মঙ্গলবার, ২৩ এপ্রিল ২০২৪, ১০ বৈশাখ ১৪৩১, ১৩ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

সম্পাদকীয়

তথাকথিত গণকমিশনের মতলব কী?

মুনশী আবদুল মাননান | প্রকাশের সময় : ২৮ মে, ২০২২, ১২:০৬ এএম

বাংলাদেশের প্রধান সমস্যা কী? তা কি মৌলবাদী ও সাম্প্রদায়িক সন্ত্রাস? মৌলাবাদী ও সাম্প্রদায়িক সন্ত্রাসের অস্তিত্ব দেশে নেই। কারণ, এ দেশের মানুষ না মৌলবাদী, না সাম্প্রদায়িক। তা সত্ত্বেও ঘাতক দালাল নির্মূল কমিটি (ঘাদানিক) কিংবা এ ধরনের কোনো কোনো সংগঠন মনে করে, বাংলাদেশের প্রধান সমস্যা মৌলবাদী ও সাম্প্রদায়িক সন্ত্রাস। যার অস্তিত্ব নেই, প্রমাণ নেই, তা আছে বলে মনে করা উদ্দেশ্যমূলক। কী সেই উদ্দেশ্য, সেটাই প্রশ্ন।

বাংলাদেশকে একটি মৌলবাদী রাষ্ট্র এবং এর জনগণকে সাম্প্রদায়িক হিসেবে চিহ্নিত কারার অপচেষ্টা অনেকদিন ধরেই করা হচ্ছে। তবে তা কোনোভাবেই স্বীকৃত হচ্ছে না। উল্টো বাংলাদেশকে আন্তর্জাতিকভাবে একটি ‘মডারেট মুসলিম দেশ’ হিসেবে পরিচয় দেয়া হচ্ছে। এর জনগণকে বলা হচ্ছে মানবিক, উদার, অসম্প্রদায়িক। সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির ‘রোল মডেল’ হিসেবে গণ্য করা হয় বাংলাদেশকে। এই প্রেক্ষাপটে ঘাদানিক ও জাতীয় সংসদের আদিবাসী ও সংখ্যালঘু বিষয়ক ককাস বাংলাদেশ যে মৌলবাদী ও সাম্প্রদায়িক সন্ত্রাসের অভয়ভূমি, তা প্রমাণ করার জন্য ‘বাংলাদেশে মৌলবাদী ও সাম্প্রদায়িক সন্ত্রাস তদন্তে গণকমিশন’ নামে একটি ‘সংগঠন’ খাড়া করে। এই সংগঠনের তরফে ‘বাংলাদেশে মৌলবাদী ও সাম্প্রদায়িক সন্ত্রাসের ২০০০ দিন’ শীর্ষক একটি শ্বেতপত্র সম্প্রতি প্রকাশিত হয়েছে। শ্বেতপত্রে দেশের খ্যাতিমান ১১৬ জন আলেম, যারা ওয়ায়েজিন হিসেবে জনপ্রিয় এবং এক হাজার মাদারাসাকে লক্ষ্যবস্তু করা হয়েছে।

বলার অপেক্ষা রাখে না, ঘাদানিক নামের সংগঠনটির কথা এখন মানুষ প্রায় ভুলেই যেতে বসেছে। বলতে হয়, চিরতরে এটি হারিয়ে যাওয়ার পথে। জনসমর্থন ও প্রভাব যেকোনো সংগঠনের টিকে থাকার মূল ভিত্তি। ঘাদানিকের ক্ষেত্রে এ ভিত্তি এখন নেই বললেই চলে। অপর যে সংগঠনটি তথাকথিত গণকমিশনের সহপ্রতিষ্ঠাতা তার নামেই যথেষ্ট আপত্তি রয়েছে। আমদের সংবিধান ও আইন ‘আদিবাসী’ ও ‘সংখ্যালঘু’র অস্তিত্ব স্বীকার করে না। অথচ তার পরিচয় হলো ‘জাতীয় সংসদের আদিবাসী ও সংখ্যালঘু বিষয়ক ককাস’। কেমন করে এ নামে কোনো সংগঠন হতে পারে, তা নিয়ে প্রশ্ন ওঠা অবান্তর নয়।

যাহোক, ঘাদানিক ও ককাসের যৌথ প্রযোজনায় গড়ে ওঠা গণকমিশন প্রণীত শ্বেতপত্রের শিরোনাম থেকে বুঝা যায়, প্রকল্পটি বিশাল। বাংলাদেশে মৌলবাদী ও সাম্প্রদায়িক সন্ত্রাসের ২০০০ দিনের যে চিত্র তাতে থাকার কথা, তা কতটা ও কীভাবে আছে, সেটা এ মুহূর্তে আমরা বলতে পারছি না। ১১৬ জন বিশিষ্ট ও গণ্যমাণ্য আলেম এবং এক হাজার মাদরাসার বিষয়টি সর্বত্র আলোচিত হচ্ছে। ওইসব আলেম ও মাদরাসা সম্বন্ধে শ্বেতপত্রে যা বলা হয়েছে, তার বিরুদ্ধে দেশের আলেম সমাজ, ধর্মপ্রাণ মানুষ ও মাদরাসার ছাত্র-শিক্ষকরা সোচ্চার। তাদের মতে, আলেম-ওলামা ও মাদরাসার বিরুদ্ধে উদ্দেশ্যমূলক, মিথ্যা ও ভিত্তিহীন অভিযোগ করা হয়েছে।

আমাদের দেশ ও সমাজে আলেম-ওলামা অত্যন্ত শ্রদ্ধেয়। শুধু ধর্মীয় বিষয়েই নয়, সমাজের অন্যান্য বিষয়েও নেতৃত্ব দিয়ে থাকেন আলেম-ওলামা। আর মাদরাসা শিক্ষা ব্যবস্থাই আমাদের আদি শিক্ষা ব্যবস্থা। ইসলাম প্রচার ও প্রতিষ্ঠার ক্ষেত্রে আলেম ও মাদরাসা শিক্ষার অবদান প্রশ্নাতীত। এ কথা করো অজানা নেই, এ দেশে ইসলামপ্রচারক আলেম, পীর-মাশায়েখ ও সুফী-দরবেশদের মাধ্যমেই ইসলামের বিস্তার ঘটেছে। তাদের আস্তানা ও খানকা ইসলামি শিক্ষাকেন্দ্র ও জনসেবাকেন্দ্র হিসেবে ভূমিকা রেখেছে। এখনো আলেম, পীর কিংবা সুফীদের একই ভূমিকা পালন করতে দেখা যায়। ব্রিটিশ আমলে সবদিক থেকে পর্যদুস্ত মুসলিম সমাজে নানা উপদ্রব দেখা যায়। খ্রিস্টান মিশনারীদের ধর্মান্তর করা তার মধ্যে বিশেষভাবে উল্লেখ যোগ্য। তখন মুসলমান হিসেবে টিকে থাকাই কঠিন হয়ে পড়ে। সে সময় আলেমরা খ্রিস্টান মিশনারীদের অপকর্মের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়ান। গ্রামে গ্রামে ইসলামের প্রচার-প্রচারণা চালানোর পাশাপাশি ওয়াজের ব্যবস্থা করেন। এ প্রসঙ্গে মুনশী মেহেরুল্লাহ, মুনশী জমিরউদ্দিন প্রমুখের কথা বিশেষভাবে উল্লেখ করা যায়। তারা ওয়াজের প্রচলন করেন, ওয়াজ-নসিহত বাড়িয়ে দেন। সেইসঙ্গে খ্রিস্টান মিশনারীদের রুখতে তাদের সঙ্গে বাহাসের আয়োজন করেন। প্রকাশ্যে সমাবেশে খ্রিস্টান মিশনারীদের সঙ্গে তর্কযুদ্ধে বিজয়ী হয়ে তারা স্বধর্ম ও স্বসমাজ রক্ষা করেন। আজকের আলেমরা তাদেরই উত্তরসূরি।

যতদূর জানা গেছে, শ্বেতপত্রে আলেমদের বিরুদ্ধে বিভিন্ন অভিযোগ আনা হয়েছে। অর্থপাচার, উগ্রবাদ উস্কে দেয়া, নারীদের বিরুদ্ধে বিষোদ্গার করার পাশাপাশি ওয়াজে অর্থ নেয়া, হেলিকপ্টার ব্যবহার করা ইত্যাদি নানা দায় চাপানো হয়েছে। বলা বাহুল্য, অভিযোগগুলো শক্ত ভিত্তির উপর দণ্ডায়মান নয়। আলেম-ওলামা বা ওয়ায়েজীনদের অর্থ পাওয়ার এমন কোনো সুযোগ নেই, যাতে তারা সেই অর্থ পাচার করতে পারেন। তারা বরং দান-সদকা সংগ্রহ করে মসজিদ-মাদরাসা পরিচালনায় ব্যয় করেন। তাদের জীবন-যাপন মোটেই বিলাসপূর্ণ নয়। অন্যদিকে, উগ্রবাদ উস্কে দেয়া নয়, বরং উগ্রবাদ যাতে সমাজে বিস্তার লাভ না করতে পারে, আলেম-ওলামা সেটাই করেন। অতীতে যখন দেশে উগ্রবাদ মাথাচাড়া দিয়েছিল, তখন আলেম-ওলামা, পীর-মাশায়েখ সর্বাগ্রে এগিয়ে এসেছিলেন। তারা বিবৃতি দিয়ে, প্রচার চালিয়ে, ফতোয়া জারি করে, ওয়াজ করে উগ্রবাদ নিয়ন্ত্রণে সর্বোচ্চ ভূমিকা রেখেছিলেন। নারীদের বিরুদ্ধে বিষোদ্গার করা কোনো প্রকৃত আলেমদের কাজ হতে পারে না। ইসলাম নারীর সর্বাধিক মর্যাদা দিয়েছে, সম্মান দিয়েছে। আলেমরা তার বাইরে যেতে পারেন না। নারীরা ইসলামের বিধিবিধান মেনে মর্যাদাপূর্ণ ও সম্মানজনকভাবে জীবন-যাপন করুক, আলেমদের সেটাই কাম্য। একজন আলেম বা ওয়ায়েজীন হেলিকপ্টারে চড়ে ওয়াজ করতে যেতে পারবেন না, এমন কথা কি কোথাও লেখা আছে?

শ্বেতপত্রের প্রণেতারা আলেম-ওলামার বিরুদ্ধে অর্থপাচারের অভিযোগ এনেছেন, অথচ তারা প্রতিবছর হাজার হাজার কোটি টাকা পাচারকারীদের চোখে দেখেননি বা দেখেন না। পি কে হালদার, সুধাংশু শেখর ভদ্র, এস কে সুর কত টাকা পাচার করেছেন? কারা কানাডা, মালয়েশিয়া, আমেরিকা ও ভারতে সম্পদের পাহাড় গড়েছেন, বাড়ি করেছেন, ব্যবসা-বাণিজ্য প্রতিষ্ঠা করেছেন। এইসব অর্থ পাচারকারীর বিরুদ্ধে তো কারো কোনো তদন্ত কমিশন ও শ্বেতপত্র প্রকাশ করতে দেখা যায়নি। শ্বেতপত্রের প্রণেতারা আলেম-ওলামা ও মাদরাসার মধ্যে জঙ্গীবাদ ও উগ্রবাদ খোঁজেন। অথচ হলি আর্টিজনসহ বিভিন্ন সন্ত্রাসী ঘটনার সঙ্গে কয়জন আলেম বা মাদরাসার ছাত্র জড়িত ছিলেন? নারীদের যারা ভোগ্যপণ্য হিসেবে ব্যবহার করে, শ্বেতপত্র প্রণেতাদের তাদের বিরুদ্ধে কোনো কথা নেই কেন?

শ্বেতপত্রের প্রণেতারা সম্মানিত আলেম-ওলামা এবং ঐতিহ্যবাহী মাদারাসা শিক্ষাব্যবস্থাকে হেয় প্রতিপন্ন করতে চেয়েছেন। সূক্ষ্ম দৃষ্টিতে দেখলে তারা আসলে ইসলামকেই কাঠগড়ায় দাঁড় করাবার অপচেষ্টা করেছেন। এদেশে ৯২ শতাংশ মানুষ ইসলামের অনুসারী। তাদের জাতীয় স্বাতন্ত্র্যের মূলে আছে ইসলাম। ইসলামই এ দেশের স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্বের রক্ষাকবচ।

মৌলবাদী ও সাম্প্রদায়িক সন্ত্রাস তদন্তে গণকমিশন গঠন, শ্বেতপত্র প্রকাশ এদেশের কোনো এজেন্ডা হতে পারে না বলে অনেকে মনে করেন। তাদের মতে, যারা বাংলাদেশে ইসলাম ও মুসলমানের অস্তিত্ব দেখতে চায় না, বাংলাদেশকে স্বাধীন-সার্বভৌম দেশ হিসাবে স্বীকার করতে চায় না, এটা তাদের এজেন্ডা। এদেশের কিছু লোক এই এজেন্ডা বাস্তবায়নের দায়িত্ব নিয়েছে। বিনিময়ে মোটা অঙ্কের প্রাপ্তিযোগ তাদের হতে পারে। এমন দাবি করেছেন একজন হিন্দু নেতা। তার মতে, তারা আলেম ও মাদরাসার বিরুদ্ধে তদন্ত কমিটি করত না, যদি মোটা অঙ্কের টাকা না পেত। এটা অস্বীকার করা যাবে না, ১১৬ জন আলেমের ব্যাপারে তথ্যাদি সংগ্রহ এবং এক হাজার মাদরসার ওপর তদন্ত করার জন্য প্রচুর লোকবল যেমন দরকার, তেমনি বিপুল পরিমাণ অর্থেরও প্রয়োজন। ঘাদানিক, ককাস বা গণকমিশনের সদস্যদের পক্ষে এত অর্থ যোগান দেয়া সম্ভব কি-না সেটা একটা বড় প্রশ্ন। ওয়াকিবহাল মহলের মতে, এত বড় কাজ পরিচালনা, গবেষণা এবং ২২শ’ পৃষ্ঠার শ্বেতপত্র প্রকাশের জন্য প্রয়োজনীয় অর্থ দেয়ার সক্ষমতা ঘাদানিক, ককাস ও গণকমিশনের সদস্যদের নেই। তাছাড়া মাসের পর মাস বেগার খাটাও তাদের পক্ষে সম্ভব নয়। ইতোমধ্যেই এই অর্থের উৎস খুঁজে বের করার দাবি উঠেছে। স্বচ্ছতার খাতিরে এ বিষয়ে একটি তদন্ত অনুষ্ঠিত হওয়া উচিত বলে অনেকে মনে করেন।

এ প্রশ্নও সঙ্গতকারণেই উঠেছে, এ ধরনের গণকমিশন গঠন, তদন্ত এবং শ্বেতপত্র প্রকাশ করার অধিকার কি সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিদের আছে? এর কোনো আইনগত ভিত্তি আছে কি? তাছাড়া মানবাধিকার কমিশন ও দুদকের এ বিষয়ে কি কিছু করার আছে? এই প্রতিটি প্রশ্নের উত্তর নাবাচকই হওয়ার কথা। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল জানিয়েছেন, কথিত কমিশনের কোনো আইনগত ভিত্তি নেই। তিনি আরো বলেছেন, গণকমিশন কাদের নামে সন্ত্রাসের ও দুর্নীতির দায় দিয়েছেন, এগুলো আমরা কেউ তদন্ত করিনি। অন্য এক অনুষ্ঠানে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেছেন, মাদরাসায় দ্বীনি শিক্ষা দেয়া হয়, সেখানে কোনোদিন জঙ্গী তৈরি হতে পারে না। তাঁর এ বক্তব্য ইতিবাচক ও বাস্তবোচিত।

অথচ বিস্ময়কর হলো, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী তথাকথিত গণকমিশনপ্রণীত শ্বেতপত্রের মোড়ক উন্মোচন করেন। আর শ্বেতপত্রের কপি মানবাধিকার কমিশন ও দুদকের কাছে হস্তান্তর করা হয়। পর্যবেক্ষকদের মতে, কৌশলে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীকে ব্যবহার করা হয়েছে। গণকমিশন ও তার শ্বেতপত্রের প্রতি সরকারের যে সমর্থন আছে সেটা দেখানোর জন্যই সম্ভবত স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীকে দিয়ে মোড়ক উন্মোচন করানো হয়েছে। মানবাধিকার কমিশন ও দুদকের কাছে শ্বেতপত্রের কপি হস্তান্তরের লক্ষ্যও অভিন্ন হতে পারে।

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দেশের আলেম-ওলামা, পীর-মাশায়েখের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তিনি নিজেও অত্যন্ত ধর্মপ্রাণ। মাদরাসা শিক্ষার প্রতি তাঁর গভীর অনুরাগের কথা কারো অবিদিত নেই। ইসলাম, আলেম-ওলামা ও মাদরাসা শিক্ষা নিয়ে তার সময়ে যত কাজ হয়েছে, যত উন্নয়ন ও অগ্রগতি হয়েছে, অতীতে কোনো সরকারের আমলেই তা হয়নি। এত বড় অর্জনকে মসীলিপ্ত করার উদ্দেশ্যে গণকমিশনের মাধ্যমে শ্বেতপত্র প্রকাশ করা হয়েছে বলে অনেকে মনে করেন। তাদের মতে, আলেম-ওলামা, তাদের অনুসারী, মাদরাসার শিক্ষক শিক্ষার্থীদের সরকারের মুখোমুখি দাঁড় করিয়ে দেয়ার অভিসন্ধি এর পেছনে থাকতে পারে।

সামনে নির্বাচন। নির্বাচনে আলেম-ওলামা, ইসলামী দল, সংগঠন এবং মাদরাসার শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের ভূমিকা সব সময়ই গুরুত্বপূর্ণ বলে বিবেচিত হয়ে থাকে। এটাও লক্ষ করা যায়, সাধারণ নির্বাচনের আগে আলেম-ওলামা ও মাদরাসার শিক্ষার ব্যাপারে নেতিবাচক প্রচারণা চালানো হয়, তাদের মধ্যে পার্থক্য ও বিভেদ সৃষ্টির চেষ্টা করা হয়। এবারও সে রকম লক্ষ্য থাকতে পারে। শ্বেতপত্র হয়তো তার প্রথম উদ্যোগ। এ বিষয়ে সরকারকে এবং আলেম সমাজ, ইসলামী দল ও সংগঠনকে সতর্ক থাকতে হবে। দেশের মানুষ আশা করে, সরকার এ সংক্রান্ত তার বক্তব্য আরো স্পষ্ট করবে। কিছু বিতর্কিত ব্যক্তি পানি ঘোলা করে মাছ শিকার করবে বা শিকারের চেষ্টা করবে, এটা কোনোভাবেই হতে দেয়া যায় না।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (7)
Rasel Mahmud ২৮ মে, ২০২২, ১১:২৬ এএম says : 0
যারা এ দেশের ভালো চায় না মূলত তারাই ধর্মীয় সংঘাত সৃষ্টি করতে চায়
Total Reply(0)
md shamsul hoque ২৮ মে, ২০২২, ৬:৩০ এএম says : 0
Informative story. Readers can get important information. Judiciously written.
Total Reply(0)
Fahim Bijoy ২৮ মে, ২০২২, ১১:১৩ এএম says : 0
এ তালিকা আপামর জনগণ মানে না। এর প্রমাণ ইতোমধ্যে প্রমাণ হয়ে গেছে
Total Reply(0)
হাসান ২৮ মে, ২০২২, ১১:১৭ এএম says : 0
আমাদের দেশ ও সমাজে আলেম-ওলামা অত্যন্ত শ্রদ্ধেয়। শুধু ধর্মীয় বিষয়েই নয়, সমাজের অন্যান্য বিষয়েও নেতৃত্ব দিয়ে থাকেন আলেম-ওলামা। অথচ তারা আলেম সমাজকে ঘৃণা করেছে। আমরা এ গণকমিশনের শাস্তি চাই
Total Reply(0)
Fahim Bijoy ২৮ মে, ২০২২, ১১:১০ এএম says : 0
এ গণকমিশন দেশকে অস্তিতিশীল পরিবেশ সৃষ্টি করতে চায়
Total Reply(0)
Fahim Bijoy ২৮ মে, ২০২২, ১১:১২ এএম says : 0
গণকমিশন এটা কারো ইন্ধনে চলে। আমরা তাদের সম্পদের বিবরণ দেখতে চাই। দেশে হাজার হাজার টাকা দুর্নীতি করে যারা বিদেশে পাচার করছে। অথচ তাদের কোনো তালিকা তারা করে না। মূলত তারা ইসলামের শত্রু বিধায় তারা আলেমদের তালিকা করেছে।
Total Reply(0)
jack ali ২৯ মে, ২০২২, ১২:১২ পিএম says : 0
গণ কমিশন ঘাতক দালাল কমিটি এটাতো সরকারের অঙ্গ সংগঠন সরকার চায় বাংলাদেশ থেকে ইসলাম কে বিতাড়িত করতে অথচ আল্লাহ বলছে ইসলামকে কেউ বিতাড়িত করতে পারবে না তারাই বিতাড়িত হবে সময় খুব কাছে>>>সরকারতো ভালো ভালো আলেমদেরকে জেলের মধ্যে বন্দি করে রেখেছে শুধু তাই নয় প্রায় দেড় হাজারের মতো জোয়ান ছেলেদেরকে সরকার জেলার মধ্য বছরের পর বছর আটকে রেখেছে তারা নাকি সন্ত্রাস অথচ সরকার হচ্ছে সবথেকে বড় সন্ত্রাস আওয়ামী লীগের গুন্ডারা প্রতিদিন বাংলাদেশের আনাচে-কানাচে সন্ত্রাসী করে কোটি কোটি টাকা চাঁদাবাজি করে মানুষ হত্যা করে মাদকের ব্যবসা করে মাদক খায় আরও কত ধরনের হারাম কাজ করে তার বর্ণনা করতে গেলে একটা বই হয়ে যায়
Total Reply(0)

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন