বুধবার, ২৪ এপ্রিল ২০২৪, ১১ বৈশাখ ১৪৩১, ১৪ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

সারা বাংলার খবর

নেশা দ্রব্য গ্রহণ করায় জ্ঞান হারাল ইবি শিক্ষার্থী

ইবি সংবাদদাতা | প্রকাশের সময় : ২৪ মে, ২০২২, ১০:০০ পিএম

ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের (ইবি) হিউম্যান রিসোর্স ম্যানেজমেন্ট বিভাগের ২০১৯-২০ শিক্ষাবর্ষের এক শিক্ষার্থী নেশা জাতীয় দ্রব্য গ্রহণ করায় জ্ঞান হারিয়ে ফেলে। সোমবার রাত ১১টার দিকে এ ঘটনা ঘটে। ওই শিক্ষার্থীর নাম আশিকুর রহমান কোরাইশি।

জানা যায়, গত রাতে হঠাৎ করে আশিক অজ্ঞান হয়ে পড়ে। প্রায় এক ঘন্টা অজ্ঞান থাকার পর তার বন্ধুরা তাকে বিশ্ববিদ্যালয়ের চিকিৎসা কেন্দ্রে নিয়ে যায়। পরে কর্তব্যরত চিকিৎসক তার অবস্থা খারাপ দেখে তাকে কুষ্টিয়া মেডিকেলে রেফার করে।

কর্তব্যরত চিকিৎসক ওয়াহিদূর রহমান মিল্টন বলেন, ওই ছেলেটি অতি মাত্রায় মাদক সেবনের ফলে জ্ঞান হারিয়ে ফেলে। আমরা তাকে প্রাথমিক ট্রিটমেন্ট দিয়েছি। অবস্থার উন্নতি না হওয়ায় তাকে কুষ্টিয়া মেডিকেলে পাঠানো হয়।

গতরাতে আশিকুর রহমান কোরাইশি বঙ্গবন্ধু হল পুকুর পাড়ের ক্রিকেট মাঠে নেশা জাতীয় দ্রব্য গ্রহণ করেন। এসময় তার সাথে ছিলেন হিউম্যান রিসোর্স ম্যানেজমেন্ট বিভাগের সাইমুন, ডেভেলপমেন্ট স্টাডিজ বিভাগের ওমর ফারুক রিদয়, ফিন্যান্স এন্ড ব্যাংকিং বিভাগের ইমরান ও চঞ্চল ও ফোকলোর স্টাডিজ বিভাগের অঙ্গন । সকলেই ২০১৯-২০ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী বলে জানা গেছে।

এদিকে আশিকের নামে মাদকদ্রব্য নিয়ে এক সিনিয়রকে মারধর করার অভিযোগও রয়েছে। এ নিয়ে তার বিরুদ্ধে গণমাধ্যমে নিউজও প্রকাশিত হয়েছে। চলতি বছরের ২১ ফেব্রুয়ারি মধ্যরাতে গাঁজা নিয়ে অভিযোগ করায় ইইই বিভাগের ২০১৬-১৭ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী জিয়াউর রহমান জিয়া কর্তৃক মারধরের শিকার হন ফোকলোর স্টাডিজ বিভাগের ২০১৯-২০ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী আশিষ। এর পরিপ্রেক্ষিতে পরেরদিন বেলা ১১টার দিকে ভুক্তভোগী আশিষের বন্ধুরা ক্যাম্পাসের ঝাল চত্বরে অভিযুক্ত জিয়াকে মারধর করেন। এ বিষয়ে নেশা গ্রহণকারী হিউম্যান রিসোর্স ম্যানেজমেন্ট বিভাগের ২০১৯-২০ শিক্ষাবর্ষের আশিকুর রহমান কোরাইশিও জড়িত ছিলেন।

আশিকুর রহমান কোরেশির সাথে বারবার যোগাযোগ করার চেষ্টা করলেও তার মুঠোফোন বন্ধ পাওয়া যায়।

এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয় প্রক্টর প্রফেসর ড. জাহাঙ্গীর হোসেনের সাথে বারবার যোগাযোগ করার চেষ্টা করলেও সে ফোন রিসিভ করেননি।

উল্লেখ্য, গতকাল রাত তার ক্যাম্পাসে হাটাহাটি করছিল। একপর্যায়ে তারা নেশাদ্রব্য গ্রহণ করার ইচ্ছা পোষণ করে। পরে তারা ডেস্কপটেন প্লাস (সিরাপ) আর ডিসোপ্যান (ট্যাবলেট) নামের এই দুটি মেডিসিন একত্রে মিক্স করে সেবন করেন। অতিমাত্রায় সেবন করার ফলে আশিক কোরাইশি অজ্ঞান হয়ে পড়ে।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন