ইউক্রেনের রাজনীতিবিদরা এখন স্পষ্টতই দুইভাগে বিভক্ত। একদিনে আমেরিকাপন্থী জেলনস্কি সরকার, অন্যদিকে রুশপন্থী শিবির। ভলোদিমির জেলনস্কি ক্ষমতায় আসার পর থেকেই সেখানে রুশপন্থী রাজনীতিবিদদের উপরে দমন-পীড়ন চালানো হচ্ছে।
কিছুদির আগেই এক রুশপন্থী নেতাকে জেল দেয়া হয়েছে। এবার রুশপন্থী আরেক নেতা সাবেক প্রেসিডেন্ট পেট্রো পোরোশেঙ্কোকে দেশত্যাগে বাধা দেয়া হয়েছে। তিনি লিথুয়ানিয়ায় ন্যাটো সংস্থার বৈঠকে অংশ নিতে ইউক্রেন ত্যাগ করতে গেলে তাকে বাধা দেয়া হয়। শনিবার তার দলের সংসদীয় কমিটি জানিয়েছে।
বিবৃতিতে বলা হয়েছে, একটি পরামর্শমূলক আন্তঃসংসদীয় সংস্থা ন্যাটোর পার্লামেন্টারি অ্যাসেম্বলির বৈঠকে যাওয়ার পথে পোল্যান্ডের সাথে একটি সীমান্ত ক্রসিংয়ে পোরোশেঙ্কোকে দুবার থামানো হয়েছিল। ইউক্রেনীয় মিডিয়া জানিয়েছে যে, পোরোশেঙ্কো তাকে দেশ ছাড়ার অনুমতি দিয়ে ‘প্রযুক্তিগত সমস্যার’ কারণে সীমান্ত অতিক্রম করতে পারেনি।
‘পোরোশেঙ্কো দেশ ছাড়ার সমস্ত আনুষ্ঠানিক অনুমতি পেয়েছিলেন এবং এই অনুষ্ঠানের জন্য ইউক্রেনের পার্লামেন্টের সরকারী প্রতিনিধি দলে অন্তর্ভুক্ত ছিলেন,’ তার ইউরোপীয় সংহতি সংসদীয় দল বলেছে। লিথুয়ানিয়ার প্রেসিডেন্ট গিটানাস নৌসেদা সহ ভিলনিয়াসে পোরোশেঙ্কোর একাধিক উচ্চ-পর্যায়ের বৈঠক হওয়ার কথা ছিল। রটারডামে ইউরোপিয়ান পিপলস পার্টির একটি সভায়ও তার অংশ নেয়ার কথা ছিল।
জানুয়ারিতে, পোরোশেঙ্কো একটি আদালতের রায়ে জয়লাভ করেন যাতে তাকে রাষ্ট্রদ্রোহিতার অভিযোগে তদন্তের সময় তাকে স্বাধীনতভাবে থাকার অনুমতি দেয়া হয়। তিনি বলেছেন যে, এটি তার উত্তরাধিকারী প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কির মিত্রদের সাথে যুক্ত একটি রাজনৈতিকভাবে উদ্দেশ্যপ্রণোদিত আক্রমণ ছিল। সূত্র: ইউএসনিউজ।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন