রেল নেটওয়ার্কের আওতায় আনা হচ্ছে মানিকগঞ্জকে। ঢাকা-মানিকগঞ্জ হয়ে পাটুরিয়া পর্যন্ত রেল লাইন স্থাপনের দাবি দীর্ঘদিনের। এই দাবিতে মানিকগঞ্জের বিভিন্ন সামাজিক সাংস্কৃতিক সংগঠন নানা সময়ে আন্দোলন কর্মসূচি পালন করে আসছে। এর প্রেক্ষিতে ২০১৮ সালের শেষ দিকে এই রুটে রেল লাইন স্থাপনের উদ্যোগ নেয়া হয়। রেলপথ মন্ত্রণালয় সূত্রে জানা গেছে, এরই মধ্যে এ সংক্রান্ত একটি প্রস্তাব পরিকল্পনা কমিশনে পাঠানো হয়েছে। পরিকল্পনা অনুযায়ী নতুন এই রুট হতে পারে ঢাকা থেকে গাজীপুরের টঙ্গী হয়ে মানিকগঞ্জের ওপর দিয়ে পাটুরিয়া পর্যন্ত। রেল কর্মকর্তারা বলছেন, এই পরিকল্পনা বাস্তবায়ন করা গেলে, রাজধানী ঢাকা থেকে মানুষ এবং যানবাহন উভয়েরই চাপ কমবে।
ওই পরিকল্পনার একটি খসড়া প্রস্তাব পাঠানো হয়েছে পরিকল্পনা কমিশনে। সেখানে প্রাথমিকভাবে ঢাকা-মানিকগঞ্জ পথে রেললাইন নির্মাণে সম্ভাব্যতা যাচাই করতে চান তারা। আর এ কাজের জন্য প্রস্তাবে ব্যয় ধরা হয়েছে ৪৮ কোটি ৯ লাখ টাকা। এরমধ্যে নকশা ও দরপত্র ডকুমেন্টের পরামর্শ সংশ্লিষ্ট সার্ভিসের জন্য প্রায় ৩৪ কোটি টাকা ব্যয় ধরা হয়েছে। আর প্রকল্প ব্যবস্থাপনা, শো ডকুমেন্টসসহ অন্যান্য কাজে ব্যবহার করা হবে ১৪ কোটি টাকা। প্রস্তাব অনুমোদন পাওয়ার পরে সম্ভাব্যতা যাচাই এবং নকশা তৈরির জন্য পরামর্শক প্রতিষ্ঠান নিয়োগ দেবে রেলওয়ে। এরপর যাচাই বাছাই শেষে প্রকল্পটি এগিয়ে নেয়ার উপযোগী মনে হলে লাইন নির্মাণের জন্য একটি প্রকল্প নেয়া হবে। যেহেতু দ্বিতীয় পদ্মাসেতু নির্মাণ হচ্ছে সেহেতু ঢাকা-পাটুরিয়া রুটে রেললাইন নির্মাণের পরিকল্পনা থাকছে।
বাংলাদেশ রেলওয়ের এক কর্মকর্তারা বলেন, ঢাকা-মানিকগঞ্জ রুটে রেল লাইন স্থাপনের উদ্যোগ বেশ আগেই নেয়া হয়েছিলো। কিন্তু সে উদ্যোগ বেশি এগোয়নি। এবার সম্ভাব্যতা যাচাইয়ের জন্য একটি প্রস্তাব পাঠানো হয়েছে। তবে এখনো বিষয়টির কোনো ডেভেলপমেন্ট নেই। এটা একেবারেই নতুন।
বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ড. শামসুল হক বলেন, অনেকেই গাজীপুর, টঙ্গী কিংবা নারায়ণগঞ্জে থেকে নিয়মিত ঢাকায় অফিস করছেন। কারণ তাদের যাতায়াতে সুবিধা রয়েছে। এই পরিকল্পনা অনেক আগেই নেয়া উচিত ছিলো। কারণ এটা পরীক্ষিত যে রাজধানীর আশেপাশে যদি যাতায়াতের সহজ উপায় থাকে তাহলে মানুষ তো এই জনবহুল শহরে থাকবে না।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন