শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ০৬ বৈশাখ ১৪৩১, ০৯ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

জাতীয় সংবাদ

যোগাযোগে গতির সূচনা

ঢাকা-মাওয়া-ভাঙ্গা এক্সপ্রেসওয়ে

একলাছ হক | প্রকাশের সময় : ৩ জুন, ২০২২, ১২:০৪ এএম

টোল আদায়ে কৌশলী পদ্ধতি নিতে হবে যাতে অর্থনীতি ও যোগাযোগের ক্ষেত্রে সার্বিক উন্নয়ন হয় : অধ্যাপক ড. শামসুল হক
রাস্তাঘাট মেরামতে অর্থের প্রয়োজন হয় যারা সড়ক ব্যবহার করেন তারাই টোল দেবেন : পরিকল্পনামন্ত্রী
টোল দিতে আপত্তি নেই তবে ভালো সড়কের ব্যাপারটি নিশ্চিত করা প্রয়োজন : পরিবহন মালিক সমিতি

ঢাকা-মাওয়া-ভাঙ্গা এক্সপ্রেসওয়ে দেশের যোগাযোগ ব্যবস্থায় এক নতুন দিগন্তের সূচনা। দুই পাশে সার্ভিস লেনসহ ১১ হাজার ৪৪ কোটি টাকায় নির্মিত ঢাকা-মাওয়া-ভাঙ্গা সড়ক দেশের প্রথম এক্সপ্রেসওয়ে। কিলোমিটারপ্রতি ২০১ কোটি টাকা নির্মাণ ব্যয়ের কারণে সড়কটি দেশের সবচেয়ে ব্যয়বহুলও। এই এক্সপ্রেস ওয়েতে আধুনিক যোগাযোগ ব্যবস্থার সকল সুযোগ সুবিধা রয়েছে। প্রতি মোড়ে ওভারপাস, ফ্লাইওভার থাকায় বিনা বাধা, বিনা সিগন্যালে এতে গাড়ি চলে। তাই যোগাযোগ ব্যবস্থায় এটি গতির সূচনা করেছে। আমেরিকা, মালয়েশিয়ায়সহ বিশ্বের অনেক উন্নত দেশেই এ ধরনের এক্সপ্রেসওয়ে রয়েছে। এর সঠিক ব্যবহার আমাদের অর্থনীতির চাকাকে সচল রাখবে বলে বিশেষজ্ঞরা মনে করেন। বিশ্বের বিভিন্ন উন্নত দেশে এক্সপ্রেসওয়ে ব্যবহারে টোল আদায়ের ব্যবস্থা রাখা হয়। এতে দেশের অর্থনীতি সমৃদ্ধ হয়।

যোগাযোগ বিশেষজ্ঞরা বলছেন, বিশ্বের উন্নত ও উন্নয়নশীল অনেক দেশে এক্সপ্রেসওয়েগুলোতে টোল দিতে হয়। এতে রাষ্ট্রীয় কোষাগারে যুক্ত হয় অর্থ। তা অর্থনীতির চাকা সচল রাখতে সাহায্য করে। সুরক্ষিত থাকে এক্সপ্রেসওয়ের মতো গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনাও। টোল আদায় করার পদ্ধতি থাকলে অযথা কোন লোকজন এসব দৃষ্টিনন্দন স্থাপনায় গিয়ে ভিড় করবে না। শুধু মাত্র বিনোদনের জন্য গাড়ি নিয়ে ঘুরাঘুরি করবে না। সে ক্ষেত্রে যানজটের মতো ভয়াবহ সমস্যা থেকে কিছুটা হলেও মুক্তি মিলবে। ঢাকা-মাওয়া-ভাঙ্গা এক্সপ্রেসওয়ে ব্যবহারের ক্ষেত্রে চলাচলকারী যানবাহন থেকে টোল আদায়ের ব্যবস্থা রাখা হয়েছে। তবে উচ্চহারে টোল আদায় নয় একটি আন্তর্জাতিকমানের গুরুত্বপূর্ণ এক্সপ্রেসওয়ে ব্যবহারের জন্য একটি স্ট্যান্ডার্ড টোলের পরিমাণ নির্ধারণ করা প্রয়োজন বলে মনে করেন সংশ্লিষ্টরা।

সড়ক পরিবহন ও মহাসড়ক অধিদফতরের সচিব নজরুল ইসলাম বলেন, অন্তর্বর্তীকালীন টোল হার ঠিক করা হয়েছিল পদ্মা সেতু চালু হওয়ার আগ পর্যন্ত। তাই সেতু চালু হলে টোলের হার বাড়ানো হবে। বর্তমানে এই রুটে ৩টি সেতুতে টোল দিতে হয়। ৩টি সেতুর টোলের হিসাব করলে পুরো এক্সপ্রেসওয়ের টোল খুব একটা বেশি নয়। উন্নয়নের সুফল পাবে মানুষ। অন্যান্য দেশের মতো তাদেরও এটি ব্যবহারে অর্থ ব্যয় করতে হবে। কর্তৃপক্ষ এটিকে সহনীয় পর্যায়ে রাখার চেষ্টা করবে।

পরিকল্পনামন্ত্রী এম এ মান্নান বলেছেন, মহাসড়ক বলতে আমরা জাতীয় মহাসড়কগুলোকে বুঝিয়েছি, ছোট সড়কগুলো নয়। এতদিন আমরা শুধু কয়েকটি নির্বাচিত সেতুতে টোল নিতাম। কিন্তু রাস্তাঘাট মেরামতে আমাদের বহু অর্থের প্রয়োজন হয়। তাই টোল নিয়ে যদি আলাদা একটি ডেডিকেটেড তহবিলে রাখা যায় এবং সেই টাকাটা রাস্তা মেরামতে ব্যয় করা হবে। যারা সড়ক ব্যবহার করেন, যাওয়া-আসা করবেন, তারাই এই টোল দেবেন। সেটা স্বয়ংক্রিয় ব্যবস্থা হতে পারে।

পরিবহন মালিকরাও বলছেন, তারা টোল দিতে রাজি। কিন্তু তার আগে রাস্তাগুলো টোল নেয়ার মতো উন্নত করা হোক। বিশ্বের অনেক দেশে এইরকম ব্যবস্থা আছে। আমাদের দেশে ঈদের সময় রাস্তার অবস্থা খারাপ থাকে। টোল দিতে আমাদের আপত্তি নেই, তবে ভালো সড়কের ব্যাপারটিও নিশ্চিত করা প্রয়োজন। রাস্তা যদি ভালো থাকে, ট্রাফিক ব্যবস্থাপনা থাকে, আমাদের গাড়ি যদি দ্রæত চলাচল করতে পারে তাহলে টোল দিতে আপত্তি থাকবে না। টোলের হার নিয়ে সড়ক পরিবহন ও মহাসড়ক বিভাগে বৈঠক হবে। সেখানে টোলের বিষয়ে কী সিদ্ধান্ত হয়, তখন সে অনুযায়ী কথা হবে।

পদ্মা সেতু চালু হবে এ মাসের শেষ সপ্তাহে। পদ্মা সেতুর জন্য এরই মধ্যে টোল হার নির্ধারণ করা হয়েছে। কিন্তু এ সেতু পাড়ি দিতে হলে টোল দিতে হবে ঢাকা-মাওয়া-ভাঙ্গা এক্সপ্রেসওয়েতেও। মূলত এক্সপ্রেসওয়ে নির্মাণ ও রক্ষণাবেক্ষণের খরচ তুলতে টোল বসাতে চায় সরকার। দেশের প্রথম নির্মিত এই এক্সপ্রেসওয়ের দেখভালের দায়িত্বপ্রাপ্ত সংস্থা সওজ অবশ্য আগামী ১ জুলাই থেকে টোল আদায় শুরু করবে। নতুন টোল হার নির্ধারণ না হওয়া পর্যন্ত অন্তর্বর্তীকালীন সময়ের জন্য যে হার নির্ধারণ করা হয়েছিল। সেই হারে তারা টোল আদায় করবে।
জানা যায়, পদ্মা সেতু চালু হলে দেশের দক্ষিণ ও দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের ১৯টি জেলা সরাসরি সারাদেশের সঙ্গে যুক্ত হবে। ঢাকা-ভাঙ্গা-মাওয়া পথে এক্সপ্রেসওয়ে নির্মাণের ফলে এই পথে যাতায়াতের সময় কমে এক ঘণ্টায় নেমে আসবে। প্রবেশ নিয়ন্ত্রিত এ সড়কে অযান্ত্রিক যান, তিন চাকার যানবাহন এবং কৃষি যানবাহন চলাচল নিষিদ্ধ। এসব যানবাহন দুই পাশের ধীরগতির লেনে চলবে। বর্তমানে ঢাকা-মাওয়া-ভাঙ্গা এক্সপ্রেসওয়েতে অবস্থিত বুড়িগঙ্গা সেতু-১, ধলেশ্বরী সেতু ও আড়িয়ল খাঁ সেতু- এ তিনটি সেতুতে টোল আদায় করা হচ্ছে। এক্সপ্রেসওয়ের সঙ্গে এ তিনটি সেতু যুক্ত। এক্সপ্রেসওয়েতে সেতু তিনটির টোল বিবেচনায় নিয়ে নতুন করে হার নির্ধারণ করবে সড়ক ও জনপথ অধিদফতর (সওজ)।

গত বছরের এপ্রিলে সড়ক পরিবহন ও মহাসড়ক অধিদফতরের প্রস্তাবনা অনুযায়ী অর্থ মন্ত্রণালয় পদ্মা সেতু চালু না হওয়া পর্যন্ত অন্তর্বর্তী সময়ের জন্য ভিত্তি টোল প্রতি কিলোমিটারে ১০ টাকা করার অনুমোদন দিয়েছিল। তবে সড়ক ও জনপথ বিভাগ (সওজ) ভিত্তি টোল হিসেবে স¤প্রতি ৪টি হার প্রস্তাব করেছে। এগুলো হলো ১৮ টাকা ৪০ পয়সা, ২৫ টাকা, ৩৩ টাকা ৭১ পয়সা ও ৩৪ টাকা ৭০ পয়সা, যা পূর্ব নির্ধারিত হারের চেয়ে ৮৪ থেকে ২৫০ শতাংশ পর্যন্ত বেশি। একটি মাঝারি আকারের ট্রাকের জন্য প্রতি কিলোমিটারের টোল ভিত্তি টোল হিসেবে বিবেচিত হয়। এক্সপ্রেসওয়ে ও টোল প্লাজার ৪টি প্রবেশ ও বাহির পথ তৈরি না হওয়ায় অর্থাৎ প্রয়োজনীয় অবকাঠামো না থাকায় ওই টোল হার বাস্তবায়ন করা সম্ভব হয়নি।

নতুন প্রস্তাব করা হার বেশি দেখে সড়ক পরিবহন ও মহাসড়ক অধিদফতর স¤প্রতি এক বৈঠকে ভিত্তি টোল ১৫ টাকা কিংবা ১৮ টাকা ৪০ পয়সা নির্ধারণ করার পক্ষে মত দিয়েছে। সংশ্লিষ্টজনদের সঙ্গে এ বিষয়ে একটি বৈঠক হতে পারে। বৈঠকের পরই এক্সপ্রেসওয়ের টোলের বিষয়ে চ‚ড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেয়া হবে। প্রতি কিলোমিটার নির্মাণ ব্যয় বিবেচনায় এটি দেশের সবচেয়ে ব্যয়বহুল সড়ক। ১১ হাজার ৩ কোটি টাকা ব্যয়ে বাস্তবায়িত ৫৫ কিলোমিটার এই এক্সপ্রেসওয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ২০২০ সালের সালের মার্চে উদ্বোধন করেন। ২০১৯ সালের সেপ্টেম্বরে একনেক সভায় তিনি জাতীয় মহাসড়কে দূরপাল্লার যানবাহন থেকে টোল আদায়ের জন্য সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে নির্দেশ দেন। আদায়কৃত অর্থ সড়ক রক্ষণাবেক্ষণের জন্য ব্যয়ের কথা বলা হয়। পরের বছর টোল নীতি ২০১৪ অনুযায়ী সওজ এক্সপ্রেসওয়ের জন্য একটি টোল কাঠামো তৈরি করে। টোল নীতিতে অবশ্য গুরুত্বপূর্ণ হাইওয়েতে প্রতি কিলোমিটারে ভিত্তি টোল ২ টাকা এবং ৭৫০ মিটারের বেশি দীর্ঘ সেতুর টোল ৪০০ টাকার কথা উল্লেখ আছে।

নীতিমালা অনুযায়ী, মাঝারি ট্রাককে ভিত্তি ধরে টোল নির্ধারণ করা হয়েছে। ৭৫০ মিটারের বেশি দৈর্ঘ্যরে সেতুতে মাঝারি ট্রাকের টোল ৪০০ টাকা। এর চেয়ে কম দৈর্ঘ্যরে সেতুতে টোল ২০০ টাকা। সড়কে প্রতি কিলোমিটারের টোল দুই টাকা। এ হিসাবে বুড়িগঙ্গা, ধলেশ্বরী ও আড়িয়াল খাঁ সেতুতে টোল হাজার টাকা। ৫৫ কিলোমিটার সড়কপথের টোল ১১০ টাকা। সর্বমোট ১ হাজার ১১০ টাকা, যা প্রতি কিলোমিটারে দাঁড়ায় ২০ টাকা ১৮ পয়সা। কমিটি এর অর্ধেকের পূর্ণ সংখ্যা তথা ১০ টাকা প্রস্তাব করেছিল। তিন এক্সেলের ট্রেইলারের টোল মাঝারি ট্রাকের আড়াই গুণ, বড় ট্রাকে দুই গুণ। বড় বাসে টোল মাঝারি ট্রাকের ৯০ শতাংশ।

মিনি ট্রাকে ৭৫ শতাংশ, মিনিবাসে ৫০, মাইক্রোবাস ও পিকআপে ৪০, প্রাইভেটকারে ২৫ শতাংশ এবং মোটরসাইকেলে ৫ শতাংশ। এ হিসাবে এক্সপ্রেসওয়ের প্রতি কিলোমিটারে ট্রেইলারে ৫০ টাকা ৪৫ পয়সা, বড় ট্রাকে ৪০ টাকা ৩৬ পয়সা, ছোট ট্রাকে ১৫ টাকা ১৪ পয়সা, মিনিবাসে ১০ টাকা ৯ পয়সা, মাইক্রোবাস ও পিকআপে ৮ টাকা ৭ পয়সা, প্রাইভেটকারে ৫ টাকা ৫ পয়সা এবং মোটরসাইকেলে ১ টাকা ১ পয়সা। ৫৫ কিলোমিটারের এক্সপ্রেসওয়ের পুরোটায় চললে ট্রেইলারের টোল ২ হাজার ৭৭৫ টাকা টোল দিতে হবে।

এক্সপ্রেসওয়েতে বড় ট্রাকে ২ হাজার ২২০, বড় বাসে ৯৯৯, ছোট ট্রাকে ৮৩৩, ছোট বাসে ৫৫৫, মাইক্রোবাস, জিপ, পিকআপে ৪৪৪, প্রাইভেটকারে ২৭৮ ও মোটরসাইকেলে ৫৬ টাকা টোল আসে। তবে কমিটি ট্রেইলারে ১ হাজার ৩৭৫ টাকা, ভারী ট্রাকে ১ হাজার ১০০, মাঝারি ট্রাকে ৫৫০, বড় বাসের ৪৯৫, ছোট ট্রাকের ৪১৩, ছোট বাসের ২৭৫, মাইক্রোবাস, জিপ ও পিকআপের ২২০ এবং প্রাইভেটকারের ১৩৮ টাকা প্রস্তাব করেছিল। তবে কমিটির প্রস্তাব থাকবে, মাঝারি ট্রাকে কিলোমিটারে ১৩-১৪ টাকা টোল নির্ধারণ করার।

১৯৯৮ সালে ইটালি যান প্রবাসী আল-আমিন। দীর্ঘদিন সেখানে থাকার পর সম্প্রতি গ্রামের বাড়ি শরীয়তপুরের নড়িয়া আসেন। তিনি বলেন, ইটালি থাকাকালীন সময়ে জানতে পেরেছি ঢাকা-মাওয়া-ভাঙা এক্সপ্রেসওয়েরর কথা কিন্তু দেশে এসে দেখলাম এবং এই সড়কে চলাচল করলাম। ভালো লাগলো। মনে হচ্ছে যেন আমি কোন উন্নত দেশেই আছি। আর এ মাসে যদি পদ্মাসেতু উদ্বোধন হয় তাহলে আমাদের আর যোগাযোগের কোন সমস্যা হবে না। রাজধানী ঢাকার সাথে এবং দক্ষিণবঙ্গের জেলাগুলোর সাথে যোগাযোগ সহজ হবে। এই এক্সপ্রেসওয়েতে সরকার নির্ধারিত হারে টোল আদায় করা হলেও সমস্যা নেই কারণ মানুষের টাকা খরচ হলেও যাথা সময়ে নিরাপদে গন্তব্যে ফিরতে পারবে। আর টোলের এ টাকা সরকারি কোষাগারে জমা হবে। এটা জাতীয় অর্থনীতিতে সহায়তা করবে।

বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন মালিক সমিতির মহাসচিব খন্দকার এনায়েত উল্যাহ বলেন, ঢাকা-মাওয়া-ভাঙা এক্সপ্রেসওয়েতে এখনো টোল নির্ধারণ হয়নি। হয়তো আগামী বৈঠকে নির্ধারণ হতে পারে। বিশ্বের অনেক দেশে এইরকম ব্যবস্থা আছে, বাংলাদেশেও যদি সরকার করতে চায় ভালো। টোল দিতে আমাদের আপত্তি নেই, তবে ভালো সড়কের ব্যাপারটিও নিশ্চিত করতে হবে। রাস্তা যদি ভালো থাকে, ট্রাফিক ব্যবস্থাপনা থাকে, আমাদের গাড়ি যদি দ্রæত চলাচল করতে পারে, তাহলে কিছুটা টোল দিতে হলেও আমাদের আপত্তি থাকবে না।

বুয়েটের পুরকৌশল বিভাগের অধ্যাপক ড. শামসুল হক ইনকিলাবকে বলেন, ঢাকা-মাওয়া-ভাঙা এক্সপ্রেসওয়েতে পদ্মাসেতু সংযুক্ত থাকবে। সেক্ষেত্রে সরকারকে টোল আদায়ে কৌশলী পদ্ধতি নিতে হবে। সুষ্ঠু যোগাযোগের বিষটা খেয়াল রাখতে হবে। সরকার অর্থনীতি ও যোগাযোগের ক্ষেত্রে সার্বিক উন্নয়ন চায়। ধাপে ধাপে টোল বাড়ানো উচিত। মাত্রাতিরিক্ত টোল আদায় যেন না হয় সে বিষয়ে খেয়াল রাখতে হবে। যাতায়াতের জন্য বিকল্প একটি সড়কের ব্যবস্থা করা যেতে পারে।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (4)
আহমদ ৩ জুন, ২০২২, ১:৩৩ এএম says : 0
আমেরিকা, মালয়েশিয়ায়সহ বিশ্বের অনেক উন্নত দেশেই এ ধরনের এক্সপ্রেসওয়ে রয়েছে। এর সঠিক ব্যবহার আমাদের অর্থনীতির চাকাকে সচল রাখবে বলে বিশেষজ্ঞরা মনে করেন
Total Reply(0)
আনিছ ৩ জুন, ২০২২, ১:২৫ এএম says : 0
আ.লীগ সরকার এ দেশের রাস্তাঘাটের অনেক উন্নয়ন করেছে
Total Reply(0)
আনিছ ৩ জুন, ২০২২, ১:২৭ এএম says : 0
ঢাকা-মাওয়া-ভাঙ্গা এক্সপ্রেসওয়ে দেশের যোগাযোগ ব্যবস্থায় এক নতুন দিগন্তের সূচনা। এখানে প্রতিদিন অনেক মানুষএ রাস্তা দেখতে যায়। আসলেই সুন্দর একটি জায়গা
Total Reply(0)
আহমদ ৩ জুন, ২০২২, ১:৩১ এএম says : 0
এ দেশে দুর্নীতি না হলে প্রত্যেক জায়গায়ই এ রকম সুন্দর রাস্তা হতো। গ্রামে রাস্তার মাস খানেক পরই নষ্ট হয়ে যায়।
Total Reply(0)

এ সংক্রান্ত আরও খবর

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন