৫০ বিনিয়োগকারীর প্রায় ১০ কোটি টাকা আত্মসাতের অভিযোগ উঠেছে চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে (সিএসই) নিবন্ধিত ব্রোকারেজ হাউজ ফার্স্টলিড সিকিউরিটিজ লিমিটেডের বিরুদ্ধে। গতকাল মঙ্গলবার ক্যাপিটাল মার্কেট জার্নালিস্ট ফোরামের (সিএমজেএফ) অডিটোরিয়ামে এক সংবাদ সম্মেলনে ক্ষতিগ্রস্ত বিনিয়োগকারীরা জানান, ডুপ্লিকেট বা দ্বৈত সফটওয়ার ব্যবহার করে টাকা আত্মসাৎ করা হয়েছে।
দ্বৈত সফটওয়ার হচ্ছে অকার্যকর একটি সফটওয়ার, যেখানে বিনিয়োগকারীদের বিনিয়োগকৃত টাকা ও বিপরীতে ক্রয়কৃত শেয়ার যথাযথভাবে আছে দেখানো হয়। অপরটি প্রকৃত সফটওয়ার, যার মাধ্যমে বিনিয়োগকারীদের শেয়ার বিক্রি করে টাকা উত্তোলন করে নেয়া হয়।
ক্ষতিগ্রস্ত বিনিয়োগকরীদের অভিযোগ, ফার্স্টলিড সিকিউরিটিজের লিমিটেডের মতিঝিল শাখার পরিচালক এহেতেশামুল হক সামু এবং অফিস পরিচালক মুহাম্মদ হাসানের সহযোগিতা বিনিয়োগকারীদের টাকা আত্মসাৎ করা হয়েছে। প্রতিষ্ঠানটি চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জের ১২২ নং সদস্য। সংবাদ সম্মেলনে বিনিয়োগকারীদের পক্ষে লিখিত বক্তব্য তুলে ধরেন ক্ষতিগ্রস্ত বিনিয়োগকারী মোহাম্মদ আইয়ুব খান।
আইয়ুব খান বলেন, ফার্স্টলিড সিকিউরিটিজের চেয়ারম্যান ও ব্যবস্থাপনা পরিচালক ঢাকা অফিসের আমাদের প্রায় ৫০ জন বিনিয়োগকারীর সব শেয়ার বিক্রি করে প্রায় ১০ কোটি টাকা আত্মসাৎ করেছেন। তিনি আরও বলেন, শেয়ার বিক্রি সংক্রান্ত কোনো এসএসএস এবং মেইল ফার্স্টলিড সিকিউরিটিজ থেকে আমরা কখনো পেতাম না। বিষয়টি তাদের জানানো হলে তারা সব ঠিক হয়ে যাবে বলে আশ্বস্ত করতেন। কিন্তু শেষ পর্যন্ত তা হয়নি বাধ্য হয়ে আমরা অন্য হাউজে বিও হিসাব খুলে শেয়ার হস্তান্তরের সিদ্ধান্ত নেই, সেটাও হয়নি। পরে জানতে পেরেছি ২০২১ সালের মার্চ থেকে ফার্স্টলিড সিকিউরিটিজের লেনদেন বন্ধ করে রেখেছে বিএসইসি।
বিএসইসির চেয়ারম্যানের প্রতি বিনিয়োগকারীরা বলেন, আমরা সব টাকা হারিয়ে নিঃস্ব। আমাদের টাকা ফেরত দেওয়ার ব্যবস্থা করুন। শেয়ার বাজারকে বাঁচান, নিঃস্ব বিনিয়োগকারীদের বাঁচান। সংবাদ সম্মেলনে ক্ষতিগ্রস্ত বিনিয়োগকারীদের পক্ষে আরো উপস্থিত ছিলেন বিনিয়োগকারী কামরুন্নাহারের স্বামী মোহাম্মদ আলী, মোহাম্মদ আলী চোকদার, মোহাম্মদ শহীদুল্লাহ, কৃষ্ণ রায়, কামরুজ্জামান, সাইফুল ইসলাম এবং মোহাম্মদ আইনুর প্রমুখ।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন