সাবেক সিটি মেয়র এম মনজুর আলমের সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাত করেছেন চট্টগ্রামে নিযুক্ত ভারতের সহকারী হাই কমিশনার ডা. রাজীব রঞ্জন। নগরীর উত্তর কাট্টলীতে মনজুর আলমের বাসভবনে গত শুক্রবার রাতে সৌজন্য সাক্ষাতকালে তার স্ত্রী সুস্মিতা রঞ্জনও উপস্থিত ছিলেন। এ সময় মনজুর আলম সহকারী হাই কমিশনার ও তার পরিবারের সম্মানে সংবর্ধনা অনুষ্ঠান ও নৈশভোজের আয়োজন করেন। সাক্ষাতকালে মনজুর আলম বলেন, আমাদের প্রতিবেশী দেশ ভারত। দেশটির সাথে বাংলাদেশের ভালো একটা সম্পর্ক রয়েছে। ১৯৭১ সালে বাংলাদেশ স্বাধীন হওয়ার পর ভারত প্রথম স্বীকৃতি দিয়েছে। আমি চাই, উভয় দেশের সম্পর্ক যাতে আরো বন্ধুপরায়ণ এবং উন্নত হয়। প্রতিবছর বাংলাদেশ বিশেষ করে চট্টগ্রাম থেকে বিপুল সংখ্যক লোক ভারতে ভ্রমণ ও চিকিৎসার জন্য যায়। চট্টগ্রাম থেকে বেশিসংখ্যক ভিসা আবেদনকারী হওয়াতে অনেক সময় ভিসা প্রাপ্তিতে দেরি হয়। চট্টগ্রাম-কলকাতা ও ভারতের বিভিন্ন প্রদেশে ফ্লাইট বৃদ্ধি করা, সহজে ভিসা প্রাপ্তি, ব্যবসা ও চিকিৎসা সংক্রান্ত কারণে ৫ বছরের মাল্টিপল ভিসা আরো সহজ করা দরকার। সাথে সাথে ভারত-বাংলাদেশের যোগাযোগ ব্যবস্থা, উভয় দেশের ব্যবসায়িক বাণিজ্য আরো উন্নত ও সহজীকরণ করার আহ্বান জানান মনজুর আলম।
তিনি বলেন, বাংলাদেশ এখন তৈরি পোশাক, চামড়া শিল্প, তথ্য প্রযুক্তিসহ যুগোপযোগী নানা দিক দিয়ে বেশ এগিয়ে চলেছে। খুব শীঘ্রই মেগা প্রকল্প পদ্মা সেতু চলাচলের জন্য খুলে দেওয়া হচ্ছে। কর্ণফুলী নদীর তলদেশ দিয়ে টানেল নির্মাণ কাজও প্রায় শেষের দিকে। এক কথায় বাংলাদেশ এখন সামগ্রিক দিক দিয়ে দ্রুত উন্নতি লাভ করে চলেছে। ভারতীয় ব্যবসায়ীদের জন্য এখন বাংলাদেশে বিনিয়োগের সুবর্ণ সুযোগ রয়েছে। একইসাথে বাংলাদেশি পণ্য ভারতে সহজে বাজারজাতকরণের বিষয়েও গুরুত্বারোপ করেন মনজুর আলম।
সহকারী হাই কমিশনার বলেন, ভারতের সাথে বাংলাদেশের সম্পর্ক খুবই গভীর এবং দীর্ঘদিনের। বাংলাদেশ এখন কোনো দিক দিয়ে পিছিয়ে নেই। ভারতের ভিসা ও মাল্টিপল ভিসা প্রাপ্তিতে বাংলাদেশিদের জন্য এখন আমরা সহজীকরণ করছি। এখন থেকে চট্টগ্রামবাসীর জন্য চট্টগ্রাম থেকেই আরো অধিকহারে মাল্টিপল ভিসা প্রসেস করা হবে। অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন তাহের গ্রুপের চেয়ারম্যান এম এ তাহের, মোস্তফা-হাকিম গ্রুপের পরিচালক নিজামুল আলম রাজু, মোহাম্মদ সারওয়ার আলম, মোহাম্মদ ফারুক আজম, মোহাম্মদ সাইফুল আলম, মোহাম্মদ সাহিদুল আলম, বিভিন্ন ব্যবসায়ী, সমাজের নানা পেশার প্রতিনিধি, চট্টগ্রামে ভারতীয় সহকারি হাই কমিশনের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন