স্পর্শকাতর জ্ঞানবাপী মসজিদ মামলা নিয়ে ভারতজুড়ে চর্চা চলছে। এর মধ্যেই বিতর্কে বেঙ্গালুরুর এক বেসরকারি স্কুল। জ্ঞানবাপী মসজিদকে গুগল ম্যাপে ‘মন্দির’ বলে উল্লেখ করতে প্রাক্তনীদের ইমেলে নির্দেশ দিল ওই স্কুল কর্তৃপক্ষ। স্বাভাবিক ভাবেই এই নির্দেশ ঘিরে বিতর্ক তুঙ্গে।
গত ২০ মে এই ইমেল করা হয়েছিল। বিতর্কের মধ্যে এবার স্কুল কর্তৃপক্ষের তরফে জানানো হল ওই ইমেলটি করা হয়েছিল যথাযথ ভাবে যাচাই না করেই পাঠানো হয়েছিল। স্কুলের তরফে জারি করা বিবৃতিতে বলা হয়েছে, ”ধর্মীয় আবেগকে অসম্মান করে একটি ইমেল পাঠানোর বিষয়টি আমরা লক্ষ করেছি। সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিয়ে ইস্যুটি বিবেচনা করা হচ্ছে। আমাদের তরফে এটা জানিয়ে দেয়া হচ্ছে যে যথাযথ ভাবে যাচাই না করেই ইমেলটি পাঠানো হয়েছিল। ভারতের সাংস্কৃতিকও ধর্মীয় বৈচিত্রের জন্য আমরা গর্বিত। আমাদের স্কুলে আমরা সেই সংক্রান্ত অনুশীলন প্রতিনিয়ত বজায় রাখি।”
রাজ্যের এক প্রাক্তনী প্রীতি কৃষ্ণমূর্তি জানিয়েছেন, গত ২০ মে তিনি এমন একটি ইমেল পান। সোশ্যাল মিডিয়ায় তিনি বিষয়টি উত্থাপন করে তাঁর বিস্ময় প্রকাশ করেন। তার দাবি, ‘আমি এমন একটা ইমেল পেয়ে শিহরিত। এটা আমার স্কুল পাঠিয়েছে বলেই নয়। এমন একটা মেল কোনও স্কুল পাঠাতে পারে।’
প্রসঙ্গত, ২০২১-এর আগস্টে পাঁচ হিন্দু মহিলা জ্ঞানবাপীর ‘মা শৃঙ্গার গৌরী’ (ওজুখানা ও তহখানা নামে পরিচিত) এবং মসজিদের অন্দরের পশ্চিমের দেওয়ালে দেবদেবীর মূর্তির অস্তিত্বের দাবি করে তা পূজার্চনার অনুমতি চেয়েছিলেন বারাণসী আদালতে। সেই মামলায় কয়েকদিন আগেই বারাণসী আদালতের নির্দেশে জ্ঞানবাপী মসজিদের ভিতরে শুরু হয়েছিল ভিডিও সার্ভে।
এরপরই দাবি ওঠে একটি ‘শিবলিঙ্গ’ রয়েছে ওজুখানায়। জ্ঞানবাপী মামলাটি নিম্ন আদালতে ফিরিয়ে দিয়েছে সুপ্রিম কোর্ট। সেই সঙ্গে জানিয়ে দিয়েছে, আপাতত সিল থাকবে মসজিদের ওজুখানাটি। তবে নামাজ আদায় করতে যারা আসবেন, তাদের জন্য অন্য ব্যবস্থা করে দিতে হবে বলেও জানিয়েছে শীর্ষ আদালত। সূত্র: টাইমস নাউ।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন