বুধবার, ২৪ এপ্রিল ২০২৪, ১১ বৈশাখ ১৪৩১, ১৪ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

ব্যবসা বাণিজ্য

জাহাজ নির্মাণে ২ হাজার কোটি টাকা ঋণ দেবে ব্যাংক

অর্থনৈতিক রিপোর্টার | প্রকাশের সময় : ২৭ মে, ২০২২, ১২:৩১ এএম

অপেক্ষাকৃত স্বল্প সুদ বা মুনাফায় ঋণ বা বিনিয়োগ প্রদানের মাধ্যমে জাহাজ নির্মাণ শিল্পের উন্নয়ন, পরিচালনা ও বিকাশের লক্ষ্যে বাংলাদেশ ব্যাংক ২ হাজার কোটি টাকার একটি পুনঃঅর্থায়ন স্কিম গঠন করেছে। গতকাল বৃহস্পতিবার বাংলাদেশ ব্যাংক এ সংক্রান্ত একটি সার্কুলার জারি করেছে। এতে বলা হয়েছে, জাহাজ শিল্পের টেকসই উন্নয়ন, রফতানি আয় ও কর্মসংস্থান বৃদ্ধি এবং আমদানি নির্ভরতা ক্রমান্বয়ে কমিয়ে এনে দেশের আর্থ-সামাজিক অবস্থার উন্নয়নের লক্ষ্য সামনে রেখে সরকার ‘জাহাজ নির্মাণ শিল্প উন্নয়ন নীতিমালা ২০২১’ প্রণয়ন করেছে। এরই আলোকে জাহাজ নির্মাণ শিল্পের জন্য পুনঃঅর্থায়ন স্কিম গঠন করেছে বাংলাদেশ ব্যাংক।

বাংলাদেশে কার্যরত সব তফসিলি ব্যাংক এ পুনঃঅর্থায়ন সুবিধা গ্রহণের যোগ্য বলে বিবেচিত হবে। এ স্কিমের পরিচালনাগত কার্যক্রম ডিপার্টমেন্ট অব অফ-সাইট সুপারভিশন, বাংলাদেশ ব্যাংক, প্রধান কার্যালয় কর্তৃক সম্পাদিত হবে। পুনঃঅর্থায়নের আবেদন পদ্ধতি, প্রয়োজনীয় দলিলাদি দাখিলসহ তহবিল ব্যবস্থাপনার ক্ষেত্রে ডিপার্টমেন্ট অব অফ-সাইট সুপারভিশন কর্তৃক প্রদত্ত নির্দেশনা অনুসরণীয় হবে।
জাহাজ নির্মাণকারী রফতানিমুখী ও স্থানীয় শিল্প প্রতিষ্ঠানের অনুকূলে এ স্কিমের আওতায় ঋণ/বিনিয়োগ সুবিধা প্রদান করা যাবে। এ স্কিমের আওতায় ডকইয়ার্ড নির্মাণ বা জমি ক্রয়/ইজারার বিপরীতে ঋণ/বিনিয়োগ প্রদান করা যাবে না; ব্যাংক কোম্পানি আইন, ১৯৯১ এর সংশ্লিষ্ট ধারা মোতাবেক কোনও খেলাপি ঋণ গ্রহীতার অনুকূলে এ স্কিমের আওতায় ঋণ/বিনিয়োগ প্রদান করা যাবে না; এ স্কিম হতে গৃহীত ঋণ/বিনিয়োগ দ্বারা কোনোভাবেই অপর কোনও ঋণ/বিনিয়োগ পরিশোধ বা সমন্বয় করা যাবে না।
অংশগ্রহণকারী ব্যাংক ১ শতাংশ সুদ হারে বাংলাদেশ ব্যাংক হতে পুনঃঅর্থায়ন সুবিধা গ্রহণ করতে পারবে। এ স্কিমের আওতায় গ্রাহক পর্যায়ে সুদের হার হবে সর্বোচ্চ ৪ দশমিক ৫ শতাংশ। মেয়াদি ঋণ/বিনিয়োগের ক্ষেত্রে জাহাজ নির্মাণের জন্য গ্রাহকের চাহিদা অনুযায়ী ব্যাংক সর্বোচ্চ ৩ বছরের গ্রেস পিরিয়ডসহ সর্বোচ্চ ১২ বছর মেয়াদে ঋণ বিতরণ করতে পারবে।

গ্রেস পিরিয়ড শেষে ৯ বছরের মধ্যে মাসিক/ত্রৈমাসিক সমকিস্তিতে এ ঋণ পরিশোধ করতে হবে।
এ স্কিমের আওতায় ব্যাংক নিজস্ব তহবিল হতে ১ বছর মেয়াদে চলতি মূলধন ঋণ প্রদান করতে পারবে। এ ক্ষেত্রে ব্যাংক প্রচলিত নিয়মানুসারে ব্যাংকার-গ্রাহক সম্পর্কের ভিত্তিতে ঋণ প্রদান করবে এবং ব্যবসায়িক লেনদেন সন্তোষজনক হলে তা নবায়ন করতে পারবে। তবে, নবায়নের মাধ্যমে কোনও গ্রাহক সর্বোচ্চ ৩ বছর এ স্কিমের আওতায় ঘোষিত সুবিধাপ্রাপ্ত হবে। বাংলাদেশ ব্যাংক প্রয়োজন বিবেচনায় চলতি মূলধন বাবদ প্রদত্ত ঋণের বিপরীতে এ স্কিমের আওতায় প্রদত্ত সুবিধার সময় হ্রাস/বৃদ্ধি করতে পারবে।
কার্যাদেশ/রফতানি/বিক্রয় চুক্তির বিপরীতে প্রদত্ত ঋণের মেয়াদ সংশ্লিষ্ট কার্যাদেশ/রফতানি/বিক্রয় চুক্তির শর্তানুযায়ী মূল্য পরিশোধের সময়ের সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে নির্ধারিত হবে। তবে তা কোনোভাবেই বর্ণিত সর্বোচ্চ ৩ বছরের গ্রেস পিরিয়ডসহ ১২ বছরের অধিক হবে না। গ্রাহকের প্রয়োজন বিবেচনায় বিদ্যমান বিধি-বিধান অনুসরণপূর্বক ব্যাংকার-গ্রাহক সম্পর্কের ভিত্তিতে এ স্কিমের আওতায় ঋণ/বিনিয়োগ বিতরণ করা যাবে; ঋণের সদ্ব্যবহার নিশ্চিতকরণপূর্বক বিভিন্ন কিস্তিতে ব্যাংক মঞ্জুরিকৃত ঋণ/বিনিয়োগ বিতরণ করতে পারবে। এ ক্ষেত্রে, কিস্তির পরিমাণ ৩টির কম হবে না।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন