ইন্দুরকানী উপজেলা ডাকঘর নামে আছে, কাজে নাই। সাধারণ মানুষ ডাক সেবা থেকে বঞ্চিত। ২০০৯ সালে ১৫ শতাংশ জমি ক্রয় করে ১ তলা বিশিষ্ট ভবন নির্মাণ সম্পন্ন করে। ২০১১ সাল থেকে ১ জন ব্রাঞ্চ ম্যানেজার দিয়ে শুরু হয় উপজেলা ডাকঘরের কার্যক্রম। কিন্তু উপজেলা ডাকঘর থেকে সাধারণ মানুষ পাচ্ছে না কোন সুযোগ সুবিধা। এ ব্যাপারে কলারণ চন্ডিপুর থেকে আসা একজন অবসরপ্রাপ্ত শিক্ষক সুধীর কুমার জানান, ২২ কি.মি. দূর থেকে কষ্ট করে পোস্টঅফিসে এসেছিলা টাকা রাখার জন্য। এখানে এসে শুনি এই অফিসে টাকা রাখা হয় না। আমাকে যেতে হবে পিরোজপুর জেলা পোস্ট অফিসে। এছাড়া সরকারি-বেসরকারি চাকরি প্রত্যাশীরাসহ জনসাধারনের বিভিন্ন কাজে পোস্ট অফিসে গেলেও কোন সেবা পাচ্ছেনা। ইন্দুরকানী মেহেউদ্দিন মাধ্যমিক পাইলট বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক সেলিম খান জানান, আমাদের জেএসসি এসএসসির পরীক্ষার খাতাগুলো পরীক্ষা কেন্দ্র হতে প্রায় ১০ কিলোমিটার দূরে গিয়ে পাড়েহাট সাব-পোস্ট অফিসে জমা দিতে হয়। সেখানে পুলিশ ফোর্সসহ আমাদের শিক্ষকদের যেতে অতিরিক্ত খরচ বহনসহ ঝুঁকি নিয়ে কাগজপত্র জমা দিতে হয়। অথচ উপজেলা ডাকঘর থেকে পোস্টাল অর্ডার, সংঞ্চয়পত্র, পারিবারিক সঞ্চয়, এফবি, সাধারণ বিমা, জিআইপি ইস্যুসহ আরও অনেক সেবা পাওয়ার কথা যার কোন কার্যক্রমই নাই এখানে।
এ ব্যপারে পোস্টঅফিস পরিদর্শক পিরোজপুর উপবিভাগ মো. মোশারেফ হোসেন বলেন, ইন্দুরকানী উপজেলা ডাকঘর চালুর ব্যাপারে উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানানো হয়েছে। পূর্ণাঙ্গ চালুর কার্যক্রম প্রক্রিয়াধীন আছে। উপজেলা নির্বাহী অফিসার লুৎফুন্নেসা খানম জানান, উপজেলা সদরে একটি পূর্ণাঙ্গ ডাকঘর চালু থাকা অতীব জরুরি না থাকার কারণে সরকারি ডাক যোগাযোগ কাজে আমাদের অনেক সমস্যা হয় বিষয়টি উর্দ্ধতন কর্তৃপক্ষকে অবহিত করা হয়েছে।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন