কুমিল্লা সিটি করপোরেশন নির্বাচনে প্রার্থীদের মাঝে প্রতীক বরাদ্দকে কেন্দ্র করে উৎসব মুখর পরিবেশ সৃষ্টি হয়েছে। গতকাল শুক্রবার সকালে বরাদ্দকৃত প্রতীক নিতে আসা কুসিক নির্বাচনে অংশগ্রহণকারি প্রার্থী ও কর্মী-সমর্থকদের বিশাল মিলনমেলা সৃষ্টি হয় কুমিল্লা শিল্পকলা একাডেমির ভেতর ও বাইরে। কোন প্রার্থী কী প্রতীক পেয়েছেন তা জানতে যেন তর সইছে না বাইরে অপেক্ষারত কর্মী-সমর্থক আর উৎসুক জনতার।
গতকাল শুক্রবার সকাল সাড়ে ৯টায় জেলা শিল্পলা একাডেমি মিলনায়তনে প্রার্থীদের মাঝে প্রতীক বরাদ্দ কার্যক্রম শুরু করেন কুসিক নির্বাচনের রিটার্নিং কর্মকর্তা মো. শাহেদুন্নবী চৌধুরী। প্রতীক বরাদ্দের আগে তিনি শুভেচ্ছা বক্তব্যে প্রতীক পাওয়ার পর প্রার্থীরা যা করতে পারবেন এবং যা পারবেন না এবিষয়ে নির্বাচনী আচরণবিধির বিভিন্ন ধারা তুলে ধরেন। তিনি সকল প্রার্থীদের আগামী ২৯ মে সকাল ১১টায় জেলা শিল্পকলা একাডেমি মিলনায়তনে প্রধান নির্বাচন কমিশনারের মতবিনিময় সভায় অংশগ্রহণের আহ্বান জানান। গতকাল সকাল ১০টায় ৫ মেয়র প্রার্থী, ৯টি সংরক্ষিত আসনে ৩৬ জন নারী কাউন্সিলর এবং ২৭টি সাধারণ ওয়ার্ডের ১০৬ জন কাউন্সিলরের মাঝে প্রতীক বরাদ্দ দেয়া হয় হয়।
আওয়ামী লীগের প্রার্থী আরফানুল হক রিফাতকে দলীয় প্রতীক নৌকা, স্বতন্ত্র প্রার্থী নিজাম উদ্দিন কায়সারকে ঘোড়া, স্বতন্ত্র প্রার্থী মনিরুল হক সাক্কুকে টেবিল ঘড়ি, স্বতন্ত্র প্রার্থী কামরুল আহসান বাবুলকে হরিণ, ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের প্রার্থী মো. রাশেদুল ইসলামকে দলীয় প্রতীক হাতপাখা প্রদান করা হয়।
প্রতীক পেয়ে আরফানুল হক রিফাত বলেন, প্রথমে আল্লাহর দরবারে শোকরিয়া জ্ঞাপন করছি। জাতিরজনক বঙ্গবন্ধুর প্রতীক, জননেত্রী শেখ হাসিনার প্রতীক, গণতন্ত্রের প্রতীক নৌকা। নৌকার গণজোয়ার সৃষ্টিতে এবং নৌকা জয়ের লক্ষ্যে আওয়ামী লীগের সবাই ঐক্যবদ্ধ হয়েছে। এখন পর্যন্ত নির্বাচনী পরিবেশ সুন্দর রয়েছে। ইনশাল্লাহ এবারে নগরবাসী নৌকার পক্ষে রায় দিবে।
স্বেচ্ছাসেকব দল থেকে সদ্য বহিষ্কৃত তরুণ নেতা নিজাম উদ্দিন কায়সার বলেন, ঘোড়া প্রতীক পেয়ে তিনি খুশি। ঘোড়া বিজয়ের প্রতীক। ইতিহাসের পাতায় অসংখ্য জয়ের নেপথ্যের বাহনটি হচ্ছে ঘোড়া। কুসিক নির্বাচনের ইতিহাসের পাতায় নগরবাসী ঘোড়া জয়ের একটি নতুন ইতিহাস সৃষ্টি করবে বলে আমি দৃঢ় আশাবাদী। টেবিল ঘড়ি প্রতীক পেয়ে বিএনপি থেকে বহিষ্কৃত স্বতন্ত্র প্রার্থী মনিরুল হক (সাক্কু) বলেন, নগর উন্নয়নের ধারাবাহিকতা রক্ষায় এবারে সাধারণ মানুষের অনুরোধে প্রার্থী হয়েছি। বিকেল থেকে টেবিল ঘড়ি প্রতীকের প্রচারণা শুরু হবে।
উল্লেখ্য, ১৩ জুন রাত ৮টায় প্রার্থীদের প্রচার-প্রচারণা শেষ হবে। ১৫ জুন সকাল ৮টা থেকে বিকেল ৪টা পর্যন্ত বিরতীহীনভাবে তৃতীয়বারের মতো কুসিক নির্বাচনের ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন