বৃহস্পতিবার, ২৮ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০, ১৭ রমজান ১৪৪৫ হিজরী

আন্তর্জাতিক সংবাদ

যুদ্ধ-উসকানির অভিযোগে বিক্ষোভ সিউলে

অচিরেই বিরোধ নিরসনে আশাবাদী ওয়াশিংটন

ইনকিলাব ডেস্ক | প্রকাশের সময় : ২২ মে, ২০২২, ১২:০২ এএম

মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের সফরের প্রতিবাদে দক্ষিণ কোরিয়ার রাজধানী সিউলে শত শত মানুষ বিক্ষোভ করেছেন। সিউলের যে হোটেলে বাইডেন অবস্থান করছেন তার বাইরে এ বিক্ষোভ অনুষ্ঠিত হয়। কোরীয় উপদ্বীপে যুদ্ধের উসকানি দেয়ার অভিযোগে দক্ষিণ কোরিয়ার জনগণ এ বিক্ষোভ দেখান। শুক্রবার প্রেসিডেন্ট বাইডেন দক্ষিণ কোরিয়া সফরের জন্য সিউলে পৌঁছান। ছয় দিনের এশিয়া সফরের অংশ হিসেবে তিনি দক্ষিণ কোরিয়া থেকে জাপান যাবেন। উত্তর কোরিয়ার সঙ্গে চলমান উত্তেজনাসহ নানা বিষয় নিয়ে তিনি জাপান ও দক্ষিণ কোরিয়ার নেতাদের সঙ্গে আলোচনা করবেন। এশিয়ার দেশ দুটির সঙ্গে সম্পর্ক জোরদার করার জন্য প্রেসিডেন্ট বাইডেন এ সফর করছেন। দক্ষিণ কোরিয়ার পুলিশ জানিয়েছে, তাদের কাছে অন্তত ৫০টি বিক্ষোভ কর্মসূচির অনুমতি চেয়ে আবেদন জমা পড়েছে। তবে এসবের বেশিরভাগই প্রত্যাখ্যান করা হয়েছে। বাইডেনের সফরের প্রতিবাদে কোরীয় পুনঃএকত্রীকরণ গ্রুপসহ কয়েকটি গ্রুপ যৌথ সংবাদ সম্মেলন করবে বলে জানিয়েছিল। পুলিশ জানিয়েছে, বাইডেনের নিরাপত্তার জন্য সিউলের গ্র্যান্ড হায়াত হোটেলের সামনে ৭,২০০ পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। এই হোটেলে অবস্থান করছেন জো বাইডেন। অপরদিকে, সুইডেন ও ফিনল্যান্ডের ন্যাটো জোটে যোগদান নিয়ে তুরস্কের মনোভাব ওয়াশিংটন ও আঙ্কারার দ্বিপাক্ষিক ইস্যু নয় বলে জানিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। শুক্রবার মার্কিন পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, ওয়াশিংটন ইতোমধ্যে আঙ্কারার সঙ্গে কথা বলেছে এবং আত্মবিশ্বাসী রয়েছে যে বিরোধ অচিরেই নিরসন সম্ভব হবে। ফিনল্যান্ড এবং সুইডেন বলেছে যে তারা ২৪ ফেব্রুয়ারি রাশিয়ার ইউক্রেনে আক্রমণের ফলে উত্তর আটলান্টিক চুক্তি সংস্থায় (ন্যাটো) যোগদানের জন্য আগ্রহী হয়েছে। এর ফলে উভয় দেশই কয়েক প্রজন্ম ধরে সামরিকভাবে কোনও পক্ষ অবলম্বনের বজায় রাখা নীতি থেকে সরে এসেছে। গত সপ্তাহে ওই পদক্ষেপের বিরোধিতার ঘোষণা দিয়ে ন্যাটো মিত্রদের অবাক করে দেয় তুরস্ক। কুর্দি যোদ্ধাদের ওপর থেকে সমর্থন প্রত্যাহারে সুইডেনের ওপর চাপ প্রয়োগ করে আঙ্কারা। এসব যোদ্ধাদের সন্ত্রাসী গ্রুপ বলে বিবেচনা করে তুরস্ক। এছাড়া আঙ্কারা তুরস্কের কাছে অস্ত্র বিক্রিতে সুইডেন ও ফিনল্যান্ডের আরোপ করা নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহারেও চাপ দেয়। সমস্যাটি আনুষ্ঠানিকভাবে সুইডেন, ফিনল্যান্ড এবং তুরস্কের মধ্যে হলেও অনেক বিশ্লেষক মনে করছেন তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রজব তাইয়্যেব এরদোগান এই সময় ব্যবহার করে ওয়াশিংটনকে দীর্ঘস্থায়ী কিছু ইস্যু সমাধানের জন্য চাপ দিতে পারেন যা দুই ন্যাটো মিত্রের দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কের উপর প্রভাব ফেলেছে। এসব ইস্যুর মধ্যে রয়েছে সিরিয়ায় কুর্দি যোদ্ধাদের প্রতি যুক্তরাষ্ট্রের সমর্থন বন্ধ করা। এদের সন্ত্রাসী হিসেবে দেখে আঙ্কারা। রাশিয়ার এস-৪০০ ক্ষেপণাস্ত্র প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা কেনার পর আঙ্কারার ওপর আরোপ করা মার্কিন নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার এবং মার্কিন এফ-১৬ বিমান কেনায় আঙ্কারার অনুরোধে সাড়া দেওয়া। শুক্রবার মার্কিন পররাষ্ট্র দফতরের মুখপাত্র নেড প্রাইস বলেন, ‘ফিনল্যান্ড এবং সুইডেনের ন্যাটো যোগদান নিয়ে তুরস্কের মনোভাবের প্রশ্নটি যুক্তরাষ্ট্র এবং তুরস্কের মধ্যে দ্বিপাক্ষিক বিষয় নয়।’ রয়টার্স।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন