পঞ্চগড়ে মৌলিক সাক্ষরতা প্রকল্পে অনিয়ম চরমে। কেন্দ্রে ছাত্র-ছাত্রী নেই। খরচ করেননি কেন্দ্র ভাড়া, বিদ্যুৎ বিল, মাদুর/চট বিল। শিক্ষক সম্মানি ২ হাজার ৪০০ টাকা কিন্তু দিয়েছেন ২ হাজার টাকা। এমন অভিযোগ উঠেছে, প্রকল্প বাস্তবায়নকারী সংস্থা দেশ উন্নয়নের বিরুদ্ধে। কর্তৃপক্ষ বলেছেন যেটা খরচ করবেন সেই টাকা পাবেন। বেশি নেয়ার কোন সুযোগ নেই।
অফিস সূত্রে জানা যায়, এক কোটি ১৯ লাখ ৭৯ হাজার টাকা ব্যয়ে তেঁতুলিয়া উপজেলার বাস্তবায়ন হচ্ছে মৌলিক সাক্ষরতা প্রকল্প। ৬ মাসের এ প্রকল্পে তিনশটি কেন্দ্রে চক ১০ বক্স, খাতা প্রতি শিক্ষাথী ২টি, কলম ২টি, কেন্দ্র প্রতি ৮০০ টাকার একটি ব্ল্যাক বোর্ড, ৬০০ টাকার সাইনবোর্ড, ১২০০ টাকার মাদুর, কেন্দ্র ভাড়া মাসে ৫০০, জ্বালানী ৫০০ টাকা।
সম্প্রতি সরেজমিনে অর্ধশত কেন্দ্র ঘুরে দেখা যায়, কেন্দ্রের নির্ধারিত সময়ে একজন শিক্ষার্থীরও দেখা মেলেনি। স্থানীয়রা জানেই না বয়স্ক শিক্ষার জন্য এলাকায় কোন কেন্দ্রে আছে। শিক্ষকদের অভিযোগ একবার চক ডাস্টার, খাতা কলম দিলেও দেয়নি কোন মাদুর, কেন্দ্র ভাড়া, জ্বালানি খরচ, চার মাসে শিক্ষকদের বেতন দিয়েছেন ২ মাসের। ২ হাজার ৪০০ টাকার পরিবর্তে ২ হাজার টাকা। সেই টাকাও পায়নি অনেক শিক্ষক।
প্রকল্প বাস্তবায়নকারী প্রতিষ্ঠান দেশ উন্নয়ন সংস্থার পরিচালক জহিরুল ইসলাম জানান, শিক্ষকের বেতন কম, ঘর ভাড়া, বিদ্যুৎ বিল, মাদুরের জন্য খরচ না করার বিষয়ে জানতে চাইলে মুঠোফোন কেটে দেন তিনি।
জেলা উপানুষ্ঠানিক কর্মকর্তা শরীফ হাসান জানান, খরচ না করে বিল-ভাউচার করলে আমরা সেটা কর্তন করে দিব।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন