টানা কয়েকদিনের গরমের পর ঝড়ো হাওয়া আর বৃষ্টি চট্টগ্রামবাসীকে কিছুটা স্বস্তি দিলেও কিছু এলাকায় পানিবদ্ধতায় তা দুর্ভোগে পরিনত হয়। গতকাল শনিবার সকালে তিন ঘণ্টায় ৪০ মিলিমিটারের বেশি বৃষ্টিপাত হয়েছে। তাতে পানিবদ্ধতা সৃষ্টি হয় বেশ কয়েকটি এলাকায়। এতে লোকজনকে দুর্ভোগের মুখোমুখি হতে হয়। কোন কোন এলাকা হাঁটু সমান পানিতে তলিয়ে যায়। যদিও বৃষ্টি থামার পর পানি নেমে যায়।
সকাল সাড়ে ৮টার পর থেকে বেলা সাড়ে ১১টা পর্যন্ত থেমে থেমে বজ্রপাতসসহ বৃষ্টিপাত হয় নগরীতে। তবে তার আগে আকাশে রোদও উঠেছিল। পতেঙ্গা আবহাওয়া অফিস সকাল ৬টা থেকে বেলা ১২টা পর্যন্ত ৪৮ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করেছে। এর মধ্যে ৯টা থেকে ১২টার মধ্যে হয়েছে ৪৩ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত।
বৃষ্টিতে নগরীর ষোলশহর দুই নম্বর গেট, চকবাজার, কাপাসগোলা, বাদুরতলা, কালামিয়া বাজার, জঙ্গি শাহর মাজার গেট, পশ্চিম বাকলিয়া বড় মিয়া মসজিদ, কে বি আমান আলী রোড, ফুলতলাসহ কিছু স্থানে সড়কে ও বাসাবাড়ির আশেপাশে হাঁটু পানি জমে। তাতে নালা-নর্দমার ময়লা আবর্জনা রাস্তায় উঠে আসে। সেই নোংরা পানি ডিঙিয়ে এলাকার বাসিন্দাদের অফিসে, বাজারে যেতে হয়েছে। সবচেয়ে বেশি ভোগান্তিতে পড়ে স্কুলের ছাত্রছাত্রীরা।
নগরীর দুই নম্বর গেট এলাকায় প্রধান সড়কে পানি জমে যায়। পানির ভিতর দিয়ে রিকশা, প্রাইভেট কার ও বাসসহ সব ধরণের যানবাহন চলাচল করছিল। স্থানীয়রা বলছেন, বেশিরভাগ খাল-নালা সংষ্কার না হওয়ায় পানি নিষ্কাশন ব্যবস্থা ভেঙ্গে পড়েছে। এতে সামান্য বৃষ্টিতেই পানি জমে যাচ্ছে।
নগরীর পানিবদ্ধতা নিরসনে বর্তমানে প্রায় ১০ হাজার কোটি টাকা ব্যয়ে চারটি প্রকল্পের কাজ চলমান। এরমধ্যে সবচেয়ে বড়, প্রায় সাড়ে ছয় হাজার কোটি টাকার প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করছে চট্টগ্রাম উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (সিডিএ)। প্রকল্পটির আওতায় নগরীর বেশ কয়েকটি খালে নির্মাণ কাজের জন্য অস্থায়ী বাঁধ দেওয়া হয়েছে। সেসব বাঁধ এখনও খুলে না দেয়ায় সামান্য বৃষ্টিতেও নগরীতে পানিবদ্ধতার সৃষ্টি হচ্ছে।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন