শনিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৪, ০৭ বৈশাখ ১৪৩১, ১০ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

জাতীয় সংবাদ

পদ্মা সেতুর প্রথম ভিত্তিপ্রস্থর স্থাপন করেন বেগম জিয়া

ঠাকুরগাঁওয়ে মির্জা ফখরুল

ঠাকুরগাঁও জেলা সংবাদদাতা | প্রকাশের সময় : ৬ জুন, ২০২২, ১২:০১ এএম

সীতাকুণ্ডে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডে নিহত ও আহতদের প্রতি গভীর শোক প্রকাশ করে বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, আমি আতঙ্কিত হচ্ছি এই ভেবে যে দেশ আধুনিক হয়েছে, সিঙ্গাপুর হয়ে গিয়েছে, কিন্তু মানুষের জীবনের নুন্য্যতম নিরাপত্তা নাই এই দেশে। উন্নয়নের নামে এই সরকার শুধু অর্থ কামাই করছে ও চুরি করছে। সীতাকুন্ডের ঘটনাই বলে দেয় দেশে কি উন্নয়ন হয়েছে। গতকাল রোববার দুপুরে ঠাকুরগাঁও প্রেসক্লাবে সাংবাদিকদের সাথে আলোচনাকালে তিনি এই মন্তব্য করেন।

নবনির্মিত পদ্মা সেতুর প্রথম ভিত্তিপ্রস্থর স্থাপন করেছে বিএনপি চেয়ারপার্সন বেগম খালেদা জিয়া মন্তব্য করে তিনি বলেন, আওয়ামী লীগ পদ্মা সেতুকে নিজেদের পৈত্রিক সম্পত্তি মনে করেন। তবে পদ্মা সেতু কারো একক সম্পত্তি না। সম্মিলিত রাষ্ট্রীয় প্রচেষ্টায় তৈরি হয়েছে। এই পদ্মা সেতুর প্রথম ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেছিলেন বিএনপি চেয়ারপার্সন দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়া। একই সাথে মাওয়ার পাড়ে ও ফরিদপুর সাইটে তিনি ভিত্তিপ্রস্থর স্থাপন করেছিলেন।
তিনি বলেন, যমুনা সেতুর কাজও করেছে বিএনপি। তবে তারা ক্ষমতায় বসেই সব কৃতিত্ব নিজের বলে দাবি করতে শুরু করেন। একজনের নামেই সকল ব্যানার, ফেস্টুন ও মূর্তি তৈরি হয়ে যায়। তারা সেতুর নামটাই পরিবর্তন করে দিলো। বিএনপির অবদান তারা কখনই স্বীকার করেনা।
দেশের স্বাস্থ্য ব্যবস্থা ভঙ্গুর হয়ে গিয়েছে অভিযোগ করে তিনি আরো বলেন, আমাদের মন্ত্রীরা শুধু মুখেই কথা বলে উন্নয়ন আর উন্নয়ন। এখন তো পদ্মা সেতু ছাড়া দেশে আর কিছু নেই। কিন্তু অগ্নিকাণ্ডে যে এতগুলো মানুষের প্রাণ গেল, এতগুলো মানুষ মৃত্যুর সাথে লড়ছে এর জন্য দায়ি সরকার। করোনার সময় বলেছিলাম দেশে আইসিইউ নেই, অক্সিজেন সরবরাহ নেই, ডাক্তার নেই, নার্স নেই। এখন কিন্তু আবার একই কথা বলতে হচ্ছে। অগ্নিকাণ্ডে আহতদের চিকিৎসাও ভালোভাবে হচ্ছে না।
মালয়েশিয়ায় লোক পাঠানোর জন্য যে সিণ্ডিকেট তৈরি করা হয়েছে তার মধ্যে একটা অর্থ মন্ত্রীর স্ত্রীর নামে রয়েছে। এই সরকার কিভাবে সবখানে চুরি করছে সেটা বুঝেন তাহলে। যে দেশে উন্নয়নের নামে চুরি করা হয়, যেখানে দরিদ্রের সংখ্যা বেড়ে ৪২%, সেখানে যদি কেউ বলে ইউরোপিয়ন স্টাইলে জীবন যাপন করা হচ্ছে। এটা পরিহাস ছাড়া কিছু না। সাধারণ মানুষকে ছোট করা, পুরো জাতিকে অপমান করা সামিল।
দেশে আজ যা হচ্ছে তাতে বড় বড় উন্নয়নের লেকচার দিয়ে আর মনভোলানো কথা বলে দেশের মানুষকে দাবিয়ে রাখা যাবেনা। দেশের মানুষের নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসসহ খাদ্য দ্রব্যের মূল্য বাড়ছে। দেশের জনগণের পেটে লাথি পড়ছে। দেশের মানুষ জেগে উঠলে এবার ওবায়দুল কাদেররাই মাঠ ছেড়ে পালাবেন।
এসময় আরো উপস্থিত ছিলেন, জেলা বিএনপির সভাপতি তৈমুর রহমান, সাধারণ সম্পাদক মির্জা ফয়সাল আমিন, অর্থ সম্পাদক শরিফুল ইসলাম শরিফ প্রমুখ।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

এ সংক্রান্ত আরও খবর

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন