শুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০, ১৮ রমজান ১৪৪৫ হিজরী

আন্তর্জাতিক সংবাদ

বাইডেনকে চপেটাঘাত চীনের

ইনকিলাব ডেস্ক | প্রকাশের সময় : ২৫ মে, ২০২২, ১২:০০ এএম

তাইওয়ান ইস্যুতে আগুন নিয়ে খেলছে যুক্তরাষ্ট্র। এমন সতর্কবার্তা উচ্চারণ করেছে চীন। সোমবার চীনের স্টেট কাউন্সিলের তাইওয়ান বিষয়ক দফতর থেকে এমন সতর্কবার্তা উচ্চারণ করা হয়। এর আগে কোয়াড সম্মেলনকে কেন্দ্র করে জাপান সফরের দ্বিতীয় দিন সোমবার তাইওয়ান ইস্যুতে কথা বলেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন।
তিনি হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করে বলেন, চীন তাইওয়ানের বিরুদ্ধে শক্তি প্রয়োগ করলে সেটি যথাযথ হবে না। এটি সমগ্র অঞ্চলকে অস্থিতিশীল করে তুলবে। ইউক্রেনে যা ঘটেছে, এখানেও তাই ঘটবে। তাইওয়ানকে রক্ষায় প্রয়োজনে সামরিক হস্তক্ষেপ করবে যুক্তরাষ্ট্র। এদিকে প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের বক্তব্যকে স্পষ্ট করতে হয় হোয়াইট হাউসকে। এ নিয়ে ৩ দফা তাওয়ানকে নিয়ে প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের বক্তব্যের প্রেক্ষিতে ব্যাখ্যা দিতে হয়েছে হোয়াইট হাউসকে। গত আগস্ট ও অক্টোবরেও একই ধরনের কথা বলার পর তার সহকারীরা বিষয়টি পরিষ্কার করেন। এদিকে চীন ১শ’ ৪০ কোটি মানুষের বিপক্ষে না দাঁড়াতে মিঃ জোর প্রতি আহ্বান জানিয়েছে।
স্বশাসিত দ্বীপটি রক্ষায় ওয়াশিংটন প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। বাইডেনের এমন মন্তব্যের পরই যুক্তরাষ্ট্রের বিরুদ্ধে আগুন নিয়ে খেলার অভিযোগ তোলে চীন। একইসাথে বেইজিং ও ওয়াশিংটনের মধ্যে বিদ্যমান নীতিগুলো লঙ্ঘন করে এমন কোনো মন্তব্য বা পদক্ষেপ থেকে বিরত থাকতে বাইডেন প্রশাসনের প্রতি আহ্বান জানিয়েছে দেশটি।

চীনা স্টেট কাউন্সিলের তাইওয়ান বিষয়ক দফতরের দাবি, চীনকে দাবিয়ে রাখতে তাইওয়ান কার্ড ব্যবহার করছে ওয়াশিংটন। কিন্তু তারা যে আগুন নিয়ে খেলছে সেটি তাদেরই দগ্ধ করবে। ইউক্রেনে রাশিয়ার অভিযানকে কেন্দ্র করে স্পটলাইটে আসে তাইওয়ান। এ অঞ্চলটিও তার বৃহৎ প্রতিবেশী কর্তৃক আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকিতে রয়েছে। কিছু বিশ্লেষক এরইমধ্যে ইউক্রেন-রাশিয়া পরিস্থিতির সাথে চীন-তাইওয়ানের বাস্তবতার মিল খুঁজতে শুরু করেছেন।

দীর্ঘদিন ধরেই স্বনিয়ন্ত্রিত অঞ্চলটিতে নিজের নিয়ন্ত্রণ প্রতিষ্ঠার হুঁশিয়ারি দিয়ে আসছে বেইজিং। চীন-তাইওয়ান বিরোধের সূত্রপাত ১৯২৭ সালে। ওই সময়ে চীনজুড়ে ছড়িয়ে পড়ে গৃহযুদ্ধ। ১৯৪৯ সালে মাও সেতুংয়ের নেতৃত্বাধীন কমিউনিস্ট বিপ্লবীরা জাতীয়তাবাদী সরকারকে উৎখাতের মধ্য দিয়ে এ গৃহযুদ্ধের অবসান ঘটায়। জাতীয়তাবাদী নেতারা পালিয়ে তাইওয়ান চলে যান। এখনও তারাই তাইওয়ান নিয়ন্ত্রণ করে। চীনের বর্তমান প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং ‘উভয় পক্ষের সর্বোত্তম স্বার্থে’ চীন ও তাইওয়ানের মধ্যে ‘শান্তিপূর্ণ পুনর্মিলনের’ ওপর জোর দিয়েছেন। চীনের তাইওয়ান বিষয়ক দফতর নিয়মিতভাবে অঞ্চলটির পরিস্থিতি পর্যালোচনা করে থাকে। বিশ্ব মানচিত্রে তাইওয়ানকে স্বাধীন রাষ্ট্র হিসেবে দেখতে চায় না বেইজিং। সূত্র : ডেইলি মেইল, পলিটিকো ও আল-জাজিরা।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (4)
আহমদ ২৫ মে, ২০২২, ১:১২ এএম says : 0
বর্তমানে বিশ্বের অবস্থা তেমন ভালো যাচ্ছে না। এর মধ্যে আবার বিশ্বের দুই পরাশক্তি আমেরিকা ও চীনের রাষ্ট্রপ্রধানদের এমন বক্তব্য বিশ্বকে ভাবিয়ে তুলে। তারা এখন অস্থিতিশীল হলে বিশ্বের পরিস্থিতি ভয়ঙ্কর হবে।
Total Reply(0)
আকিব ২৫ মে, ২০২২, ১:০৪ এএম says : 0
ইউক্রেন ও রাশিয়ার যুদ্ধ এখনই না থামলে বিশ্বের জন্য এ যুদ্ধ বড় সতর্কবার্তা বয়ে আনতে পারে
Total Reply(0)
আনিছ ২৫ মে, ২০২২, ১২:৫৭ এএম says : 0
বিশ্বে যত সমস্যা হয় সব কিছূর পেছনে বড় বড় রাষ্ট্রপ্রধানরা দায়ি
Total Reply(0)
আনিছ ২৫ মে, ২০২২, ১২:৫৯ এএম says : 0
ইউক্রেন ও রাশিয়ার যুদ্ধের পেছনে যুত্তরাষ্টের বড় ইন্ধন রয়েছে। এখনো তারা চাইলে এ যুদ্ধ সমাধান করতে পারে। কিন্ত তারা তা করবে না
Total Reply(0)

এ সংক্রান্ত আরও খবর

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন