শুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০, ১৮ রমজান ১৪৪৫ হিজরী

মহানগর

নাগরিক সচেতনতার মধ্যদিয়ে দুর্নীতিমুক্ত সমাজ গড়া সম্ভব: জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় ভিসি

স্টাফ রিপোর্টার | প্রকাশের সময় : ২৮ মে, ২০২২, ৬:০০ পিএম

সম্মিলিত নাগরিক সচেতনতার মধ্যদিয়ে দুর্নীতিমুক্ত সমাজ গড়া সম্ভব বলে মনে করেন জাতীয় বিশ^বিদ্যালয়ের ভিসি প্রফেসর ড. মো. মশিউর রহমান। তিনি বলেন, অগণতান্ত্রিক শাসন, সামরিক শাসনের মধ্যদিয়ে এদেশে যে দুর্নীতি প্রতিষ্ঠিত হয়েছে, সেই দুর্নীতিকে উপড়ে ফেলতে হবে। দুর্নীতি মূলত ক্ষমতাধর মানুষরাই বেশি করে। সাধারণ মানুষ দুর্নীতিমুক্ত থাকার জন্য তার জীবনাচার-কৃষ্টি গড়ে তোলে। দুর্নীতিকে সম্মিলীতভাবে প্রতিরোধ করার একমাত্র শক্তি হচ্ছে সচেতন জনগোষ্ঠী তৈরি। তাহলেই এই অশুভ শক্তিকে দুমড়ে-মুচড়ে ফেলা সম্ভব। শনিবার (২৮ মে) মুভমেন্ট ফর ওয়ার্ল্ড এডুকেশন রাইটস এবং দৈনিক আনন্দবাজার আয়োজিত ‘শতভাগ কর্মসংস্থান সৃষ্টিতে কি ধরনের বাজেট প্রয়োজন’ শীর্ষক ওয়েবিনারে সভাপতির বক্তব্যে এসব কথা বলেন ভিসি।

সমাজ থেকে দুর্নীতির মুলোৎপাটন করা বড় চ্যালেঞ্জ উল্লেখ করে প্রফেসর ড. মশিউর রহমান বলেন, আমরা যে বৃহৎ অর্থনীতির দিকে ক্রমাগত ধাবিত হচ্ছি, এরসঙ্গে দুর্নীতির মূলোৎপাটন করা সম্ভব হলে আমাদের দেশ সত্যিকার অর্থেই মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় সোনায় মুড়িয়ে যে চমৎকার বাংলাদেশ আমরা গড়তে চাই, সেটি নিশ্চিত করতে পারবো। এটি বাংলাদেশের জন্য একটি চমৎকার সময়, যখন আমরা তারুণ্যের শক্তিতে ভরপুর। আমাদের সমাজকে দুর্নীতি, জঙ্গিমুক্ত করতে চাই। তাহলেই স্বাধীনতার শতবর্ষে দাঁড়িয়ে আমাদের নতুন প্রজন্ম আগামীর বাংলাদেশকে পাবে পৃথিবীর উন্নত, মানবিক ও বিজ্ঞানমুখী আধুনিক দেশ হিসেবে, যেটি আমাদের সকলের স্বপ্ন।

ভিসি বলেন, মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় উজ্জীবিত যে বাংলাদেশ, যার বিপুল একটি তরুণ জনগোষ্ঠী রয়েছে, যার অভিভাবকসম প্রচুর মানুষ আছে। সম্মিলীতভাবে এর অর্থনীতির চাকা ঘুরানোর যে মনোবৃত্তি আমাদের তৈরি হয়েছে, নতুনকে গ্রহণ করার যে সংস্কৃতি আমাদের তৈরি হয়েছে। সেই নতুন নতুন বিষয়গুলোতে সমন্বয় করে ব্লেন্ডেড এডুকেশন, অনলাইন এডুকেশন- এগুলোর সবকিছু যতোবেশি আত্মস্ত করবো, যেমনটি আমরা জন্মনিয়ন্ত্রণের সময় করেছি, কৃষিতে প্রযুক্তি ব্যবহারের সময় করেছি, কোভিডের ভ্যাক্সিন গ্রহণের সময় করেছি- এসব ক্ষেত্রে অনেক সময় আমরা পাশ্চাত্যকে হারিয়েছি। বাঙালির একটি চমৎকার শক্তি আছে নতুনকে গ্রহণ করার। সেই নতুনকে এবং আধুনিকতাকে গ্রহণ করার মনোবৃত্তি যদি আরও সার্বজনীন ও অন্তর্ভুক্তিমূলক করা যায়, ততোবেশি মানুষের অধিকার এবং সচেতনতা তৈরি হবে। তবে সতর্ক থাকতে হবে- সেই নতুন যেন কুসংস্কারাচ্ছন্ন না হয়, ধর্মান্ধতা-জঙ্গীবাদের প্রযুক্তিগ্রহণ না করে। এটি যেন হয় দেশ গড়ার নতুনত্ব।’

ওয়েবিনারে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ ব্যাংকের সাবেক গভর্নর অধ্যাপক ড. আতিউর রহমান। তিনি বলেন, ‘বাজেটে কর্মসংস্থানের জন্য সরকার চাইলে ইন্টার্নশিপ চালু করতে পারে। আমাদের দেশে অনানুষ্ঠানিকখাতে সবচেয়ে বড় কর্মসংস্থান হয়। এটিকে কী করে আনুষ্ঠানিকখাতে আনা যায় সেটি বড় চ্যালেঞ্জ। এটিকে যতো বেশি আনা যাবে, ততোবেশি ভালো। সার্বিকভাবে বেকারত্ম আমাদের অনেক বেশি। জাতীয় নীতি বা কৌশলে অর্থনীতির অনানুষ্ঠানিক খাতকে কিভাবে আনুষ্ঠানিকখাতে আনা যায় সেটি সবচেয়ে বড় বিষয়। এটি নিয়ে ভাবতে হবে।’ ওয়েবিনারে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ অর্থনীতি সমিতির সাধারণ সম্পাদক ও জগন্নাথ বিশ^বিদ্যালয়ের ছাত্রকল্যাণ পরিচালক অধ্যাপক ড. মো. আইনুল ইসলাম প্রমুখ।

 

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন