বৃহস্পতিবার, ১৮ এপ্রিল ২০২৪, ০৫ বৈশাখ ১৪৩১, ০৮ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

জাতীয় সংবাদ

বিশ্বের ২০০ কোটি মুসলমানের কলিজায় আঘাত

ভাষ্যকার | প্রকাশের সময় : ৯ জুন, ২০২২, ১২:০০ এএম

সাম্প্রদায়িক বৈষম্যের জন্য বিশ্বজুড়ে ভারতের বদনাম আছে। বর্তমানে এটি টক অব দ্য ওয়ার্ল্ড হয়ে দাঁড়িয়েছে। ১৯৪৭ সালে স্বাধীনতার পর থেকে আজ পর্যন্ত লক্ষাধিক সাম্প্রদায়িক দাঙ্গা সে দেশে হয়েছে। ৬০ হাজার বড় দাঙ্গার রেকর্ড ভারতের সরকারী হিসাবেই আছে। বিশেষ করে মুসলিম জনগোষ্ঠীর প্রতি বৈষম্য যেন ভারতের অলিখিত আইন। সরকারি চাকরিতে যথোপযুক্ত পদে তাদের অবস্থান ভারতের জন্য খুবই লজ্জাজনক। যদিও সংবিধানে বৈষম্যহীন অধিকারের কথা সকলের জন্যই বলা আছে। বর্তমান মোদি সরকার আমলে বৈষম্য চরম আকার ধারণ করে। ভারত একটি বহুত্ববাদী গণতান্ত্রিক ও ধর্মনিরপেক্ষ বড় দেশ, এ দাবি মোদি সরকারের যুগে ধুলোয় মিশে গেছে। ভারতের যে গৌরবজনক পরিচয় একসময় আধুনিক বিশ্বে ছিল, অধিকাংশ ভারতীয়ের মতেই সম্ভবত এই কথাটি এখন আর বহাল নেই। তাদের দৃষ্টিতেও এটিকে এখন উদার রাষ্ট্র বলা ঠিক হবে না। কারণ, মুসলিম ও খ্রিস্টানদের প্রতি উগ্র হিন্দুত্ববাদের আচরণ সংবিধানের কথার সাথে যায় না। বিশেষ করে আর্থিক মন্দা, রাজনৈতিক ব্যর্থতা ও উন্নয়নের সব চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় ব্যর্থ হয়ে সস্তা জনপ্রিয়তার জন্য হিংসা, ভেদ-ভাবনা ও ধর্মীয় সাম্প্রদায়িকতাকে একমাত্র পুঁজি করে ভারত সরকার চলছে।

ইউপিতে সবচেয়ে বেশি সাম্প্রদায়িক দমন-পীড়ন সংগঠিত হয়েছে। পশ্চিমবঙ্গ ও আসামসহ সারা ভারতের কোটি মানুষ নাগরিকত্ব বাতিলের হুমকির শিকার। সারা ভারতই পশ্চাদপদ হিন্দুত্ব ও উগ্রবাদের শিকার। দল, সরকার ও বিচারালয় শুধু নয়, ধর্ম ও উচ্চ শিক্ষার সাথে যুক্ত লোকেরাও মিথ্যা গল্পের পেছনে ছুটছে। গরুর গোশত আছে বলে সন্দেহ করে মানুষকে হত্যা করা হয়েছে। গণপিটুনীতে বহু মুসলিম নিহত হয়েছে। মুসলিম সন্দেহে হিন্দুকেও হত্যা করা হয়েছে। জনসমাবেশে ধর্মীয় গুরু কর্তৃক প্রকাশ্যে মুসলিমদের মা-বোনদের ধরে এনে ধর্ষণের উসকানিপূর্ণ ঘোষণা দেওয়া হয়েছে। মুসলিম জাতিগত গণহত্যার পরিকল্পনা প্রকাশ পেয়েছে। ভিসা নিয়ে ভ্রমণরত বিদেশি মুসলিমদের বহিরাগত অনুপ্রবেশকারীরূপে দেখানো হয়েছে।

ঐতিহাসিক মুসলিম স্থাপনাকে শিব মন্দির বলে দাবি করা হচ্ছে। এমন কি তাজমহলকেও মন্দির, কুতুব মিনারকে হিন্দু স্থাপনা বলে দাবি করা হচ্ছে। একথাও বলা হয়েছে যে, আজমির শরিফের হযরত খাজা মঈনউদ্দীন চিশতি (রহ.)-এর মসজিদ মাজার ও খানকাহ এসবও প্রাচীন হিন্দু স্থাপনার ওপর নির্মিত। এতসব কাজের বিষয়ে সরকারের কোনো বক্তব্য নেই। এই তৎপরতা ও প্রচারণার সাথে সরকারী মেকানিজম যুক্ত বলে বারবার প্রমাণ পাওয়া গেছে। জাতিসংঘ ও যুক্তরাষ্ট্র এসব বিষয়ে পর্যবেক্ষণ দিয়েই চলেছে। এসব ধর্ম ও বর্ণবৈষম্য মিডিয়ার যুগে বিশে^র সব জায়গায় প্রচারিত হয়। যার ফলে সর্বশেষ একটি কথা বিশ^ সমাজে চালু হয়েছে যে, ভারত দক্ষিণ পূর্ব এশিয়ার ইসরাইলে পরিণত হতে যাচ্ছে। ইসরাইল যেমন ফিলিস্তিনের মানুষের ইতিহাস ঐতিহ্য, স্বাধীনতা ও মাতৃভূমিকেও স্বীকার করে না, আজকের ভারতও হাজার বছরের মুসলিম জাতি, তাদের ইতিহাস, ঐতিহ্য, স্বাধীনতা সংগ্রামে তাদের অবদান ও ভারতীয় সভ্যতায় তাদের অতুলনীয় অংশগ্রহণ মোটেও স্বীকার করতে প্রস্তুত নয়, বরং সেখানে মুসলমানদের অস্তিত্বকেই সহ্য করা হচ্ছে না। বলা হচ্ছে, মুসলমানরা আগে হিন্দু ছিল। তবে, একথাটি কেউ বলছে না যে, হিন্দুরাই প্রথমত ভারতে বহিরাগত। তারা মধ্য এশিয়া থেকে আগত আর্য জাতি, ব্রাহ্মণ্যবাদ যার প্রতীক। এর বাইরে বাকিসব অনার্য ভারতীয় অন্য কোনো চেতনা ও বিশ^াসের।

যখন সব ধর্মের লোকদের কাছে স্বীকৃতি সুলতানুল হিন্দ খাজা আজমীরির দরগাহটিও হিন্দু মন্দির বলে দাবি করা শুরু হলো, তখন অনেক বোদ্ধা ব্যক্তি মন্তব্য করেছিলেন যে, পানি বিপদসীমার ওপর দিয়ে চলছে। এরই মধ্যে শাসকদলের দুই গুরুত্বপূর্ণ নেতা সীমাতিক্রম করে আল্লাহর রাসুল (সা.) এর বিষয়ে বিরূপ মন্তব্য করে বসে। যা মানবজাতির জীবনে সর্বোচ্চ কলঙ্কজনক ও নিকৃষ্ট অপরাধ। যে জাতি বা সম্প্রদায়ের আল্লাহর শ্রেষ্ঠ রাসুল (সা.) এর প্রতি যত শত্রুতা, তারা তত দ্রুত মারাত্মক ক্ষতির সম্মুখীন হবে। পবিত্র কোরআনে মহান আল্লাহ ঘোষণা দিয়েছেন, ইন্না কাফাইনা কাল মুস্তাহজিয়ীন। হে নবী, আপনার শত্রুদের জন্য আমি আল্লাহই যথেষ্ট। আপনার অবমাননার প্রতিবিধানে আপনার জন্য আল্লাহ যথেষ্ট। একজন নেত্রী যিনি শাসকদলের মুখপাত্র তিনি মহানবী (সা.) এবং তাঁর সম্মানিত সহধর্মিণী হজরত আয়েশা (রা.) এর বিষয়ে কটু মন্তব্য করেন। অন্য নেতা যিনি দিল্লির মিডিয়া প্রধান তিনিও কটূক্তি ও সীমালঙ্ঘন করেন। জাতীয় মিডিয়ায় এসব সারা বিশ্বের নজরে আসে। এরফলে বিশ্বের প্রায় ২০০ কোটি মুসলমান তাদের কলিজায় আঘাত প্রাপ্ত হয়। বিশেষ করে মধ্যপ্রাচ্যের আরব দেশগুলোতে সাধারণ মানুষ অধিক মর্মাহত হয়। অন্য সময় শাসকরা বিশ^ রাজনীতির টানে ভারতের ন্যায় অন্যায় নিয়ে চিন্তা করে না। তারা উম্মাহর চিন্তা বাদ দিয়ে শাসন ক্ষমতা, ব্যবসা ও স্বার্থের চিন্তাকে প্রাধান্য দেয়। কিন্তু বর্তমান বিশ^ বাস্তবতার চাপে এবং পাশ্চাত্য-রাশিয়া বিরোধ পরিস্থিতিতে আরবের শাসকরাও জনগণের অনুভূতির সাথে মিল রেখে চলতে বাধ্য হয়। এমন না হলে তারা নতুন আরব বসন্তের শিকার হবে। এসব ক্ষেত্রে ইদানীং সোশ্যাল মিডিয়া ভালো ভূমিকা রাখে। একজন আরব ব্যবসায়ী তার বার্তায় লেখেন, আমি ভারতীয় অমুসলিম সব কর্মীর কাজের চুক্তি বাতিল করে দিয়েছি। তাদের সব পাওনা চুকিয়ে দিয়ে একমুখী বিমানের টিকিট কেটে দিয়েছি। ভারতের সাথে আমার সব ধরনের বাণিজ্যিক লেনদেনের ইতি টেনেছি। আল্লাহর রাসুলের প্রতি তাদের গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিদের এই আচরণের ফলে এমনটি করা ছাড়া আমার ঈমানের ন্যূনতম দাবিও পূরণ হতো না।

এই বার্তাটি সারা আরবজাহানে দাবানলের মতো ছড়িয়ে পড়ে। এরপর যেসব দেশে আগে বাংলাদেশ, ভারত, পাকিস্তানিরা কোনো মিছিল করলে চাকরি থেকে বের করে দেওয়া হতো। দেশে ফেরত পাঠানো হতো। সেসব দেশের সরকার ভারতীয় দূতকে ডেকে এমন সীমালঙ্ঘনের নিন্দা ও প্রতিবাদ জানায়। তারা ভারত সরকারকে বিশে^র মুসলিমদের কাছে প্রকাশ্যে ক্ষমা চাওয়ার দাবি তোলে। ব্যবসায়ী ও নাগরিক পর্যায়ে ভারতীয় পণ্য বর্জনের ডাক দেওয়া হয়। আরব বিশ্বের অনেক আলেম ও মুফতি সোচ্চার হন। ভারতীয় কিছু নেতানেত্রীর মুসলিমবিদ্বেষ এবারই প্রথম মুসলিম বিশ্বের অনুভূতিকে এভাবেই আহত করে। কোরআনে মহান আল্লাহর ঘোষণা, সূরা মায়েদার ৬৭ নম্বর আয়াতের শেষাংশে তিনি বলেন : আল্লাহু ইয়া’সিমুকা মিনান নাস। অর্থাৎ, মানুষের শত্রুতা থেকে আল্লাহ স্বয়ং আপনার হেফাজত করবেন। সুরা মুদ্দাসসিরের ৩১ নম্বর আয়াতে আল্লাহ আরও বলেন, ‘ওমা ইয়’লামু জুনুদা রাব্বিকা ইল্লা হুআ’। আপনার প্রভুর সৈন্য সামন্ত সম্পর্কে তিনি নিজেই জানেন আর কেউ জানে না।

একই সাথে সউদী আরব, আরব আমিরাত, কুয়েত, কাতার, তুরস্ক, জর্ডান বাহরাইন, ওমান ও ইরান এমন ভূমিকা রাখে। ওআইসি নিন্দা ও প্রতিবাদ জানানোর মধ্য দিয়ে সারা মুসলিম বিশ^ প্রতিবাদী হয়ে উঠে। এরপর পাকিস্তানের শাসক ও সেনাবাহিনী এর নিন্দা জানায়। মালয়েশিয়া ও ইন্দোনেশিয়া এই কাজের নিন্দা ও প্রতিবাদ করে। ভারতের কানপুরে জুমার নামাজের পর মুসলিমরা প্রতিবাদ করতে নামলে যোগি সরকার কঠোর হাতে তাদের দমন করে। ভিডিও ছবি দেখে গ্রেফতার ও নির্যাতন করা হয়। নতুন নিবর্তনমূলক আইনের দ্বারা মুসলমানদের সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত করার প্রক্রিয়া শুরু হয়। কিন্তু ভারতের মুসলমনরা বিশ^ নবীর অবমাননাকে যে কোনো ভয় ভীতি ও চাপের মুখেও মেনে নিতে পারেন না। সারা ভারতে প্রতিবাদ শুরু হয়।

আরব বিশে^ এর প্রতিক্রিয়া ভারতীয় কর্তৃপক্ষের জন্য খুব ভারি হয়ে দেখা দেয়। কারণ, ভঙ্গুর ও টাল মাতাল অর্থনীতিতে ভারত মুসলিম বিশে^র এই বয়কট একসপ্তাহ সহ্য করারও ক্ষমতা রাখে না। কারণ, মুসলিম বিশে^ প্রায় দুই কোটি ভারতীয় চাকরি করে। কেবল আরব দেশগুলোতেই এক কোটি ৩৬ লাখ ভারতীয় কর্মী রয়েছে। তাদের যদি ফেরত পাঠানো হয়, তাহলে ভারতের জীবনযাত্রার চাকা বসে পড়বে। বৈদেশিক আয়ে আরব বিশে^র রেমিট্যান্স ও রফতানি আয় কেবল একমাস বন্ধ থাকলেই ভারতের অর্থনীতির দফারফা শুরু হবে। বেশি ক্ষতি হয় এ কারণে যে, বয়কট ও রাষ্ট্রদূতদের ডেকে প্রতিবাদ করার সময় ভারতের উপরাষ্ট্রপতি আরব বিশে^র সফরে ছিলেন। কাতারের আমির তার সাথে বৈঠক বাতিল করে দেন। সরকার ও ক্ষমতাসীন দল বিষয়ের গুরুত্ব আঁচ করতে পেরে কটূক্তিকারী দুই নেতাকে দল থেকে বহিষ্কার করে এবং ঘোষণা দেয় যে, বিজেপি সকল ধর্মের প্রতি শ্রদ্ধাশীল।

কিন্তু আরব ও মুসলিম বিশ^ এতটুকুতেই সন্তুষ্ট নয়। তারা ভারত সরকারকে প্রকাশ্যে ক্ষমা চাইতে বলছে। কেননা, শাসকদলের উচ্চ পর্যায় থেকে এই কটূক্তি ছিল বিশে^ প্রায় ২০০ কোটি মুসলমানের ধর্মীয় অনুভূতিতে চরম আঘাত। কেননা, মুসলমানের জীবনে মহানবী (সা.) এর মর্যাদা রক্ষার চেয়ে আর কোনো ইস্যু গুরুত্বপূর্ণ নয়। আসলে দীর্ঘদিনের সাম্প্রদায়িক উগ্রতা ও মুসলমানদের সাথে চরম বৈরি আচরণ মুসলমানদের মনে দুঃখ ও ক্ষোভের জন্ম দেয়, বিশ^ নবী (সা.)-এর মর্যাদাহানীর এ ঘটনার মধ্য দিয়ে বিশ^ব্যাপী এক অভূতপূর্ব আলোড়ন সৃষ্টি হয়। মুসলমান অনেক কিছুই সহ্য করতে পারে। কিন্তু মহানবী (সা.) এর প্রতি বিষোদ্গার বা শত্রুতা তারা মেনে নিতে পারে না। যার নজির নিকট অতীতে ইতালি-ফ্রান্স ও আমেরিকার কিছু ঘটনায় দেখা গেছে। মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী, ফরাসি প্রেসিডেন্টসহ বড় বড় অনেক নেতাকে যে জন্য দুঃখ প্রকাশ করতে হয়েছে। বয়কটের বিষয়ে ফ্রান্সকে মুসলিম বিশে^র সহানুভূতি কামনা করতে হয়েছে। কূটনৈতিক ভাষায় এগুলোই ক্ষমা প্রার্থনা।

চলমান অস্থিরতা নিরসন পুরোটাই ভারত সরকারের নীতি ও আচরণের ওপর নির্ভর করে। মুসলমানদের প্রতি তাদের দৃষ্টিভঙ্গিতে পরিবর্তন ছাড়া মুসলিম বিশ্বের আস্থা অর্জন তাদের জন্য সুকঠিন। এবারকার এই বৈশ্বিক আলোড়ন থেকে ভারতের শিক্ষা নিতে হবে। বৈষম্য নয়, সব নাগরিকের অধিকার দেওয়াই আধুনিক রাষ্ট্রের চরিত্র। ভারতে মুসলমানদের সাথে শুরু হওয়া আচরণ সভ্য পৃথিবীর নীতিমালায় পড়ে না। তুর্কি ধর্মমন্ত্রী ড. আলী এরবাশ টুইট বার্তায় বলেছেন, বৈষম্য আধুনিক রাষ্ট্রের নীতি হতে পারে না। মিশরের আল আজহারের বিবৃতিতে বলা হয়েছে, মহানবী (সা.) সম্পর্কে বিরূপ মন্তব্য কেবল তুলনামূলক ধর্ম ও সভ্যতার বিষয়ে গণ্ডমূর্খ ব্যক্তিই করতে পারে।

ওআইসি সদস্য হিসাবে বাংলাদেশ তার মনোভাব আলাদাভাবে প্রকাশ না করলেও ৫৭ দেশ থেকে বিচ্ছিন্ন হতে পারে না। ইসলামী নেতৃবৃন্দ স্বাধীন রাষ্ট্র হিসাবে সংসদে নিন্দা প্রস্তাব তোলার আহ্বান জানিয়েছেন। বিশ্বনবী (সা.) মানবতার মুক্তিদূত হিসাবে সব মানুষেরই প্রাতস্মরণীয় আদর্শ। বাংলাদেশের সবদল মতের নেতারা; কিন্তু তাঁর অবমাননার ঘটনায় নিন্দা ও ক্ষোভ জানায়নি। অথচ ভোটের সময় এরাই ধর্মের প্রলেপ মেখে মাঠে নামে। ইসলামী নেতৃবৃন্দের কর্তব্য, ঈমানি ইস্যুকে দলীয় বিচারে না দেখে উম্মাহর সামগ্রিক চেতনার আলোকে বিবেচনা করা। মুসলমানদের কমন ইস্যুতে বাংলাদেশ বিশ্ব মুসলিম থেকে বিচ্ছিন্ন নয়, পিছিয়েও থাকতে পারে না। সরকার ও জনসাধারণের পারস্পরিক সহযোগিতায় সারা দেশে ঘটনার নিন্দা ও প্রতিবাদ কাম্য। আইনশৃঙ্খলা ও পরিবেশ পরিস্থিতি সুন্দর রেখে নিয়মতান্ত্রিক বিক্ষোভ প্রদর্শন ঈমানের দাবিতেই জরুরি। মহানবী (সা.)-এর মর্যাদার ইস্যুতে ভারতীয় মুসলমানদের সাথে একাত্মতা প্রকাশ বাংলাদেশের স্বাধীনতার চেতনার মৌলিক অংশ। বিশ্বের মুসলিম উম্মাহর সাথে সংহতিও শতকরা ৯২ ভাগ মুসলিম অধ্যুষিত দ্বিতীয় বৃহত্তম মুসলিম জনগোষ্ঠীর আবাসভূমি বাংলাদেশের নৈতিক দায়িত্ব। মুসলমানদের দায়িত্ব হচ্ছে, ঈমানের দাবি পূরণে সোচ্চার ও সচেষ্ট থাকা। প্রিয়নবীর শান ও মর্যাদা রক্ষার দায়িত্ব আল্লাহ নিজেই নিয়ে রেখেছেন। পবিত্র কোরআনে আল্লাহ বলেছেন, ওয়া রাফানা লাকা জিকরাক। আপনার আলোচনা ও স্মরণকে আমি আল্লাহ সমুন্নত করে রাখব। অন্য আয়াতে মহান রাব্বুল আলামীন বলেছেন, ইন্না শানি আকা হুয়াল আবতার। হে নবী, আপনার প্রতি বিদ্বেষীরাই সমূলে উৎপাটিত হয়ে যাবে।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (16)
আলিফ ৯ জুন, ২০২২, ১:০৪ এএম says : 0
ভারত একটি নিকৃষ্ট দেশ।
Total Reply(0)
আলিফ ৯ জুন, ২০২২, ১:০৭ এএম says : 0
যতসব বাজে কাজ ভারতে। অন্য কোনো দেশে তো কোনো ধর্ম নিয়ে কটাক্ষ করে না। তাহলে তোমরা কেনো কর। এর দ্বারাই বুঝা যায় তারা একটি নিকৃষ্ট জাতি। এ কাজের জন্য তারা যদি জনসম্মুখে মাফ না চায়। তাহলে মুসলিম দেশগুলো যেন তাদের বিচ্ছিন্ন করে দেয়।
Total Reply(0)
Mdelias Elias ৯ জুন, ২০২২, ১০:২৬ এএম says : 0
ইসলাম ধর্ম নিয়ে যারা বাড়াবাড়ি করেছে, তারাই ধ্বংস হয়েছে।
Total Reply(0)
Mamun Hasan ৯ জুন, ২০২২, ১০:২৭ এএম says : 0
ভারতের সংখ্যালঘু হিসেবে মুসলিমরা যেরকম ভাবে নির্যাতিত হচ্ছে বৌদ্ধ খ্রিস্টানরা কিন্তু সেরকম ভাবে নির্যাতিত হচ্ছে না, ভারতের সরকারি মদদে মুসলিম নিধন হচ্ছে.... মুসলিম বিশ্ব তার সামান্য একটা প্রতিক্রিয়া দেখালো মাত্র।
Total Reply(0)
HàBíb Islåm ৯ জুন, ২০২২, ১০:২৭ এএম says : 0
যারা ধর্মীয় বিদ্বেষ এবং হিংসাকে সামনে রেখে ক্ষমতায় রয়েছে তাদের কাছে ভালো কিছু আশা করা নেহাৎ বোকামি!সময় এসেছে বিজেপি তথা ধর্মান্ধ নেতাদের বকয়ট করার।
Total Reply(0)
Monir Ahmed Montu ৯ জুন, ২০২২, ১০:২৮ এএম says : 0
উগ্র হিন্দুত্ববাদী মোদি সরকার একসময়ের ধর্ম নিরপেক্ষ ভারতকে ধংস করে ছাড়বে। তারা মানুষের মধ্যে প্রতিদিন ঘৃণা ও বিদ্যেষের বীজ বপন করে দিচ্ছে। এই কারনেই ভারতের মানুষ কিছু দিনের মধ্যে মোদির হিন্দুত্ববাদ কে ঘৃণা করবে।
Total Reply(0)
Anha Abu ৯ জুন, ২০২২, ১০:২৮ এএম says : 0
ভারতে মুসলমানদের সাথে কি আচরণ করা হয়, তা পুরো বিশ্ব জানে। ইসলাম বিদ্বেষ ভারতে চরম আকার ধারণ করেছে।
Total Reply(0)
A M Tahmid ৯ জুন, ২০২২, ১০:২৮ এএম says : 0
ভারত এখন ১৯৯৪সালের রুয়ান্ডা। রুয়ান্ডা সরকার তাদের নাগরিকদের মধ্যে ঘৃণা ও বিদ্যেষ সৃষ্টি করেছে।যা শেষ পরযন্ত রুয়ান্ডা গনহত্যার নেতৃত্ব দিয়েছে।মোদি একজন বিপদজনক বৃদ্ধ যার মাথা পুরোপুরি নষ্ট হয়ে গিয়েছে।মোদি সরকারকে ভুলে গেলে চলবে না ৭০০কোটি জনসংখ্যার এই বিশ্বে ২০০কোটি মুসলমানদের হৃদয়ের স্পন্দন"" হজরত মুহাম্মাদ (সা) কে নিয়ে কোনধরনের কটুক্তি অথবা কোন ধরনের অপমানজনক কথা মুসলিম বিশ্ব কোনদিন সইবে না এবং মেনে নেবে না।
Total Reply(0)
Shaifullah Mansur ৯ জুন, ২০২২, ১০:২৯ এএম says : 0
বিশ্ব মানবতার মুক্তির দূত হযরত মোহাম্মদ সা. কে নিয়ে বিজেপি মুখপাত্রদ্বয়ের করা বাজে মন্তব্যের তীব্র নিন্দা, ঘৃণা ও প্রতিবাদ জানাই। অবিলম্বে তাদেরকে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি প্রদান ও বিশ্ব মুসলিমের কাছে ক্ষমা প্রার্থনা করার জন্য ভা*রত সরকারের প্রতি আহবান জানাচ্ছি। নইলে এটার চড়া মূল্য দিতে হবে নিশ্চিত।
Total Reply(0)
Rofiqul Islam ৯ জুন, ২০২২, ১০:২৯ এএম says : 0
ইন্ডিয়া বিশ্বের বৃহত্তম গণতন্ত্রের দেশ এ দেশটি তরতর করে এগিয়ে যাচ্ছিল কিন্তু উগ্রবাদী বিজেপি সরকার ক্ষমতায় আসার পর থেকে বহির্বিশ্বে দেশটির জনপ্রিয়তা কমতে শুরু করেছে এর যদি লাগাম টেনে ধরতে না পারে তাহলে দেশটির জন্য অশনিসংকেত অপেক্ষা করছে।
Total Reply(0)
মাহাবুর টেলিকম ৯ জুন, ২০২২, ১০:৩০ এএম says : 0
আমার প্রাণ প্রিয় নবী হযরত মোহাম্মদ( সঃ) এর একজন উম্মত হিসেবে প্রিয়নবীকে কটুক্তির তীব্র নিন্দা জানাচ্ছি।
Total Reply(0)
Nourose Rakhi ৯ জুন, ২০২২, ১০:৩০ এএম says : 0
১০০ কোটি ভারতীয় জনগন এর জন্য দায়ী নই। দায়ী মোদি,যোগী ও অমিত এর মত লোক। তারা ভারতকে বিপদে ফেলে রাজনৈতিক ফায়দা আছিল করতে চাই৷
Total Reply(0)
Abdul Kader ৯ জুন, ২০২২, ১০:৩১ এএম says : 0
আরব দেশগুলোর উচিত ভারতের রেমিট্যান্সযোদ্ধাদের অবিলম্বে দেশে পাঠিয়ে দেওয়া। প্রায় আশি লাখ ভারতীয় এসব দেশে কাজ করে। বিকল্প হিসাবে বাংলাদেশসহ অন্যান্য মুসলিম দেশগুলো থেকে আরো বেশি শ্রমিক নিতে পারে। তাহলে চা ওলার শরীরের তেল কমে যাবে।
Total Reply(0)
Dr. Mohammad Ziaul Hoque ৯ জুন, ২০২২, ৫:৫৭ এএম says : 0
ভারতকে বলা হয় কুসস্কৃতি 3 কুপমুন্ডকতার কেন্দ্রভূমি। চরম ইসলাম-অজ্ঞতা ও মুসলিম বিদ্বেষিতা ভারতীয় সমাজের রন্দ্রে রন্দ্রে প্রবেশ করেছে। রাসূল (সা:)-জ্ঞান বিবর্জিত মূর্খরা ইসলাম-বিদ্বেষীদের কাঁধে ভর করে সহিংসতার উস্কানি দিচ্ছে। ইসলাম-বিদ্বেষী মিথ্যুক মানিক, জননীর উপর নির্যাতনকামি তাণ্ডবী তুরিন, বানরবাদ-প্রচারক জানোয়ার ইকবাল ও সহযোগী শয়তান শাহরিয়ার এবং ইসলাম-বিনষ্টবাদী ও ভারতীয় মুসলিম নিধনকামী নুপুর শর্মাদের লক্ষ-উদ্দেশ্য এক : ইসলাম নির্মূলকরণ। এদের প্রতিরোধ না করলে মুসলিম-প্রধান বাংলাদেশে ইসলাম-উৎখাতের নুপুর বাজতে থাকবে। বাংলাদেশকে ভারতীয়করণ সহজ হবে।
Total Reply(0)
Md. Moallemul Islam ৯ জুন, ২০২২, ৯:২৯ এএম says : 0
Middle east should continue boycott indian product and send back their hindu worker to india, also stop business with them. Then the hindu govt would realize they cross limit !!!!! ALLAH-HU-AKBAR
Total Reply(0)
Yousman Ali ৯ জুন, ২০২২, ৯:৫১ এএম says : 0
যত বাজে কাজ বাজে কথা সব ভারতে দালাল ও চামচাও বটে
Total Reply(0)

এ সংক্রান্ত আরও খবর

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন