শুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০, ১৮ রমজান ১৪৪৫ হিজরী

আন্তর্জাতিক সংবাদ

অনাস্থা ভোটের মুখে পড়তে পারেন বরিস জনসন

ইনকিলাব ডেস্ক | প্রকাশের সময় : ৬ জুন, ২০২২, ১০:১৪ এএম | আপডেট : ২:২১ পিএম, ৬ জুন, ২০২২

‘পার্টিগেট কেলেঙ্কারিতে’ সমালোচিত ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী ও রক্ষণশীল নেতা বরিস জনসন অনাস্থা ভোটের মুখে পড়তে পারেন। করোনাভাইরাস মহামারিকালে ডাউনিং স্ট্রিটে পার্টি আয়োজনের ঘটনার তদন্ত প্রতিবেদন প্রকাশ্যে আসার পর তিনি এই চ্যালেঞ্জের মুখে রয়েছেন।

রাজনৈতিক চাপের কারণে সাম্প্রতিক সরকারি ছুটির দিনগুলোতে খুব একটা অবসর কাটাতে পারেননি বরিস জনসন। কারণ রানি দ্বিতীয় এলিজাবেথের সিংহাসন আরোহণের প্লাটিনাম জয়ন্তীর নানা অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন তিনি।
ব্রিটেনের পত্রিকা সানডে টাইমস জানায়, ক্ষমতাসীন দলের অনেক এমপিই বলেছেন, তারা প্রধানমন্ত্রী বরিসের ওপর আস্থা হারিয়েছেন। অনেকেই ইতিমধ্যে অনাস্থা ভোটের আবেদন জানিয়ে চিঠি দিয়েছেন। আজ সোমবার যখন পার্লামেন্ট বসছে তখন সব দৃষ্টি থাকবে স্যার গ্রাহাম ব্রাডির দিকে। তিনি ১৯২২ কমিটির চেয়ারম্যান। ব্রিটেনে কনজারভেটিভ প্রাইভেট মেম্বারস কমিটি নামে আনুষ্ঠানিকভাবে এই কমিটি পরিচিত।
এটি হলো ব্রিটেনের হাউজ অব কমন্সে কনজারভেটিভ পার্টির পার্লামেন্টারি গ্রুপ। এই গ্রুপের শতকরা ১৫ ভাগ অর্থাৎ যদি ৫৪ জন এমপি চেয়ারম্যানের বরাবরে প্রধানমন্ত্রীর বিরুদ্ধে আস্থাভোট আহ্বান করে চিঠি লেখেন বা ইমেইল পাঠান, তাহলে আস্থা ভোট হয়। এখন পর্যন্ত এমন চিঠি বা ইমেইল কতজন এমপি লিখেছেন তা শুধু স্যার গ্রাহামই জানেন। এ নিয়ে কোনো পূর্বাভাসই করা যায় না। ফলে আগামী কয়েক দিনের মধ্যে কি ঘটতে যাচ্ছে তা নিশ্চিতভাবে কেউ জানেন না।
২৫ জনের বেশি এমপি প্রকাশ্যে বরিস জনসনের বিরোধিতা করে চিঠি দিয়েছেন বলে জানান। অনেকেই ভয়ে নাম প্রকাশ করতে চাননি। কারণ তাদের আশঙ্কা হুইপ তাদের বিরুদ্ধে প্রতিশোধমূলক ব্যবস্থা নিতে পারেন। জনসনের বিরুদ্ধে অনাস্থা ভোট হবে কি না- এমন প্রশ্নের জবাবে পরিবহনমন্ত্রী গ্র্যান্ট শ্যাপ বিবিসিকে বলেন, আমি এ বিষয়ে জানি না। তার মতে, যে কোনো ভোটেই জনসন বিজয়ী হবেন।
ইতোমধ্যে বরিস করোনা মহামারির লকডাউনের মধ্যে ডাউনিং স্ট্রিটে মদের পার্টি করার জন্য ক্ষমা চেয়েছেন। কিন্তু জনগণ তার প্রতি ক্ষুব্ধ বলেই মনে করা হচ্ছে। রানি দ্বিতীয় এলিজাবেথের সিংহাসনে আরোহণের ৭০ বছর উপলক্ষে আয়োজিত অনুষ্ঠানে বরিস জনসনকে দুয়ো ধ্বনি দেওয়া হয়। চলতি মাসেই পার্লামেন্টের দুটি আসনে উপ-নির্বাচন হবে। একজনের বিরুদ্ধে পার্লামেন্টে বসে পর্নোগ্রাফি দেখার অভিযোগ এবং অন্য জনের বিরুদ্ধে একজন বালককে যৌন হয়রানি করার অভিযোগ ওঠার পর তারা পদত্যাগ করেন। সূত্র : সানডে টাইমস

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

এ সংক্রান্ত আরও খবর

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন