বুধবার, ১৭ এপ্রিল ২০২৪, ০৪ বৈশাখ ১৪৩১, ০৭ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

আন্তর্জাতিক সংবাদ

তুরস্ককে মানানোর চেষ্টায় সুইডেন-ফিনল্যান্ড

অনলাইন ডেস্ক | প্রকাশের সময় : ২৬ মে, ২০২২, ১০:৪০ এএম

মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের নেতৃত্বে সামরিক জোট ন্যাটোতে যোগ দিতে জোর প্রচেষ্টা চালাচ্ছে সুইডেন ও ফিনল্যান্ড। আনুষ্ঠানিক আবেদন জমা দেয়ার পর তারা তুরস্কের আপত্তি কাটিয়ে ওঠার চেষ্টা করছে। তারই অংশ হিসেবে আঙ্কারায় শীর্ষ কর্মকর্তাদের সঙ্গে বৈঠক করেছেন দেশ দুটির প্রতিনিধি দল।

বুধবার তুরস্কের রাজধানীতে তিন দেশের মধ্যে প্রায় পাঁচ ঘন্টা আলোচনা চলে। খবর এসোসিয়েট প্রেসের

সুইডেন ও ফিনল্যান্ড গত সপ্তাহে ন্যাটোতে যোগদানের জন্য লিখিত আবেদনপত্র জমা দিয়েছে। এই পদক্ষেপটি হচ্ছে ইউক্রেনে রাশিয়ার যুদ্ধের অন্যতম প্রধান ভূ-রাজনৈতিক বিভাজন এবং এর ফলে ইউরোপের নিরাপত্তার মানচিত্র নতুন করে আঁকা হতে পারে।

তবে সুইডেন ও ফিনল্যান্ডের ন্যাটোতে যোগদানের ব্যাপারে ঘোর আপত্তি তুলেছে তুরস্ক। দেশ দুটির বিরুদ্ধে আঙ্কাকার গুরুতর অভিযোগ রয়েছে। তুরস্ক মনে করে ওই দু’টি দেশ কুর্দিশ ওয়ার্কার্স পার্টি বা পিকেকে এবং অন্যান্য গোষ্ঠীকে সমর্থন করে যাদেরকে তুরস্ক নিজেদের দেশের নিরাপত্তার প্রতি হুমকি বলে গণ্য করে।

তুরস্কের অনেক মিত্র পক্ষই পিকেকেকে সন্ত্রাসবাদী সংগঠন হিসেব তালিকাবদ্ধ করেছে। পিকেকে এক দশক ধরে তুরস্কের বিরুদ্ধে বিদ্রোহ করে যাচ্ছে এবং এই সংঘাতে হাজার হাজার লোকের প্রাণহানি ঘটেছে। তুরস্কের সরকার সে দেশের উপর অস্ত্র নিষেধাজ্ঞা আরোপ করার জন্য এবং সন্দেহভাজন সন্ত্রাসীদের প্রত্যর্পণ করতে অস্বীকার করার জন্য ফিনল্যান্ড ও সুইডেনকে দোষারোপ করছে।

তুরস্কের আপত্তির কারণে রাশিয়ার ইউক্রেন আক্রমণের মুখে স্টকহোম ও হেলিসংকির দ্রুত ন্যাটোতে যোগ দেয়ার আশা ব্যাহত হয়েছে এবং ট্রান্স-আটলান্টিক ওই জোটের বিশ্বাসযোগ্যতাকে ঝুঁকির মুখে ফেলেছে। নতুন সদস্যপদ অনুমোদনের জন্য ন্যাটোর তিরিশটি সদস্যের সকলকেই সম্মত হতে হবে।

তুরস্কের কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, সুইডেন ও ফিনল্যান্ডের প্রতিনিধিদল প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়েপ এরদোয়ানের মুখপাত্র ইব্রাহিম কালিন ও তুরস্কের উপ-পররাষ্ট্র মন্ত্রী সেদাত ওনালের সঙ্গে বৈঠক করেছেন। সুইডেনের প্রতিনিধি দলের নেতৃত্ব দেন স্টেট সেক্রেটারি অস্কার স্টেনসট্রম এবং ফিনল্যান্ডের প্রতিনিধি দলের নেতৃত্বে ছিলেন পররাষ্ট্র মন্ত্রকের আন্ডার সেক্রেটারি জুক্কা সালোভারা।

এদিকে স্টকহোমে ইউরোপীয় কাউন্সিলের প্রেসিডেন্ট চার্লস মিশেলের সঙ্গে এক বৈঠকের পর সুইডেনের প্রধানমন্ত্রী মাগডালেনা অ্যান্ডারসন বলেন যে, তুরস্কের সঙ্গে আলোচনার সময়ে যেসব দাবি ভেসে বেড়াচ্ছে তার দেশ সে বিষয়টি পরিস্কার করে জানাতে চায়। অ্যান্ডার্সন বলেন, 'আমরা কোন সন্ত্রাসী সংগঠনকে অর্থ কিংবা অস্ত্র দেই না'।

বুধবার আরো পরের দিকে এস্তোনিয়ার প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে এক সংবাদ সম্মেলনে অ্যান্ডারসন বলেন, তুরস্কের সঙ্গে সুইডেনের গঠনমূলক সংলাপ হয়েছে এবং তার দেশ বিভিন্ন বিষয়ে ভুল বোঝাবুঝি এবং সকল প্রশ্নের নিস্পত্তি করতে আগ্রহী।

তুরস্ক সুইডেনের কাছ থেকে পাঁচটি বিষয়ে নিশ্চয়তা চায়। যার মধ্যে রয়েছে, 'সন্ত্রাসবাদের প্রতি রাজনৈতিক সমর্থনের পরিসমাপ্তি ঘটানো', 'সন্ত্রাসবাদকে অর্থায়নের উৎস নিশ্চিহ্ন করে দেয়া' এবং নিষিদ্ধ ঘোষিত পিকেকে এবং এর সঙ্গে সংশ্লিষ্ট সিরিয়ান কুর্দিশ মিলিশিয়া গোষ্ঠিকে অস্ত্র সহায়তা প্রদান বন্ধ করতে হবে।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

এ সংক্রান্ত আরও খবর

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন