বগুড়া পলিটেকনিক ইনস্টিটিউট থেকে ইঞ্জিনিয়ারিং পাশ করেন মো. ইমরুল কাওছার ওরফে শাওন। ইঞ্জিনিয়ারিং পড়ার সময় ফেন্সিডিলে আসক্ত হয়ে পড়েন। পড়ালেখা শেষে ফেন্সিডিলের খরচ জোগাতে ব্যবসাতেই নেমে পড়েন। দিনাজপুরের বিভিন্ন সীমান্ত এলাকা থেকে ভারতের মাদক ব্যবসায়ীদের ফেন্সিডিল সংগ্রহ করে ঢাকায় সরবারহ করে আসছিলেন শাওন। গত বৃহস্পতিবার রাজধানীর গাবতলি এলাকা থেকে সহযোগী মো. সুমন হোসেনসহ শাওনকে গ্রেফতার করা হয়। এ সময় তার কাছ থেকে ফেন্সিডিল সরবারহের কাজে ব্যবহৃত একটি প্রাইভেটকার ও ৪৭০ বোতল ফেন্সিডিল জব্দ করা হয়েছে।
গতকাল ডিবির পল্লবী জোনাল টিমের টিম লিডার এডিসি মো. মোস্তফা কামাল বলেন, সুমন প্রাইভেটকার চালক। তারা দীর্ঘদিন ধরে সীমান্ত এলাকা থেকে ফেন্সিডিল সংগ্রহ করে রাজধানীর বিভিন্ন মাদক ব্যবসায়ীর কাছে সরবারহ করতো। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে শাওন ডিবিকে জানিয়েছে, সে বগুড়া পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটের ছাত্র থাকাকালীন ফেন্সিডিলে আসক্ত হয়ে পড়েন। পরে ফেন্সিডিলের খরচ জোগাতে নিজেই ব্যবসায়ী বনে যান। দিনাজপুরের বিভিন্ন সীমান্ত এলাকা থেকে প্রতি বোতল ১২০০ টাকায় কিনে এনে রাজধানীতে ১৫০০ থেকে ২২০০ টাকা পর্যন্ত বিক্রি করতো তারা। করোনার সময় প্রতি বোতল ৪৫০০ টাকাও বিক্রি করেছে বলেও জানিয়েছে। তাদের বিরুদ্ধে দারুসসালাম থানায় মামলা দায়ের করা হয়েছে বলেও জানান এডিসি।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন