তিন সপ্তাহ বন্ধ রাখার পর পাম তেলের ওপর রফতানি নিষেধাজ্ঞা তুলে দিল ইন্দোনেশিয়া। গতকাল সোমবার থেকে এই নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার কার্যকর হবে।
অভ্যন্তরীণ বাজারে সংকট দেখা দেওয়ায় গত ২৮ এপ্রিল সব ধরনের পাম তেল রপ্তানি নিষিদ্ধ ঘোষণা করে ইন্দোনেশিয়ার সরকার। এরপরই বিশ্বে পাম তেলের দাম উল্লেখযোগ্য হারে বেড়ে যায়। কারণ বৈশ্বিক চাহিদার প্রায় ৬০ শতাংশ একাই সরবরাহ করে ইন্দোনেশিয়া।
স্থানীয় বাজারে ভোজ্যতেলের দাম লিটারপ্রতি ১৪ হাজার রুপিয়ায় (প্রায় ৮৩ টাকা) নামানোর লক্ষ্যে ইন্দোনেশীয় সরকার পাম তেল রপ্তানিতে নিষেধাজ্ঞা দেয়। কিন্তু সেই লক্ষ্য পূরণ না হওয়ার আগেই দেশের ভেতরে ও বাইরে থেকে তীব্র চাপের মুখে শেষপর্যন্ত নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহারে বাধ্য হয় উইদোদো প্রশাসন। রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের কারণে ইন্দোনেশিয়া পাম তেল রফতানি বন্ধ ঘোষণার পর দেশের বাজারেও দাম বেড়েছিল। এবার দেশটি আবার পাম তেল রফতানি শুরুর ঘোষণায় দাম কমতে শুরু করেছে দেশে। কয়েক দিনের ব্যবধানে মণপ্রতি পাম তেলের দাম কমেছে অন্তত ২০০ টাকা। দেশে ভোগ্যপণ্যের সবচেয়ে বড় পাইকারি বাজার খাতুনগঞ্জে। সেখানকার কয়েকজন ব্যবসায়ী নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেন, ইন্দোনেশিয়ার পুনরায় পাম অয়েল রফতানির ঘোষণা, মালয়েশিয়ায় পাম তেলের বুকিং রেট কমে যাওয়া, দেশের বাজারে পরিশোধিত পাম তেলের সরবরাহ বৃদ্ধির প্রভাবে পাইকারিতে দাম কমছে। দাম বেড়ে যাওয়ায় খুচরায় চাহিদাও কমে গেছে। এখন সরকার নির্ধারিত দামের চেয়ে কমেই বিক্রি হচ্ছে পাম তেল। ইন্দোনেশিয়ায় পাম তেল রপ্তানি বন্ধের প্রতিবাদে গত ১৭ মে রাজধানী জাকার্তায় বিক্ষোভ করেন শত শত কৃষক। সরকারের ওই সিদ্ধান্তে রোজগার অর্ধেকে নেমে যায় বলে অভিযোগ করেন তারা। নিষেধাজ্ঞা দ্রুততম সময়ে প্রত্যাহার না হলে এর চেয়েও বড় আন্দোলনের প্রস্তুতি নিচ্ছিলেন দেশটির পাম চাষিরা। এ অবস্থায় গত ১৯ মে পাম তেল রপ্তানির নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহারের ঘোষণা দেন উইদোদো।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন