বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১, ১৫ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

মহানগর

ক্যালকাটা চেম্বার অব কমার্স-এর সাথে ঢাকা চেম্বারের প্রতিনিধিদলের মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত

অর্থনৈতিক রিপোর্টার | প্রকাশের সময় : ২৬ মে, ২০২২, ২:২০ পিএম

দ্বিপাক্ষিক ব্যবসা-বাণিজ্য এবং বিনিয়োগের নতুন সম্ভাবনা খুঁজে পাওয়ার লক্ষ্যে ঢাকা চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রি (ডিসিসিআই)-এর সভাপতি রিজওয়ান রাহমানের নেতৃত্বে ভারতের পশ্চিমবঙ্গ সফররত ডিসিসিআই’র ৪৯ সদস্য বিশিষ্ট প্রতিনিধিদলের সাথে ক্যালকাটা চেম্বার অব কমার্স-এর মতবিনিময় সভা গত ২৫ মে, ২০২২ তারিখে কলকাতার স্থানীয় একটি হোটেলে অনুষ্ঠিত হয়।

অনুষ্ঠানে ক্যালকাটা চেম্বারের সভাপতি শৈলজা মেহতা বলেন, দক্ষিণ এশিয়ার দেশগুলোর মধ্যে বাংলাদেশের বৃহত্তর বাণিজ্য সহযোগী দেশ হলো ভারত। সম্ভাবনাময় দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্য ও বিনিয়োগ সম্প্রসারণে তিনি দুদেশের পণ্য উৎপাদন ও ব্যবসায়িক কার্যক্রমের বহুমুখীকরণ এবং শিল্পখাতের প্রতিনিধিবৃন্দের মধ্যকার সম্পর্ক আরো জোরদারের প্রস্তাব করেন। বাজারে প্রবেশাধিকারের সুযোগ সহজীকরণ, ভৌত যোগাযোগ ও পণ্য পরিবহন অবকাঠামোর উন্নয়ন প্রভৃতি বিষয়গুলো বাংলাদেশ ও ভারতের দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্য সম্ভাবনাকে কাজে লাগাতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করতে পারে বলে তিনি মত প্রকাশ করেন। পর্যটনকে অন্যতম সম্ভাবনাময় খাত হিসেবে উল্লেখ করে ক্যালকাটা চেম্বারের সভাপতি বলেন, দুদেশের যৌথ উদ্যোগের মাধ্যমে এখাতের অগ্রযাত্রা নিশ্চিত করা সম্ভব।

উক্ত মতবিনিময় সভায় ঢাকা চেম্বারের সভাপতি রিজওয়ান রাহমান বলেন, শক্তিশালী স্থানীয় অর্থনীতি, উদ্যোমী বেসরকারিখাত এবং সম্প্রসারণমুখী বৈদেশিক বিনিয়োগ নীতিমালার কারণে বাংলাদেশে পৃথিবীতে একটি দ্রæত বর্ধনশীল অর্থনীতির দেশ হিসেবে স্বীকৃতি পেয়েছে এবং ২০২৬ সালে বাংলাদেশ ‘উন্নয়নশীল দেশ’-এ পরিগনিত হবে। তিনি উল্লেখ করেন, দুদেশের মধ্যকার ঐতিহাসিকভাবে বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক বজায়ে রাখার মাধ্যমে দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্য ৯.৮৭ বিলিয়ন মার্কিন ডলারের উন্নীত হয়েছে, যদিও বিশ^ব্যাংক মনে করে, আমাদের দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্য ১৬.৪ বিলিয়ন মার্কিন ডলারে উন্নীত করা সম্ভব। ডিসিসিআই সভাপতি বলেন, নন-ট্যারিফ প্রতিবন্ধকতা, দুদেশের স্থলবন্দর সমূহের অবকাঠামোখাতের আধুনিকায়ন, রুলস অব অরিজিন’র সহজীকরণ, সাফটা-এর তালিকা পুনঃমূল্যায়ন, এন্টিডাম্পিং শুল্ক প্রত্যাহার এবং দুদেশের মধ্যকার ‘কমপ্রিহেনসিভ ইকোনোমিক পার্টনারশীপ এগ্রিমেন্ট’ স্বাক্ষরের মাধ্যমে দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্যকে কাঙ্খিত মাত্রায় উন্নীত হতে পারে। ঢাকা চেম্বারের সভাপতি জানান, ভারতীয় উদ্যোক্তাবৃন্দ বাংলাদেশে ইতোমধ্যে ৩.৫৫ বিলিয়ন মার্কিন ডলার বিনিয়োগ করেছে, এছাড়াও ঔষধ, পাদুকা, জ¦ালানী, কৃষি ও খাদ্য-প্রক্রিয়াজাতকরণ এবং তথ্য-প্রযুক্তি খাতে বাংলাদেশে ভারতীয় বিনিয়োগের প্রচুর সম্ভাবনা রয়েছে। পাশাপাশি দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্যের অধিকতর উন্নয়নে শুল্ক বর্হিভ‚ত প্রতিন্ধকতাসমূহ আলোচনার মাধ্যমে দ্রæত নিরসন, বাণিজ্য প্রতিনিধিদলের সফর, খাতভিত্তিক বাণিজ্যমেলা আয়োজন এবং বিটুবি ম্যাচমেকিং-এর মাধ্যমে দুদেশের বেসরকারিখাতের প্রতিনিধিবৃন্দের মধ্যকার যোগাযোগ আরো সুদৃঢ়করণের প্রস্তাব করেন, ডিসিসিআই সভাপতি।

মতবিনিময় সভায় যোগদানকারী কলকাতায় নিযুক্ত বাংলাদেশের ডেপুটি হাইকমিশনার আন্দালিব ইলিয়াস বলেন, বাংলাদেশ ও ভারতের মধ্যকার দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্যের ঘাটতি রয়েছে, তবে প্রতিনিয়ত তা কমছে এবং গত ৫-৬ বছরে দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্য প্রায় আড়াই গুন বৃদ্ধি পেয়েছে। তিনি উল্লেখ করেন, বাণিজ্য ও বিনিয়োগ সম্প্রসারণের লক্ষ্যে কলকাতর বেসরকারিখাতের প্রতিনিধিবৃন্দের পাশাপাশি রাজ্য সরকারের সাথে হাইকমিশন ঘনিষ্ঠ ভাবে কাজ করে যাচ্ছে।

অনুষ্ঠান শেষে ঢাকা চেম্বারের প্রতিনিধিদলের সদ্যবৃন্দের সাথে ক্যালকাটা চেম্বারের সদস্যবৃন্দের বিটুবি ম্যাচ-মেকিং অনুষ্ঠিত হয়।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন