দক্ষিণ এশিয়ার অন্যতম বৃহৎ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোর মধ্যে অন্যতম হলো বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় (বাকৃবি)। বড় আয়তন এবং বেশি জনসংখ্যার কারণে এখানে পয়ঃনিষ্কাশনের ব্যাবস্থাও বেশি রাখা প্রয়োজনের দাবি। বিশ্ববিদ্যালয়ের অভ্যন্তরীণ ড্রেনগুলোই মূলত ব্যবহৃত হয়ে থাকে পয়ঃনিষ্কাশনের কাজে। রাস্তার পাশে, আবাসিক হলগুলোর ভেতরে বাইরে, কে. আর. মার্কেট এবং জব্বারের মোড়ে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা এই ড্রেনগুলোর বেশিরভাগই উন্মুক্ত। নোংরা পানি এবং ময়লা জমে থাকায় এই খোলা ড্রেনগুলোই মশার আদর্শ আতুরঘর হয়ে উঠেছে। খোলা পানিতে সহজেই লার্ভা থেকে জন্ম নিচ্ছে অসংখ্য রোগজীবাণু বহনকারী মশা। যার ফলে মশার কামড়ে শিক্ষার্থীরা প্রতনিয়তই ডেঙ্গু, ম্যালেরিয়া এবং এলার্জিসহ নানা রোগে আক্রান্ত হচ্ছে। দিনের বেলাতেও তাদের মশারীর নিচে পড়াশোনা করতে হচ্ছে। যদি এই ড্রেনগুলোর ওপরে ঢাকনা দিয়ে ঢেকে দেওয়া যায় তাহলে মশার এই ভয়ানকমাত্রার উৎপত্তি অনেকাংশে কমানো যাবে। তাই আশা করি, বাকৃবি প্রশাসন এসব উন্মুক্ত ড্রেনের উপরে ঢাকনার ব্যাবস্থা করে শিক্ষার্থীদের মশার হাত থেকে রক্ষা করতে সচেষ্ট হবেন।
ইসরাত জাহান
শিক্ষার্থী বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন