রাজধানীর তেজগাঁও সাত রাস্তা থেকে বিমানবন্দর সড়ক পর্যন্ত বেলা ১১ থেকে তীব্র যানজটের সৃষ্টি হয়েছে। বিকেল চারটায় এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত রাস্তায় দু’পাশে শত শত গাড়ি আটকে আছে ঘন্টার পর ঘন্টা। তীব্র যানজটের কারনে ট্টাফিক পুলিশের কার্যক্রম অনেকটাই স্থবির হয়ে পড়েছে।
ডিএমপির ট্টাফিক পুলিশের একজন দায়িত্বশীল কর্মকর্তা নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেন, ঢাকা মহানগর উত্তর আওয়ামীলীগের উদ্যোগে অনুষ্ঠিত বিক্ষোভ মিছিল ও মিছিল পরবর্তী সমাবেশকে কেন্দ্র করে ব্যাপক যানজটের সৃষ্টি হয়। ট্টাফিক পুলিশ যানজট নিরসনে কাজ করছে বলে তিনি মন্তব্য করেন।
বিমানবন্দর থেকে তেজগাঁও আসা এক গাড়ি চালক বলেন, বেলা সাড়ে ১২টায় তিনি বিমান বন্দর থেকে বিদেশগামী এক আত্মীয়কে নামিয়ে দিয়ে ফিরছিলেন। কিন্তু দীর্ঘ দুই ঘন্টায় মহাখালি পর্যন্ত আসতে পারেন। রাস্তায় সমাবেশ বা মিছিলের নামে যে দুর্ভোগ তৈরি হয়েছে তা দেখার কেউ নেই। এ দেশের সাধারণ মানুষ আজ বড় অসহায় বলে তিনি মন্তব্য করেন।
পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, তেজগাঁও সাতরাস্তা মোড়ে ঢাকা মহানগর আওয়ামী লীগের বিক্ষোভ মিছিলকে কেন্দ্র করে উত্তরা আব্দুল্লাহপুরসহ খিলক্ষেত এলাকা থেকে গণপরিবহনে চেপে নেতা-কর্মীরা যোগ দেন। এ কারণে বেলা ১২টা থেকে বিমানবন্দর এলাকায় সড়কের পাশে সারি সারি গণপরিবহন দাঁড়িয়ে থাকতে দেখা যায়। একই ভাবে খিলক্ষেত ও বিশ্বরোড এলাকায়ও গণপরিবহন দাঁড়িয়ে ছিল। এতে সড়ক সংকুচিত হয়ে যানজট বাড়িয়ে তুলেছে।
ট্রাফিক পুলিশ সদস্যরা বলছেন, সকালের তুলনায় উত্তরা থেকে মহাখালী পর্যন্ত সড়কে যানবাহনের চাপ প্রচ- বেড়েছে। এর প্রভাব পড়েছে তেজগাঁও ও ফার্মগেট এলাকা জুড়ে।
রহমতুল্লাহ নামে এক যাত্রী বলেন, সাধারণত সকালে অফিসগামী ও স্কুল-কলেজের শিক্ষার্থীদের চলাচলে যানজট সৃষ্টি হয়। তবে দুপুরে যানবাহনের চাপ তুলনামুলভাবে কম থাকে। আজ দুপুরেই অনেক বেশি চাপ দেখা যাচ্ছে। এদিকে বনানী-কাকলী থেকে মহাখালী, আন্তঃজেলা বাস টার্মিনাল ও তেজগাঁও এলাকায় যানবাহনের প্রচ- জট সৃষ্টি হয়েছে।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন