নারী সাংবাদিকের বিরুদ্ধে দায়েরকৃত পৃথক ৩টি মামলাসহ ৫ মামলা প্রত্যাহারের দাবি জানিয়েছে ‘বাংলাদেশ নারী সাংবাদিক কেন্দ্র’ (বানাসাক)। গতকাল সোমবার জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে অনুষ্ঠিত এক মানববন্ধনে এ দাবি জানানো হয়। সংগঠনের সভাপতি নাসিমুন আরা হক মিনুর সভাপতিত্বে মানববন্ধনে সিনিয়র সাংবাদিক দিলরুবা খান, জান্নাতুল ফেরদৌস পান্না, শাহনাজ পলি, ফাতেমা বেগম, বিএফইউজে’র কোষাধ্যক্ষ খায়রুজ্জামান কামাল, ডিইউজের যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক খায়রুল আলম, বাংলাদেশ ক্রাইম রিপোর্টার্স এসোসিয়েশনের সাবেক প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক হরলাল রায় সাগর, ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির কার্যনিবাহী সদস্য সুশান্ত সাহা প্রমুখ অংশ নেন।
মানববন্ধনে বক্তারা বলেন, ‘দৈনিক আমাদের অর্থনীতি’র রংপুর বিভাগীয় প্রতিনিধি আফরোজা সরকারের বিরুদ্ধে ডিজিটাল আইনে পৃথক ৩টি মামলা দায়ের করা হয়েছে। তার ওপর বর্বরোচিত হামলা চালিয়ে গুরুতর আহত করা হয়েছে। উল্টো তার বিরুদ্ধেই ছিনতাই ও সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডের মামলা দেয়া হয়েছে। আমরা কাপুরুষোচিত, ন্যাক্কারজনক এই হামলা-মামলার নিন্দা জানাই। সেইসঙ্গে অবিলম্বে সাহসী এই নারী সাংবাদিকের বিরুদ্ধে দায়েরকৃত সকল মিথ্যা মামলা প্রতাহারের দাবি জানাই। মানববন্ধনে বক্তারা উল্লেখ করেন, ২০২১ সালের ২৪ সেপ্টেম্বর বিকেলে রংপুর রিপোর্টার্স ক্লাবের সাধারণ সভা অনুষ্ঠিত হয়। নির্বাচনী ফলাফলকে কেন্দ্র করে গণমাধ্যমকর্মী নামধারীরা বহিরাগত সন্ত্রাসীরা সাংবাদিক আফরোজা সরকারের ওপর অতর্কিত হামলা করে। হামলায় ক্লাবের পাঁচ সদস্য আহত হন। আহতদের মধ্যে ক্লাবের নবনির্বাচিত যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আজম পারভেজ ও সাহিত্য ও সংস্কৃতি বিষয়ক সম্পাদক আফরোজা সরকারের অবস্থা ছিলো গুরুতর। হামলাকারীরা এ সময় চেয়ার, টেবিল, ফ্যানসহ আসবাবপত্র ভাঙচুর করে। গুরুতর জখম হয়ে চিকিৎসাধীন অবস্থায় হামলাকারীরাই উল্টো আফরোজা সরকার ও আজম পারভেজসহ ১২ জনকে আসামি করে মামলা দেয়। এ ঘটনা নিয়ে ‘ফেস দ্যা পিপল’ নামক একটি ফেসবুক লাইভ পেইজে কথা বলেন আহত আফরোজা।
এ প্রেক্ষিতে তার বিরুদ্ধে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে পৃথক ৩টি মামলা করে। পাঁচটি মামলা দিয়ে এই নারী সাংবাদিককে এখন হয়রানি করা হচ্ছে। মানববন্ধন থেকে আফরোজার ওপর হামলাকারেিদর দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবি করা হয়। সেই সঙ্গে ডিজিটাল আইনসহ বিভিন্ন আইনে দায়েরকৃত সকল মামলা প্রত্যাহারের দাবি জানানো হয়।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন