শুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০, ১৮ রমজান ১৪৪৫ হিজরী

সারা বাংলার খবর

দর্শনা রেলস্টেশন দিয়ে আমদানি করা পেঁয়াজ আটকে দিলো কাস্টমস্

চুয়াডাঙ্গা জেলা সংবাদদাতা : | প্রকাশের সময় : ২৬ মে, ২০২২, ১২:০১ এএম

সরকারি সিদ্ধান্ত অমান্য করে চুয়াডাঙ্গার দামুড়হুদা উপজেলার দর্শনা রেলস্টেশন দিয়ে ভারত থেকে অবৈধভাবে আমদানি করা পেঁয়াজ অবশেষে আটকে দিলো কাস্টমস্। গত সোমবার ভারতের গেদে রেল স্টেশনে দাঁড়িয়ে থাকা পেঁয়াজ বোঝায় মালবাহী ট্রেনটি এদেশের হাইকোর্টের একটি আদেশের বলে দেশে ঢোকার অনুমতি পায়। কাস্টমস্ কর্তৃপক্ষ গত মঙ্গলবার দুপুরের পর আমদানিকারকের বিরুদ্ধে বিভাগীয় মামলার পর ভারত থেকে অবৈধভাবে আমদানি করা পেঁয়াজের চালান আটকে দেয় যা গতকাল বুধবার বিকাল পর্যন্ত আটকে ছিলো।

ঢাকা খামার বাড়ির উদ্ভিদ সংগনিরোধের মহাপরিচালক রনজিৎ কুমার পাল হাইকোর্টের একটি আদেশ সম্বলিত চিঠি চুয়াডাঙ্গার দর্শনা উদ্ভিদ সংগনিরোধ কার্যালয় বরাবর পাঠায়। তাতে উল্লেখ করা হয়, যেহেতু মেসার্স সাজ্জাদ এন্টারপ্রাইজের আমদানি অনুমতি নেই। কিন্তু পেঁয়াজ একটি পচনশীল দ্রব্য সে ক্ষেত্রে মানবিক বিবেচনায় তা ছাড় করার ব্যাপারে সহযোগিতা করা যেতে পারে। এই চিঠির বলে দর্শনা উদ্ভিদ সংগনিরোধ কর্তৃপক্ষ পেঁয়াজ ছাড়ের অনুমতি দেয়। এরপর কাস্টমস্ কর্তৃপক্ষের কাছে খবর আসে পেঁয়াজ আমদানির জন্য ১ হাজার ৮৬ দশমিক ৭৫ মেট্রিক টনের ডিক্লিয়ারেশ ছিলো কিন্তু আমদানিকারক প্রতিষ্ঠান ১৫% বেশি পণ্য দেশে নিয়ে এসেছে। ওই দিন রাতেই যশোর কাস্টমস্ এক্সাসাইজ ভ্যাটের যুগ্ম-কমিশনার নাহিদ নওশাদ মুকুলের নেতৃত্বে একটি দল দর্শনায় পৌঁছে পেঁয়াজ ভর্তী মালবাহী ট্রেনে তল্লাশী চালিয়ে অবৈধ পেঁয়াজের অস্তিত্ব পায়। তারপর কাস্টমস্ কর্তৃপক্ষ ওই পেঁয়াজ স্থান্তরের রোধ করে আমদানিকারক প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে বিভাগীয় মামলার নির্দেশ দেয়। বিভাগীয় মামলা হওয়ার পর আমদানিকারক প্রতিষ্ঠান ২৫ লাখ টাকা সরকারি কোষাগারে জমা দেয়ার অঙ্গিকার করে মামলাটি নিস্পত্তি করে। ব্যাংকে উল্লেখিত টাকা জমা দেয়ার পর দর্শনা থেকে পেঁয়াজের চালানটি ছাড় করতে পারবে বলে কাস্টমস্ যুগ্ম-কমিশনার নাহিদ নওশাদ মুকুল জানান। একটি সূত্র জানায়, মেসার্স সাজ্জাদ এন্টারপ্রাইজের স্বত্ত্বাধীকারী মাসুদ আলম আমদানি করা পণ্য নিজে বিক্রি না করে গেট পাস বিক্রি করেন। যে একটি আমদানি নীতি বহিভূত। এছাড়া হাইকোর্টে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সিদ্ধান্তটি ভুলভাবে উপস্থাপন করে তিনি রাষ্টীয় সিদ্ধান্তকে চ্যালেঞ্জ করেছেন। যা আমদানি নীতির পরিপন্থি।
চুয়াডাঙ্গার দর্শনা সি অ্যান্ড এফ এজেন্ট ফিজা এন্টারপ্রাইজের স্বত্ত্বাধিকারী রায়হান জানান, চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলার গোয়ালপাড়ার ইমরান মার্কেটের মেসার্স সাজ্জাদ এন্টারপ্রাইজের স্বত্ত্বাধিকারী মাসুদ আলম ভারত থেকে ৪০ ওয়াগন পেঁয়াজ আমদানির জন্য এলসি খোলে।
পেঁয়াজ ভারত থেকে বেশি কম ঢোকার ব্যাপারে তাদের করণীয় কিছুই থাকে না। সেটা জানাও যায় না।
চুয়াডাঙ্গার দর্শনা উদ্ভিদ সংগনিরোধ কেন্দ্রের উপ-পরিচালক কৃষিবিদ মনিরুজ্জামান জানান, ঢাকা থেকে দাফতরিক যে সিদ্ধান্ত দেয়া হয়েছে পেঁয়াজ ছাড়ের ব্যাপারে কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণ করা হয়েছে।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন