বৃহস্পতিবার, ১৮ এপ্রিল ২০২৪, ০৫ বৈশাখ ১৪৩১, ০৮ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

জাতীয় সংবাদ

শত চ্যালেঞ্জ মোকাবেলা করে পদ্মাসেতু নির্মাণ করা হয়েছে : মন্ত্রীপরিষদ সচিব

অনলাইন ডেস্ক | প্রকাশের সময় : ২১ মে, ২০২২, ১০:৩৩ পিএম

মন্ত্রী পরিষদ সচিব খন্দকার আনোয়ারুল ইসলাম বলেছেন, শত চ্যালেঞ্জ মোকাবেলা করে পদ্মাসেতু নির্মাণ করা হয়েছে। জুন মাসের শেষ সপ্তাহের আগে পদ্মাসেতু খুলে দেয়া হবে। পদ্মাসেতুর জন্য শরীয়তপুরের পদ্মাপাড়ের মানুষ সবচেয়ে বেশি সহযোগিতা করেছেন উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘বঙ্গবন্ধু কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার আন্তরিকতা ও কঠোর নির্দেশনার কারণে শত চ্যালেঞ্জ মোকাবেলা করে পদ্মাসেতু নির্মাণ করা সম্ভব হয়েছে। কোন সময় ক্ষেপণ না করে দ্রুত কাজ সমাপ্ত করা হয়েছে।

আনোয়ারুল ইসলাম আজ বিকেলে শরীয়তপুর পুলিশ লাইনস মিলনায়তনে ‘উগ্রবাদ প্রতিরোধে জনপ্রতিনিধি ও অন্যান্য অংশীজনের ভূমিকা’ শীর্ষক দিনব্যাপী এক মতবিনিময় সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন। বাংলাদেশ পুলিশের সন্ত্রাস দমন ও আন্তর্জাতিক অপরাধ প্রতিরোধ কেন্দ্র নির্মাণ প্রকল্পের আওতায় কাউন্টার টেররিজম এন্ড ট্রান্সন্যাশনাল ক্রাইম ইউনিট (সিটিটিসি) ডিএমপি ঢাকার আয়োজনে শরীয়তপুর জেলা প্রশাসন ও জেলা পুলিশের সহযোগিতায় এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।

শরীয়তপুরের জেলা প্রশাসক মো. পারভেজ হাসানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রনালয়ের জননিরাপত্তা বিভাগের সিনিয়র সচিব মো: আখতার হোসেন, আইজিপি ড. বেনজীর আহমেদ, র‌্যাব মহাপরিচালক চৌধুরী আবদুল্লাহ আল-মামুন, ঢাকা বিভাগীয় কমিশনার (ভারপ্রাপ্ত) মো: হেলাল মাহমুদ শরীফ, ঢাকা রেঞ্জের ডিআইজি হাবিবুর রহমান, শরীয়তপুরের পুলিশ সুপার এসএম আশরাফুজ্জামান। স্বাগত বক্তব্য রাখেন ঢাকা সিটিটিসি ডিএমপির অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার মো. আসাদুজ্জামান।

আখতার হোসেন বলেন, আমাদের দেশের স্বাধীনতার পিছনে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের স্বপ্ন ও প্রচেষ্টা কাজ করেছে। এই বাংলা হাজার বছর শোষণ বঞ্চনা ও দারিদ্র দুষ্টচক্রের ভিতরে ছিল। শিক্ষা ছিল না, রাস্তা-ঘাট ও মানুষের কর্মসংস্থান ছিল না। মানুষের ওপর নির্যাতন অত্যাচার ছিল। সেই যায়গা থেকে বাঙালী জাতিকে স্বাধীনতা ও মুক্তি দেয়ার জন্য বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান আন্দোলন সংগ্রাম করেছিলেন। বঙ্গবন্ধু স্বপ্ন দেখেছিলেন সোনার বাংলা গড়ার। তার সুযোগ্য কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সেই স্বপ্ন বাস্তবায়ন করছেন।

বেনজীর আহমেদ বলেন, বাংলাদেশের মানুষের, রাষ্ট্রের, সমাজের, কমিউনিটি ও নাগরিকের সঙ্গে উগ্রবাদীর কোন সম্পর্ক নেই। উগ্রবাদ একটি বিজাতীয় সংস্কৃতি। আমাদের দেশে বার বার এ বিজাতীয় সংস্কৃতি আছরে পড়ার চেষ্টা করেছে এবং প্রতিবারই আমরা এদেশের সাধারণ শান্তিপ্রিয় মানুষের সহায়তা নিয়ে এদের নির্মূল করেছি।

অনুষ্ঠানে আরো বক্তব্য রাখেন শরীয়তপুর জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ছাবেদুর রহমান খোকা সিকদার, জাজিরা উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মোবারক আলী শিকদার, নড়িয়া সরকারি কলেজের অধ্যক্ষ মাকসুদা খাতুন প্রমুখ। এসময় বিভিন্ন জেলার জেলা প্রশাসক, পুলিশ সুপার, উপজেলা চেয়ারম্যান, ইউপি চেয়ারম্যান-সদস্য, শিক্ষক-শিক্ষার্থী, ইমাম, সাংবাদিকসহ সুধী সমাজের প্রতিনিধিগণ উপস্থিত ছিলেন।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন