষমতাসীন এবং তাদের দোসররা। অথচ স্বাধীনতা উত্তর দেশের মানুষ স্বপ্ন দেখেছিল, স্বাধীন দেশে তাদের ন্যায্য অধিকার ফিরে পাবে। স্বাধীন নাগরিক হিসেবে মর্যাদা পাবে, সম্মান পাবে। বাক স্বাধীনতা পাবে, ন্যায়বিচার পাবে। জান-মাল, ইজ্জত-আব্রুর এবং জীবনের নিরাপত্তা নিয়ে বেঁচে থাকতে পারবে। অর্থনৈতিক সাম্য ও রুটি রুজির নিশ্চয়তা পাবে। একটি আত্মমর্যাদাশীল জাতি হিসেবে পৃথিবীর মানচিত্রে স্থান পাবে।
গতকাল শুক্রবার বাদ জুমা বরিশালের বঙ্গবন্ধু উদ্যানে (বেলস্ পার্ক) অনুষ্ঠিত স্মরণকালের বৃহত্তম জনসমূদ্রে প্রধান অতিথির বক্তব্যে পীর সাহেব চরমোনাই এসব কথা বলেন। কথিত ‘গণকমিশন’ কর্তৃক দেশের সম্মানিত ১১৬ জন আলেম ও ১০০০ মাদরাসার বিরুদ্ধে ভিত্তিহীন অভিযোগ এবং ইসলাম ও দেশবিরোধী ষড়যন্ত্র-চক্রান্তের প্রতিবাদ, নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যের অস্বাভাবিক মূল্যবৃদ্ধির প্রতিবাদ, শিক্ষা-সিলেবাসে ধর্মীয় শিক্ষার সঙ্কোচন বন্ধ, ইসলাম, দেশ ও মানবতাবিরোধী মদের বিধিমালা বাতিল, স্বাধীনতার মূল লক্ষ্য-সাম্য, মানবিক মর্যাদা ও সামাজিক ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠা এবং দুর্নীতি ও সন্ত্রাসমুক্ত কল্যাণরাষ্ট্র গঠনে ইসলামী হুকুমত কায়েমের লক্ষ্যে, ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ বরিশাল বিভাগের উদ্যোগে অনুষ্ঠিত বিশাল সমাবেশে সভাপতিত্ব করেন দলের সিনিয়র নায়েবে আমীর, মুফতি সৈয়দ মুহাম্মদ ফয়জুল করিম চরমোনাই। সমাবেশে পীর সাহেব ১৫ দফা দাবি পেশ করেন। ইসলামী আন্দোলনের এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
সমাবেশে অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন দলের মহাসচিব হাফেজ মাওলানা ইউনুছ আহমদ, প্রেসিডিয়াম সদস্য অধ্যাপক আশরাফ আলী আকন, কেন্দ্রীয় দাওয়াহ বিষয়ক উপদেষ্টা প্রিন্সিপাল মাওলানা ওবায়দুর রহমান মাহবুব, যুগ্ম-মহাসচিব মাওলানা গাজী আতাউর রহমান, অধ্যাপক বেলায়েত হোসেন, মাওলানা লোকমান হোসাইন জাফরী, সহ অর্থ-সম্পাদক মাওলানা নূরুল ইসলাম আল আমীন, ইসলামী যুব আন্দোলন সেক্রেটারি জেনারেল আতিকুর রহমান মুজাহিদ, ইসলামী শ্রমিক আন্দোলনের সেক্রেটারী জেনারেল হাফেজ মাওলানা সিদ্দিকুর রহমান, ইসলামী ছাত্র আন্দোলনের কেন্দ্রীয় সভাপতি নুরুল করীম আকরাম, চরমোনাই ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান মুফতী সৈয়দ জিয়াউল করীম, বরিশাল সদর জাগুয়া ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান মুফতী হেদায়েতুল্লাহ আজাদী, বাকেরগঞ্জ নিয়ামতি ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান মুহাম্মাদ হুমায়ুন কবিরসহ বিভাগস্থ জেলা মহানগর নেতৃবৃন্দ। সমাবেশ পরিচালনা করেন কেন্দ্রীয় সহকারী সাংগঠনিক সম্পাদক মাওলানা মুহাম্মাদ সিরাজুল ইসলাম।
পীর সাহেব চরমোনাই বলেন, স্বাধীনতা পরবর্তী যারাই ক্ষমতায় এসেছে, তারা দেশ শাসনের নামে জনগণকে জিম্মি করে রেখেছে। জনগণের সকল মৌলিক অধিকার হরণ করেছে। জনগণের সম্পদ লুণ্ঠন করেছে। গণতন্ত্রের নামে সর্বত্র দলীয়করণ এবং স্বৈরতন্ত্র প্রতিষ্ঠা করেছে। গুম ও খুনের রাজত্ব কায়েম করেছে। দুর্নীতি, লুটপাট এবং সুদ ও ঘুষকে রাষ্ট্রীয় নীতি হিসেবে প্রতিষ্ঠা করেছে। শাসক শ্রেণির এহেন কর্মকাণ্ডের ফলে স্বাধীনতা আজ অর্থহীন হয়ে পড়েছে। গোটা সমাজ ও রাষ্ট্রব্যবস্থায় এক ধরনের নৈরাজ্য চলছে। দ্রব্যমূল্যের লাগামহীন বৃদ্ধি দেশে এক ধরণের দুর্ভিক্ষ জন্ম দিয়েছে।
গতকাল বাদ জুমা সমাবেশ শুরু হওয়ার কথা থাকলেও জুমার আগেই বরিশাল বঙ্গবন্ধু উদ্যান ও আশপাশের এলাকা লোকে লোকারণ্য হয়ে যায়। বিকেলে যখন দলের আমীর বক্তব্য রাখেন সমাবেশ স্থলে তিল ধারণের ঠাঁই ছিল না। সমাবেশের কারণে শহরের গুরুত্বপূর্ণ এলাকা যানশূন্য হয়ে ইসলামী আন্দোলনের নেতাকর্মীদের দখলে চলে যায়।
নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যমূল্যের উর্ধ্বগতি প্রসঙ্গে পীর সাহেব চরমোনাই বলেন, মধ্যস্বত্বভোগীদের কারণেই দাম বাড়ে বলে মন্ত্রণালায়ের প্রতিবেদনেই উঠে এসেছে। সরকারিদলের সমর্থনপুষ্ট মধ্যস্বত্বভোগীরা স্তরে স্তরে দ্রব্যের দাম বৃদ্ধি করে। পথে-ঘাটে পুলিশ ও স্থানীয় মাস্তানরা চাঁদাবাজি করে। বিদেশ থেকে পণ্য আমদানি করার ক্ষেত্রে সরকারঘনিষ্ঠ ব্যবসায়ীরা নানা ধরণের কারসাজি করে পণ্যের দাম বৃদ্ধি করে। সরকারের ভুল মুদ্রানীতি, শুল্কনীতি, আমদানি সিদ্ধান্তে অপরিণামদর্শিতা দ্রব্যমূল্য বৃদ্ধির অন্যতম কারণ। সিন্ডিকেটবাজি বন্ধ করতে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে কঠোর হতে হবে। রাষ্ট্রীয় সিদ্ধান্ত গ্রহণে ব্যবসায়ীদের দৌরাত্ম্য কমাতে হবে। যেকোনো মূল্যে খাদ্যদ্রব্যের দাম সহনীয় করতে হবে।
মাদক প্রসঙ্গে তিনি কোরআনের উদ্ধৃতি দিয়ে পীর সাহেব বলেন, হে মুমিনগণ, নিশ্চয় মদ, জুয়া, প্রতিমা-দেবী ও ভাগ্যনির্ধারক তীরসমূহ নাপাক শয়তানের কর্ম। সুতরাং তোমরা তা পরিহার কর, যাতে তোমরা সফলকাম হও। রাসুলুলস্নাহ (সা.) বলেন, ‘আল্লাহর অভিশাপ মদের ওপর, তা পানকারীর ওপর, যে পান করায় তার ওপর, যে বিক্রি করে তার ওপর, যে তা নিষ্কাশন করে এবং যার আদেশে নিষ্কাশন করে তার ওপর আর যে ব্যক্তি তা বহন করে এবং যার কাছে পৌঁছে দেয়, সবার ওপর।’ (সুনানে আবি দাউদ)
জাতীয় শিক্ষানীতি প্রসঙ্গে পীর সাহেব বলেন, জাতীয় শিক্ষানীতিতে এইচএসসি পরীক্ষার আবশ্যিক বিষয়াবলি থেকে ইসলাম শিক্ষাকে বাদ দেয়া হয়েছে। মানবিক বিভাগ ছাড়া বিজ্ঞান, বাণিজ্য ও অন্যান্য বিভাগে ইসলাম শিক্ষাকে ঐচ্ছিক বিষয়েও রাখা হয়নি। ফলে শিক্ষার্থীরা ইসলাম শিক্ষার আগ্রহ হারাচ্ছে। মাধ্যমিক স্তরে যতটুকু ইসলাম শিক্ষা রাখা হয়েছে তাতেও ইসলামকে খণ্ডিত আকারে উপস্থাপন করা হয়েছে। আর উচ্চশিক্ষায় ইসলাম শিক্ষা সম্পূর্ণই বাদ দেয়া হয়েছে। ফলে বাংলাদেশের মেধাবীরা দেশের জন্য সম্পদে পরিণত না হয়ে দেশের জন্য বিপদের কারণ হয়ে উঠছে। বুয়েটে পড়েও কিছু ছেলে খুনিতে পরিণত হয়েছে। সর্বোচ্চ মেধার স্বাক্ষর রাখা মেধাবীরাই প্রশাসনে গিয়ে দুর্নীতি করে দেশের উন্নয়ন ও বিকাশকে বাধাগ্রস্ত করছে। তিনি শিক্ষার সকল স্তরেই ধর্মীয় শিক্ষাকে বাধ্যতামূলক করার দাবি জানান।
তিনি বলেন, নিরীহ উলামায়ে কেরামসহ হাজার হাজার নাগরিককে কেবলমাত্র রাজনৈতিক মতপার্থক্যের কারণে বিনাবিচারে কারাবন্দি করে রাখা হয়েছে। তিনি উলামায়ে কেরামসহ সকল রাজবন্দির নিঃশর্ত মুক্তির দাবি করেন।
পীর সাহেব চরমোনাই বলেন, দেশের মানুষ আজ আতঙ্কিত। দেশের ভবিষ্যৎ নিয়ে আমরাও আজ চিন্তিত। দেশময় সংঘাত আর সহিংসতার অশনি সঙ্কেত পাওয়া যাচ্ছে। ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ নবম জাতীয় সংসদে একতরফাভাবে সংবিধানের পঞ্চদশ সংশোধনী পাস করার পর থেকেই রাজনৈতিক সঙ্কটে নতুন মাত্রা যোগ হয়েছে। আমরা বারবার রাজনৈতিক সঙ্কট উত্তরণে দাবি জানিয়ে আসছি। দেশের প্রায় সব রাজনৈতিক দল এবং নাগরিক সমাজের প্রতিনিধিগণ সঙ্কট সমাধানের উদ্যোগ গ্রহণের কথা বলে আসলেও, কার্যকর কোনো উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়নি। আওয়ামী লীগ সরকার দেশের নির্বাচন ব্যবস্থাকেই ধ্বংস করে ফেলেছে। বিগত ১৩ বছরে দেশে কোনো সুষ্ঠু নির্বাচন হয়নি। স্থানীয় সরকারের নির্বাচনগুলোতেও জনগণ তাদের পছন্দের প্রার্থীকে ভোট দিতে পারেনি। ক্ষমতাসীনরা তাদের দলীয় লোকদেরকে নির্বাচিত করার জন্যে এহেন কাজ নেই যা করেনি। নির্লজ্জভাবে মানুষের ভোটাধিকার কেড়ে নেয়া হয়েছে। নির্বাচন কমিশন এবং প্রশাসন কেউই নিরপেক্ষ ভূমিকা পালন করেনি। ফলে নির্বাচনকে মানুষ এখন প্রহসন এবং তামাশা মনে করে। আগামীতে মানুষ আর তামাশা ও প্রহসনের নির্বাচন দেখতে চায় না। আবারো ২০১৪ ও ১৮ এর নির্বাচনের মতো নির্বাচনের নামে প্রহসন হবে। রাতের ভোটে নির্বাচিত বর্তমান সংসদের কোনো নৈতিক বৈধতা নেই। এই অবৈধ সংসদ বহাল রেখে কোনো নির্বাচন দেশবাসী মেনে নেবে না।
সভাপতির বক্তব্যে দলের সিনিয়র নায়েবে আমীর মুফতি সৈয়দ মুহাম্মাদ ফয়জুল করীম বলেন, যাদের চরিত্রের ঠিক নেই, যারা অনৈতিক কর্মকাণ্ডের কারণে আন্তর্জাতিক প্রসিকিউটর থেকে বহিষ্কার হয়েছে। যে মহিলা মাকে ঘর থেকে বের করে দেয়, বিভিন্ন অপকর্মের সাথে জড়িত সে ব্যক্তি আলেম উলামাদের তালিকা করে। বিচারপতি মানিকের অপকর্মের শেষ নেই। তিনি তার হিসাবে উল্লেখ করা ৪০ লাখ টাকা লন্ডনে পাঠিয়ে তিনি বর্তমানে বিদ্যমান মানিলন্ডারিং আইন ও বৈদেশিক মুদ্রা বিনিময় আইন ভঙ্গ করেছেন। এ ধরনের দুর্নীতিবাজরা উলামাদের জঙ্গি ও দুর্নীতিবাজ বলে গালি দেয়। তিনি বলেন, বাংলাদেশের মানুষের যতটুকু উন্নতি তার পুরোটাই মানুষের শ্রমের ফসল, সরকারের কোনো নীতির কারণে নয়।
মুফতী ফয়জুল করীম বলেন, রাষ্ট্রের রন্ধ্রে রন্ধ্রে দুর্নীতি। বিদেশে টাকা পাচারকারীদের ব্যাপারে তাদের কোনো বক্তব্য নেই। আসলে মানিক-তুরিন গংরা দেশকে অস্থিতিশীল করতে মাঠে নেমেছে। সরকার যদি ভোটের অধিকার বারংবার কেড়ে নিতে চান তাহলে বাংলার মানুষ আপনাদেরও উৎখাত করে ছাড়বে। তিনি বলেন, মদের বিরুদ্ধে বঙ্গবন্ধুর কঠোর অবস্থান ছিল। তার কন্যার সময় মদের আইন পাস হতে পারে না। তিনি কারাবন্দি সকল আলেমের মুক্তি চান।
পীর সাহেব চরমোনাই ঘোষিত ১৫ দফা দাবিসমূহ হচ্ছেÑ যেকোনো মূল্যে দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতি রোধ করতে হবে। বাজার কারসাজির সাথে জড়িতদের আইনের আওতায় আনতে হবে, দেশে মদ ও সকল ধরনের মাদকদ্রব্য নিষিদ্ধ করতে হবে।
শিক্ষার সকল স্তরে ধর্মীয় শিক্ষাকে বাধ্যতামূলক করতে হবে, প্রাথমিক বিদ্যালয়ে মুসলিম শিশুদের জন্য নামাজ শিক্ষা ও কোরআন শিক্ষাকে বাধ্যতামূলক করতে হবে, শিক্ষা সিলেবাস থেকে চরম নাস্তিক্যবাদী সকল ধর্মবিরোধী, অবৈজ্ঞানিক ও বস্তাপচা ডারউইনের থিউরি বাদ দিতে হবে, কারাবন্দি সকল মজলুম আলেম এবং রাজবন্দিদের মুক্তি দিতে হবে, জাতীয় নির্বাচনের তফসিল ঘোষণার পূর্বে জাতীয় সংসদ ভেঙে দিতে হবে, সকল নিবন্ধিত রাজনৈতিক দলের মতামত নিয়ে নির্বাচনকালীন জাতীয় সরকার গঠন করতে হবে, তফসিল ঘোষণার পর থেকে নির্বাচিত সরকার ক্ষমতা গ্রহণের পূর্ব পর্যন্ত সশস্ত্রবাহিনী মোতায়েন করতে হবে এবং নির্বাচনের দিন সশস্ত্রবাহিনীর হাতে বিচারিক ক্ষমতা দিতে হবে, নির্বাচনে সকল দলের জন্য সমান সুযোগ তৈরি করতে হবে এবং সকল রাজনৈতিক দলের জন্যে সভা-সমাবেশসহ সাংবিধানিক স্বীকৃত সকল রাজনৈতিক কর্মসূচি ও বাকস্বাধীনতা উন্মুক্ত করতে হবে।
সমাবেশে আজ শনিবার খুলনা বিভাগীয় সমাবেশ সফল করার অনুরোধ জানানো হয়।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (1)
main uddin chisty ২১ মে, ২০২২, ৭:২৪ এএম says : 0
ইনশাআল্লাহ আগামীদিনের বাংলাদেশ ইসলামি আন্দোলনের
Total Reply(0)

এ সংক্রান্ত আরও খবর

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন