বৃহস্পতিবার, ২৮ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০, ১৭ রমজান ১৪৪৫ হিজরী

সারা বাংলার খবর

কালীগঞ্জের বাওড়ে কোটি টাকার মাছ ভেসে উঠেছে

প্রাথমিক ধারণা অক্সিজেন সঙ্কট

কালীগঞ্জ,(ঝিনাইদহ) উপজেলা সংবাদদাতা : | প্রকাশের সময় : ২৪ মে, ২০২২, ১২:০৫ এএম

 ঝিনাইদহের কালীগঞ্জ উপজেলা বারোবাজার ইউনিয়নের মাাঝদিয়া বাওড়ের প্রায় দেড় কোটি টাকার মাছ মরে ভেসে উঠেছে। কিভাবে এতো মাছ মারা গেল তা এখনো নিশ্চিত হওয়া যায়নি। যদিও মৎস্য কর্মকর্তা বলছেন, অক্সিজেন সংকটে মাছগুলো মারা গেছে। আর স্থানীয়রা বলছেন বিষক্রিয়ায় মাছগুলো মারা গেছে। গত শনিবার ও রোববার এ দুই দিনে বাওড়ের ছোট বড় সব ধরনের সব মাছ মরে ভেসে উঠতে দেখা যায়। ৪৫০ একর একর জমির উপর এ বাওড়ে প্রায় ৩০০ মৎসজীবীর কর্মসংস্থান রয়েছে। মৎসজীবীদের বিভিন্ন সংগঠন এই বাওড়ে মাছ চাষ করে থাকেন। বাওড়ের আয় থেকে তাদের পরিবারের জীবিকা নির্বাহ হয়ে থাকে। হঠাৎ এ মাছ মরে যাওয়া এসব মৎসজীবীরা পথে বসেছেন। মরে যাওয়া মাছগুলোর ওজন প্রায় ৩ হাজার কেজি হবে বলে জানা গেছে।
সংবাদ পেয়ে ঝিনাইদহ-৪ আসনের সংসদ সদস্য আনোয়ারুল আজিম আনার, উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান শিবলী নোমানী, বারোবাজার ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আবুল কালাম আজাদ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন।
কৃষক সবুর উদ্দীন জানান, গত শনিবার সকাল ৬টার দিকে প্রবল গতির টর্নেডো বয়ে যায়। এরপর আমরা মাঠে কাজ করতে এসে দেখি বাওড়ের দুই একটি মাছ মরে ভেসে উঠছে। তখন আমরা মাছগুলো ধরি। অনেকে মাছগুলো ধরে বাড়ি নিয়ে যায় কিন্তু গতকাল সকালে বাওড়ের পাশে এসে দেখি হাজার হাজার মাছ মরে ভেসে আছে। আমার ৩০ বছর জীবনে কখনো এ বাওড়ে এভাবে মাছ মরতে দেখিনি।
বারোবাজার ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আবুল কালাম আজাদ জানান, যেভাবে মাছ মরেছে তা বর্ণনা করার মত না। বাওড়ে মরে যাওয়ার মাছের ওজন প্রায় ৩ হাজার কেজি হবে। এসব মাছের মধ্যে ৫ থেকে ৭ কেজি ওজনের মাছ রয়েছে। এ বাওড়ে ২৫০ থেকে ৩০০ পরিবারের কর্মসংস্থান রয়েছে। আমরা বিভিন্নভাবে তদন্ত করছি মাছ মরার পিছনে কোনমহলের ষড়যন্ত্র আছে কিনা। তবে প্রাথমিকভাবে সবার সাথে কথা বলে যেটা জানা গেছে, গত শনিবার ভোরে প্রবল বেগের ঘুর্ণিঝড়ের ফলে বাওড়ের পানি একপাশে উঠে যায়। ফলে মাছগুলো কাদার মধ্যে প্রবেশ করে স্ট্রোক করে মারা যেতে পারে।
কালীগঞ্জ উপজেলা সিনিয়ার মৎস্য কর্মকর্তা হাসান সাজ্জাদ জানান, খবর পাওয়ার সাথে সাথে বাওড় পরিদর্শন করি। অক্সিজেন সংকটের কারণে এ মাছগুলো মারা গেছে বলে প্রাথমিকভাবে ধারনা করা হচ্ছে। তবে পানি পরীক্ষার পর আরো নিশ্চিত হওয়া যাবে বলে তিনি জাানান। তিনি আরো জানান, গত শনিবার সকালে কালবৈশাখী ঝড় বয়ে যায়। এরপরই মুলত মাছগুলো মরে যেতে থাকে। যে কারণে ধারনা করা হচ্ছে অক্সিজেন সংকটে এমন হতে পারে।
ঝিনাইদহ-৪ আসনের সংসদ সদস্য আনোয়ারুল আজিম আনার জানান, সংবাদ পেয়ে আমি বাওড়ে গিয়েছিলাম। যেভাবে মাছ মরেছে তা বর্ণনা করার মত না। আমি মৎসজীবীদের সাথে কথা বলেছি। মৎস্য অফিসারের সাথেও কথা বলেছি, তদন্ত করে ব্যবস্থা নেওয়ার নির্দেশ দিয়েছি। মাছ মরার পিছনে যদি কেউ জড়িত থাকে তাহলে তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়াা হবে।

 

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন