শনিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৪, ০৭ বৈশাখ ১৪৩১, ১০ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

জাতীয় সংবাদ

সরকারের পদত্যাগ, সংসদ-নির্বাচন কমিশন-ইভিএম বাতিল করে নির্বাচনকালীন সরকার চান গয়েশ্বর

ইনকিলাব ডেস্ক | প্রকাশের সময় : ২৯ মে, ২০২২, ৮:৩৭ পিএম

বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায় সরকারকে লক্ষ করে বলেছেন, মানুষকে ততটুকু আঘাত করবেন না, জীবনে এতটুকু আঘাত এলে যা আপনি সহ্য করতে পারবেন না। তিনি বলেন, এই সরকারের সঙ্গে কোনো শর্ত হতে পারে না। শর্ত হবে- সরকারের পদত্যাগ, সংসদ বাতিল, নির্বাচন কমিশন বাতিল, ইভিএম বাতিল, যে নামেই হোক নির্বাচনকালীন সরকার। এর বাইরে অন্য কোনো খানাপিনা বিকল্প হবে না। কারণ, বিষ খাওয়ার চেয়ে না খেয়ে মরে যাওয়া ভালো, বলেন গয়েশ্বর।

তিনি বলেন, ক্ষমতায় আসার জন্য গণতান্ত্রিক বিশ্বের যেমন ভারত-আমেরিকা এমন কারো সহযোগিতা আমাদের প্রয়োজন নেই। তবে জনগণের ভোটাধিকার এবং গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠায় গণতান্ত্রিক বিশ্বের সহযোগিতা আমাদের জরুরি। তাই যারা গণতন্ত্রে বিশ্বাস করেন তাদেরকে বলব জনগণের ভোটাধিকার আন্দোলন, ভোটাধিকার প্রতিষ্ঠার ক্ষেত্রে আপনারা আমাদের পাশে থাকুন, সহযোগিতা করুন।

রবিবার (২৯ মে) ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির সাগর-রুনি মিলনায়তনে ‘দেশ বাঁচাও মানুষ বাঁচাও’ নামক একটি সংগঠন আয়োজিত আলোচনা সভায় তিনি এ কথা বলেন। তিনি বলেন, জনগণ সিদ্ধান্ত নেবে আগামী দিনে রাষ্ট্রক্ষমতা কে পরিচালনা করবে। দেশের মালিক জনগণ, জনগণ সিদ্ধান্ত নেবে কে পরবর্তী সরকার হবে। সেখানে যদি আমাদেরকে পঞ্চাশটি আসনও না দেয় তাহলে আফসোস করার কিছু নেই। তবে আপনারা নিশ্চয়ই অবগত-একটি নির্বাচনী হাওয়া তৈরি করার জন্য একদিকে নির্যাতন, অন্যদিকে নিচ দিয়ে হাত মেলানোর চক্রান্ত চলছে।

গয়েশ্বর বলেন, ইনক্লুসিভ নির্বাচন নিয়ে বাজারে কয়েকদিনের মধ্যে একটি ভাবনা আসবে, যাতে করে আমদের দলের চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার প্রতি সমবেদনা হয়, তার কথা বিবেচনায় নিয়ে এখন তাকে মুক্ত করতে আমরা নির্বাচনে অংশগ্রহণ করি। এমন একটা ট্যাবলেট আসবে। শেষ পর্যন্ত হয়ত সরকার খালেদা জিয়াকে মুক্ত করে দিয়ে বলবে এই করেছি সেই করেছি, আমি ভালো হয়ে গেছি আমাকে বিশ্বাস করতে পারেন।

গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের প্রতিষ্ঠাতা ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরীর সমালোচনা করে গয়েশ্বর রায় বলেন, ওনাকে কে দায়িত্ব দিয়েছে যে মন্ত্রিসভার ফর্মূলা দিতে, যাদের নাম দিয়েছেন তারা একদিকে জনগণের কাছে বিপদে, অন্যদিকে সরকারের কাছে রোষাণল পরিস্থিতিতে পড়েছেন তারা। ওনার উদ্যোগ ঘুরে ফিরে সরকারের পক্ষেই গিয়েছে। তিনি বলেন, আমরা আন্দোলন সংগ্রামের মাধ্যমে খালেদা জিয়াকে মুক্তি করতে পারব না, তার চেয়ে আত্মহত্যা অনেক ভালো। তাই ফ্যাসিবাদি সরকার প্রধানকে ক্ষমতাচ্যুত করতে পারাই খালেদা জিয়ার আনন্দ, ভোটাধিকার প্রতিষ্ঠা করতে পারা খালেদা জিয়ার আনন্দ।

 

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

এ সংক্রান্ত আরও খবর

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন