বগুড়ায় মাত্র ৪ মিনিটের ঘুর্ণিঝড়ে সবকিছু লন্ডভন্ড হয়ে গেছে। ভেঙে পড়েছে বিদ্যুৎ ব্যবস্থা। শহর এবং শহরতলীতে অসংখ্য গাছ ভেঙে বিদ্যুতের তারের ওপর পড়েছে। ফলে ভোর রাত থেকে জেলাজুড়ে বিদ্যুৎ সরবারহ বন্ধ হয়ে গেছে। এছাড়াও ঝড়ে অসংখ্য আধাপাকা বাড়ির টিনের চাল উড়ে গেছে। বগুড়ার কাহালুতে ঘরের ওপর গাছ ভেঙে পড়ে একজন নিহত হয়েছেন।
শনিবার ভোর রাত ৪টায় ঘুর্ণিঝড় শুরু হয়ে স্থায়ী ছিলো মাত্র ৪মিনিট।
বগুড়া আবহাওয়া অফিসের উচ্চ পর্যবেক্ষক সৈয়দ গোলাম কিবরিয়া জানান, শনিবার ভোর রাত ৪টায় ঘুর্ণিঝড় শুরু হয়। মাত্র ৪ মিনিট স্থায়ী এই ঝড়ের সময় বাতাসের গতিবেগ ছিল ৮৮ দশমিক ৬ কিলোমিটার। তিনি বলেন ৪ টা ৪মিনিটে বাতাসের গতিবেগ কমে এলে শুরু হয় বৃষ্টিপাত। ভোর সাড়ে ৫টা পর্যন্ত দমকা বাতাসের পাশাপাশি ৩৬ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়।
এদিকে মাত্র ৪ মিনিটের ঝড়ে বগুড়া শহরে পুলিশ লাইন্স, বিয়াম মডেল স্কুল ও আমর্ড পুলিশ ব্যাটালিয়ন স্কুল এবং সরকারি আজিজুল হক কলেজের বড় গাছগুলো ভেঙে পড়ে। এছাড়াও শহরের শহীদ খোকন পার্ক এবং এডওয়ার্ড পার্কে বেশ কিছু গাছ গোড়ালীসহ উপড়ে পড়ে। এসময় পার্কের গাছে বাসা বেঁধে থাকা নানা প্রজাতির পাখিও মারা যায়। শহর এবং শহরতলীর বিভিন্ন এলাকায় ঘরবাড়ির টিনের চালা উড়ে গেছে। ঝড়ে বোরো ধানেরও ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। কাহালু থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা(ওসি) আমবার হোসেন জানিয়েছেন, কাহালুর কালাই মাছপাড়ায় ঝড়ে গাছ ভেঙে একজন মারা গেছেন। নিহত শাহীন মিয়া(৪৫) গাইবান্ধার জুমারবাড়ি এলাকার বাসিন্দা। তিনি কাহালু এলাকায় দিনমজুরের কাজ করতেন।
কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর বগুড়া আঞ্চলিক অফিসের অতিরিক্ত পরিচালক ইউছুব রানা মন্ডল জানান, বোরো ধান কাটা মাড়াইয়ের ভরা মৌসুমে ঝড়ে পাকা ধানের ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। অন্যান্য ফসলের তেমন ক্ষয়ক্ষতি হয়নি।
নর্দান পাওয়ার সাপ্লাই কোম্পানীর (নেসকো) নির্বাহী প্রকৌশলী ওমর ফারুক জানান, ঝড়ে বিদ্যুৎ সরবরাহ লাইনের ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। বিভিন্ন স্থানে বৈদ্যুতিক খুঁটি উপড়ে পড়া ছাড়াও গাছের ডাল ভেঙ্গে পড়েছে বিদ্যুতের তারের ওপর। ফলে ভোর রাত ৪টা থেকে পুরো জেলায় বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধ রয়েছে। তিনি বলেন সকাল থেকে গাছ অপসারণসহ মেরামত কাজ চলছে। পর্যায়ক্রমে বিদ্যুৎ সরবরাহ স্বাভাবিক হবে বলে জানান তিনি।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন