মির্জাপুর বাজারের বংশাই রোডের মোবাইল বাজার নামে ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের মালিক শাহিন মিয়াকে (৫০) সংঘবদ্ধ ডাকাত দলের সদস্যরা কুপিয়ে নগদ টাকা মোবাইল ফোনসহ প্রায় ৫ লাখ টাকার মালামাল ছিনিয়ে নেয়ার ঘটনা ঘটেছে।
শুক্রবার রাত সাড়ে দশটার দিকে ঢাকা-টাঙ্গাইল মহাসড়কের মির্জাপুর বাইপাসের আন্ডারপাসের উত্তর পাশে এ ঘটনা ঘটে। গুরুতর আহত অবস্থায় উদ্ধার করে প্রথমে তাকে কুমুদিনী হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সেখানে তার অবস্থার অবনতি হলে উন্নত চিকিৎসার জন্য রাতেই তাকে সাভারের এনাম মেডিকেল হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। শাহিন মির্জাপুর সদরের বাইপাস এলাকার বাসিন্দা।
শাহীনের চাচাতো ভাই মাসুদ মিয়া জানান, সদরের বংশাই রোডে মোবাইল বাজার নামে শাহিনের ব্যবসা প্রতিষ্ঠান রয়েছে। গত এক যুগের বেশি সময় ধরে সেখানে দেশী বিদেশী নামি দামি মোবাইল সেট বিক্রির পাশাপাশি মোবাইল ব্যাংকিং এজেন্ট ব্যবসাও করে থাকে। প্রতিদিনের ন্যায় শুক্রবার রাত সাড়ে দশটার দিকে শাহিন তার ব্যবসা প্রতিষ্ঠান বন্ধ করে বাসায় ফেরার পথে বাসা সংলগ্ন ঢাকা-টাঙ্গাইল মহাসড়কের মির্জাপুর বাইপাসের আন্ডারপাসের উত্তর পাশে পৌছায়। এ সময় একটি প্রাইভেটকার থেকে ৪/৫ জনের ডাকাত দল দেশীয় ধারালো অস্ত্র হাতে তাকে ঝাপটে ধরে মাথা ও শরীরে এলোপোথারি কুপিয়ে গুরুতর আহত করে। এ সময় তার সঙ্গে থাকা নগত টাকা ও মোবাইল ব্যাংকিংয়ের সেটসহ ব্যাগ লুটে নেয়। ব্যাগে নগদ প্রায় আড়াই লাখ টাকা এবং মোবাইল ব্যাংকিংয়ের ২-৩ টি মোবাইল সেটে বিকাশ ও রকেট এবং নগদের প্রায় আড়াই লাখ টাকাসহ প্রায় ৫ লাখ টাকা ছিনিয়ে নেয়। তার আর্তচিৎকারে আশপাশের লোকজন ছুটে এসে রক্তাক্ত অবস্থায় শাহিনকে উদ্ধার করে প্রথমে কুমুদিনী হাসপাতালে ভর্তি করে। সেখানে অবস্থার অবনতি হলে চিকিৎসকদের পরামর্শে রাত দুইটার দিকে সাভার এনাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। তার অবস্থা আশংকা জনক বলে মাসুদ জানিয়েছেন। এদিকে অভিযোগ রয়েছে মির্জাপুর ট্রেন স্টেশন ও মির্জাপুর বাইপাস এবং এর আশপাশের এলাকায় মাদক ব্যবসায়ী ও সেবনকারীদের অবয়ারন্যে পরিনত হয়েছে। প্রায় প্রতিদিনই এসব এলাকায় চুরি, ডাকাতি ও ছিনতায়ের ঘটনা ঘটে।
মির্জাপুর থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আবু সালেহ মাসুদ করিম বলেন, ঘটনার সঙ্গে জড়িতদের ধরতে পুলিশের অভিযান শুরু হয়েছে।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন