বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১, ১৫ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

মহানগর

মার্কিন বিনিয়োগকারীদের জন্য একক অর্থনৈতিক অঞ্চল থাকবে- সালমান এফ রহমান

অর্থনৈতিক রিপোর্টার | প্রকাশের সময় : ৩ জুন, ২০২২, ৫:৪৯ পিএম

  • বাংলাদেশ-যুক্তরাষ্ট্রের উচ্চ পর্যায়ের বৈঠক
  • পারস্পরিক অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধির আশাবাদ

বাংলাদেশ ও যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যে দ্বিতীয় উচ্চ পর্যায়ের অর্থনৈতিক আলোচনা ওয়াশিংটন ডিসিতে মার্কিন পররাষ্ট্র দফতরে গত বৃহষ্পতিবার অনুষ্ঠিত হয়েছে। প্রধানমন্ত্রীর বেসরকারি শিল্প ও বিনিয়োগ বিষয়ক উপদেষ্টা সালমান এফ রহমান এবং মার্কিন পররাষ্ট্র দফতরের অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি, জ্বালানি এবং পরিবেশ বিষয়ক আন্ডার সেক্রেটারি হোসে ডব্লিউ ফার্নান্দেজ উক্ত আলোচনায় সহ-সভাপতিত্ব (কো-চেয়ার) করেন।

বাংলাদেশের প্রতিনিধি দলে পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী মো. শাহরিয়ার আলম, প্রধানমন্ত্রীর মুখ্য সচিব ড. আহমদ কায়কাউস, সংসদ সদস্য শফিউল ইসলাম মহিউদ্দিন, বেগম শামসুন নাহার, যুক্তরাষ্ট্রে বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত মো. সহিদুল ইসলামসহ সরকারের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা ছিলেন।

বৈঠকে দক্ষিণ ও মধ্য এশিয়া বিষয়ক ডেপুটি অ্যাসিস্ট্যান্ট সেক্রেটারি অ্যাম্বাসেডর কেলি কেইডারলিং, অ্যাসিস্ট্যান্ট মার্কিন ট্রেড রিপ্রেজেন্টেটিভ ক্রিস্টোফার উইলসন, শ্রম বিভাগের আন্তর্জাতিক বিষয়ক ডেপুটি আন্ডার সেক্রেটারি থিয়া লি এবং সংশ্লিষ্ট মার্কিন দফতরসমূহের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

প্রধানমন্ত্রীর উপদেষ্টা সালমান এফ রহমান অর্থনৈতিক সহযোগিতা জোরদার করার ক্ষেত্রে দুই দেশের ব্যবসায়ীদের মধ্যে এবং জনগণের মধ্যে যোগাযোগ বৃদ্ধির উপর গুরুত্বারোপ করেন। তিনি মার্কিন বাজারে বাংলাদেশের পণ্যের অগ্রাধিকার প্রবেশ, পণ্য উৎপাদনে এবং টেকনোলজি ট্রান্সফারের ক্ষেত্রে অধিকতর মার্কিন বিনিয়োগ এবং অবকাঠামোগত উন্নয়নে ইন্টারন্যাশনাল ডেভেলপমেন্ট ফাইন্যান্স কর্পোরেশন (ডিএফসি) অর্থায়নের জন্য মার্কিন সরকারের প্রতি আহবান জানান। একই সঙ্গে মার্কিন বিনিয়োগকারীদের জন্য একক অর্থনৈতিক অঞ্চল স্থাপনের ব্যাপারে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার আহবান পুনর্ব্যক্ত করেন। উপদেষ্টা বাংলাদেশের বিপুল সংখ্যক ফ্রিল্যান্সারদের সুবিধা গ্রহণ করে হাই-টেক পার্কে বিনিয়োগ করার জন্য মার্কিন তথ্য প্রযুক্তি বিষয়ক কোম্পানিগুলোকে উৎসাহিত করেন।

শাহরিয়ার আলম প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দূরদর্শী নেতৃত্ব ও বিনিয়োগবান্ধব নীতির ধারাবাহিকতাকে গত ১৩ বছরে বাংলাদেশের ব্যাপক আর্থ-সামাজিক অগ্রগতির মূল কারণ হিসেবে বলে চিহ্নিত করেন।

আন্ডার সেক্রেটারি হোসে ডব্লিউ ফার্নান্দেজ বাংলাদেশের ব্যাপক অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি এবং করোনার টিকাদানে চমকপ্রদ সাফল্যের প্রশংসা করেন। বাংলাদেশের শ্রমখাতে অগ্রগতির কথা উল্লেখ করে আন্ডার সেক্রেটারি ফার্নান্দেজ শ্রম বিষয়ে দুই দেশের যুক্ত থাকার জন্য একটি নিয়মিত আলোচনা প্রক্রিয়া (কনসাল্টেশন মেকানিজমের) প্রস্তাব করেন।

শ্রম বিষয়ে বাংলাদেশে নিযুক্ত আন্তর্জাতিক শ্রম সংস্থার (আইএলও) কান্ট্রি ডিরেক্টর তুওমো পাউটিআইনেন শ্রম খাতে বাংলাদেশের অগ্রগতি সম্পর্কে বিশদ বর্ণনা করেন। এএফএল-সিআইও গ্লোবাল ওয়ার্কার্স রাইটস কোঅর্ডিনেটর লরা গুতিরেজ, সলিডারিটি সেন্টারের নির্বাহী পরিচালক শনা বাদের-ব্লাউ এবং বাংলাদেশের শ্রমিক প্রতিনিধি কাজী রহিমা আক্তার আলোচনার এই পর্বে উপস্থিত ছিলেন।

উভয় পক্ষ জলবায়ু পরিবর্তন, নবায়নযোগ্য শক্তি, সমুদ্র এবং সুনীল অর্থনীতি, কোভিড-১৯, পর্যটন ও হসপিটালিটি এবং বেসামরিক বিমান চলাচলের বিষয়ে সহযোগিতাসহ বিভিন্ন বিষয়ে আলোচনা করে। বাংলাদেশ ঢাকা ও নিউইয়র্কের মধ্যে সরাসরি ফ্লাইট পুনরায় চালু করার বিষয়ে মার্কিন সরকারকে দ্রুত পদক্ষেপে গ্রহণ করার জন্য অনুরোধ করে। উভয় দেশের প্রতিনিধিরা দ্রুত ফ্লাইট পুনরায় চালু করার জন্য একযোগে কাজ করার ব্যপারে সম্মত হন।

উভয় পক্ষ দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক জোরদার করার ক্ষেত্রে দুই দেশের জনগণের মধ্যে যোগাযোগ বৃদ্ধির বিষয়ে একমত পোষণ করে। এ প্রসঙ্গে প্রতিমন্ত্রী শাহরিয়ার আলম বাংলাদেশের শিক্ষার্থী ও ব্যবসায়ীদের ভিসা প্রক্রিয়া ত্বরান্বিত করতে যুক্তরাষ্ট্রের দৃষ্টি আকর্ষণ করেন। একই সঙ্গে উভয় পক্ষ ২০২৩ সালে ঢাকায় সুবিধাজনক সময়ে তৃতীয় অর্থনৈতিক আলোচনা আয়োজন করতে সম্মত হয়। বৈঠক শেষে একটি যৌথ বিবৃতি প্রকাশ করা হয়।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (1)
ম নাছিরউদ্দীন শাহ ৩ জুন, ২০২২, ৬:৩৩ পিএম says : 0
বাংলাদেশ আমেরিকার জন্যে একক অর্থনৈতিক অঞ্চলের ঘোষণা অত্যন্ত মেধাবী গ্রহণযোগ্য সিদ্ধান্ত। মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর উপদেষ্টা জনাব সালমান এফ রহমান অত্যন্তবিচক্ষন জ্ঞানী কুটনৈতিক প্রজ্ঞায় অবিজ্ঞ ব‍্যাক্তি। সময় উপযোগি সিদ্ধান্ত। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের দক্ষিণ এশিয়ার কৌশল বাংলাদেশ কে নিয়ন্ত্রণে নেওয়া। প্রতিযোগিতামূলক বিশ্বে চীন থেকে বানিজ‍্য কৌশল অর্থনৈতিক সহযোগিতা থেকে বিরত রাখা। নানাভাবে বাংলাদেশ কে চাপের মধ্যে রাখা। ইতিমধ্যেই বাংলাদেশের আইন শৃংখলা বাহিনীর উপর আন্তর্জাতিক কিছু মানবধিকার সংগঠনের রিপোর্টের উপর নিষেধাজ্ঞা। বাংলাদেশ এর আগামী সাধারণত নির্বাচনের উপর কঠোর হস্তক্ষেপের হুসিয়ারী আমেরিকার মিত্র ইউরোপীয় ইউনিয়নভুক্ত দেশগুলো জোরদার কথা বলা শুরু করেছেন। অথাৎ আন্তর্জাতিক কিছু রাষ্ট্র পাশ্ববর্তীরা ঐক্যবদ্ধ হচ্ছে। সকল কেন্দ্রের একমাত্র গুরু আমেরিকা। আন্তর্জাতিক দেশীয় পর্দার অন্তরালের কুটনৈতিক খেলা শুরু হয়েছে। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী উপদেষ্টা বাংলাদেশের বিরুদ্ধে গভীর ষড়যন্ত্রকারীদের জঘন্যতম মিথ্যাচারের কারিগর গুলো। আমেরিকায় অবস্থান নিয়ে রাষ্ট্রদ্রোহিতার অপরাধ করে যাচ্ছে। যুক্তরাষ্ট্রের ষ্টেইড় ডিপার্টমেন্ট যুক্তরাষ্ট্রের উপযুক্ত কতৃ পক্ষ জানিয়েছেন কিনা?মানবধিকার বাক স্বাধীনতা কথা বলে রাষ্ট্রের নির্বাহী প্রধান সেনাবাহিনীর প্রধান সকল বাহিনীর প্রধান রাষ্ট্রের গুরুত্বপূর্ণ ব‍্যাক্তি ও প্রতিষ্টানের বিরুদ্ধে অপরাধ কারীদের আইনের আওতায় আনার জোরদার দাবি জানানো প্রযোজন ছিল। আমেরিকা বাংলাদেশ ঐক্যবদ্ধ ভাবে ব‍্যবসার পাশাপাশি রাজনৈতিক সমঝোতা প্রযোজন। বাংলাদেশের পররাষ্ট্র নীতি অত্যন্ত পরিস্কার সকলের সাথে বন্ধত্ব। আগামী দিন গুলো দেশের জন্যে অত্যন্ত তাপপর্যপূন‍্য বাংলাদেশের ভীষণ কর্মসূচি ৪১ সালের মধ্যে উন্নয়নশীল দেশের মর্যাদার যে রুট ম‍্যাপ মাননীয় প্রধানমন্ত্রী ভীশনারি লিডারশিপ সকল কিছু মাথার নিয়ে দক্ষিণ এশিয়াই বাংলাদেশের শক্তিশালী শক্ত অবস্থানের কর্মসূচি নিয়ে এগিয়ে যাবে বাংলাদেশ দেশের জন্যে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখতে পারবেন বিজ্ঞ রাজনৈতিক ব‍্যাক্তি মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর উপদেষ্টা জনাব সালমান এফ রহমানের মত বিচক্ষন ব‍্যাক্তিগন। চলবে।
Total Reply(0)

এ সংক্রান্ত আরও খবর

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন