পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী নওয়াজ শরীফ বলেছেন, জাতীয় নিরাপত্তায় বিঘœ সৃষ্টিকারী যে কোন অপতৎপরতার দাঁতভাঙা জবাব দেয়া হবে। শত্রুপক্ষের যেকোনো উচ্চাভিলাষী চক্রান্তের সমুচিত জবাব দিতে কুণ্ঠাবোধ করা হবে না। জম্মু ও কাশ্মীর নিয়ে উত্তেজনার মধ্যে ভারত সীমান্তে অনুষ্ঠিত বড় ধরনের সামরিক মহড়া পরিদর্শনকালে এসব কথা বলেন তিনি।
খবরে বলা হয়, মহড়ার সমাপনী দিনে সেনা ও বিমান বাহিনীর রাদ-উল বারাক নামে ওই মহড়া পরিদর্শন করেন পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী নওয়াজ শরীফ ও সেনাপ্রধান জেনারেল রাহিল শরিফ। এ উপলক্ষে আয়োজিত অনুষ্ঠানে পাক প্রধানমন্ত্রী হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করে বলেন, পাকিস্তানের জাতীয় নিরাপত্তা বিঘিœত হয় এমন যে কোনো তৎপরতার দাঁতভাঙা জবাব দেয়া হবে। লাইন অব কন্ট্রোলে ভারতীয় বাহিনীর হামলায় ৭ সৈন্য নিহতের পরদিনই পাকিস্তান পাঞ্জাবের ভাওয়ালপুরের নিকটবর্তী খায়েরপুর তামিওয়ালি সীমান্তে ব্যাপক আকারে সামরিক মহড়া অনুষ্ঠিত হলো।
অনুষ্ঠানে নওয়াজ শরীফ আরো বলেন, রাদ-উল বারাক নামে এই প্রশিক্ষণ এটাই প্রমাণ করে যে, শত্রুপক্ষের যেকোনো উচ্চাভিলাষী ও ক্ষতিকর তৎপরতার জবাব দিতে পাকিস্তান প্রস্তুত রয়েছে। তিনি জম্মু ও কাশ্মীরে ভারতীয় বাহিনীর নির্বিচারে সাধারণ মানুষ হত্যার বিষয়ে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়েরও দৃষ্টি আকর্ষণ করেন। নওয়াজ শরীফ বলেন, ভারত ইচ্ছে করে সীমান্তে বারবার যুদ্ধবিরতি লংঘন করছে। মহড়ায় স্থলসেনা এবং বিমানবাহিনী যৌথভাবে অংশ নেয়। সেখানে ইনফ্যান্ট্রি ব্যাটেলিয়ন এবং হেলিকপ্টার গানশিপ অংশ নেয়। ভারত-পাক সীমান্তে যেকোনো পরিস্থিতির মোকাবিলা করতে পাক বাহিনী কতোটা প্রস্তুত, মূলত তা খতিয়ে দেখতেই এ মহড়ার আয়োজন করে পাকিস্তান। প্রধানমন্ত্রী নওয়াজ শরীফ এবং সেনাপ্রধান রাহিল শরিফ মহড়ায় উপস্থিত থেকে স্বচক্ষে নিজেদের বাহিনীর সক্ষমতা দেখেন। তবে সীমান্ত লাগোয়া এলাকায় আয়োজিত মহড়ায় নওয়াজ এবং রাহিলের উপস্থিত হওয়ার সিদ্ধান্ত আসলে ভারতকে প্রচ্ছন্ন হুঁশিয়ারি দেয়ার কৌশল বলে ভারতীয় প্রতিরক্ষা বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন। ডন, এক্সপ্রেস ট্রিবিউন, এনডিটিভি।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন