ঢাকা চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির (ডিসিসিআই) সভাপতি রিজওয়ান রাহমান বলেন, ব্যবসা-বাণিজ্যিক ও বিনিয়োগের কোন সীমান্ত নেই, উদ্যোক্তারা নিজেদের ব্যবসায়িক কার্যক্রমের সম্ভাবনা বিবেচনায় নিয়ে, সুবিধাজনক স্থানে তা পরিচালিত করে থাকেন। তিনি উল্লেখ করেন, বর্তমানে বাংলাদেশ ও ভারতের মধ্যকার দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্যের পরিমাণ প্রায় ১০ বিলিয়ন মার্কিন ডলার, তবে তা বৃদ্দির প্রচুর সুযোগ রয়েছে এবং এলক্ষ্যে দুদেশের বেসরকারি খাতের প্রতিনিধিদের আরো কার্যক্রর ভূমিকা পালন করতে হবে।
গত বৃহস্পতিবার ইন্ডিয়ান চেম্বার অব কমার্স আয়োজিত ‘বাংলাদেশ-ভারতের মধ্যকার বাণিজ্য ও বিনিয়োগ সম্ভাবনা’ শীর্ষক সেমিনারে তিনি একথা বলেন। তিনি স্বাস্থ্য সেবা, শিক্ষা, মানবসম্পদের দক্ষতা উন্নয়ন, তথ্য-প্রযুক্তি এবং ফিনটেক খাতে বাংলাদেশ ও কলকাতার উদ্যোক্তাদের যৌথ বিনিয়োগে এগিয়ে আসার উপর জোরারোপ করেন। ব্যবসায়িক কার্যক্রম পরিচালনা আরো সহজতর করার লক্ষ্যে এ সংক্রান্ত নীতিমালা প্রণয়নে বেসরকারি খাতের আরো সক্রিয় অংশগ্রহণ প্রয়োজন বলে তিনি মত প্রকাশ করেন।
ইন্ডিয়ান চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রি-এর সভাপতি প্রদীপ সুরেকা বলেন, ঐতিহাসিক, সংষ্কৃতি এবং অর্থনৈতিক দিক থেকে বাংলাদেশ ও ভারতের মধ্যে সর্ম্পক অত্যন্ত সুদৃঢ়। দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কের অধিকতর উন্নয়ন দুটো দেশই একযোগে কাজ করছে, তিনি অভিমত ব্যক্ত করেন। এসময় পশ্চিমবঙ্গের পররাষ্ট্র মন্ত্রাণালয়ের পরিচালক আশীষ মৃধা, কৃষি মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রী শোভনদেব চ্যাটার্জি, সমবায় মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রী অরুপ রায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিতি ছিলেন। সেমিনারে ওয়েস্ট বেঙ্গল ডেভেলপমেন্ট কর্পোরেশন-এর নির্বাহী পরিচালক পি কমলাকান্ত এবং কলকাতায় নিযুক্ত বাংলাদেশের উপ-রাষ্ট্রদূত আন্দালিব ইলিয়াস বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন