প্রশ্ন : ছোট বেলা বাবা-মাকে হারিয়ে একটি বেওয়ারিশ শিশু দত্তক হিসেবে অন্যত্র লালিত-পালিত হয়। এখন বিয়ের সময় তার বাবার নাম উল্লেখের প্রশ্ন দেখা দিয়েছে। তার আসল বাবার নাম জানার কোনোই উপায় নেই। এখন বিয়ের সময় কি পালক পুত্র হিসেবে বর্তমান অভিভাবক-বাবার নাম উল্লেখ করা হবে, না অন্য কোনো পন্থা অবলম্বন করা হবে, জানতে চাই। আহমেদ ইমতিয়াজ, উত্তরা, ঢাকা।
উত্তর : যে কোনো কারণে কারো বাবার নাম জানা সম্ভব না হলে, তাকে বাবার নাম ছাড়াই সব কাজ করতে হবে। অপর কোনো ব্যক্তির নাম বাবা হিসেবে ব্যবহার করা যাবে না। অপরিহার্য প্রয়োজনে অজ্ঞাতনামা বাবার কল্পিত একটি নাম ব্যবহার করা যেতে পারে। এসব ক্ষেত্রে কমন নাম রূপে ‘আব্দুল্লাহ’ নামটির ব্যবহার করা চলে।
প্রশ্ন : আমি পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ পড়ি। কিন্তু নামাজে আরো বেশি মনোনিবেশ ও সময়ের প্রতি গুরুত্ব বৃদ্ধি করার উপায় খুঁজে পাই না। কিছু দিকনির্দেশনা দেবেন কি?
উত্তর : একটানা চল্লিশ দিন জামাতের সাথে, প্রথম তাকবিরসহ পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ আদায় করলে হৃদয়ে নামাজের সময়ের গুরুত্ব সৃষ্টি হবে। সকল নামাজের আগেই এ কথার কল্পনা করে নিতে হবে যে, ‘আমি আল্লাহপাকের সামনে দাঁড়িয়ে রয়েছি। তিনি আমার প্রতিটি রুকু, সেজদা, উঠাবসা দেখছেন।’ এভাবে কিছুদিন নামাজ আদায় করলে, মনোনিবেশ বৃদ্ধি পাবে এবং মানসিকভাবে ইবাদতে নিমজ্জিত হতে পারবেন।
প্রশ্ন : কবরস্থানের আশেপাশে বা কোনো ব্যক্তির কবরের পাশে বসে কুরআন মজিদ তিলাওয়াত করা ঠিক কি-না? আলী মোহাম্মদ, নারায়ণগঞ্জ।
উত্তর : মৃতব্যক্তির রূহে সওয়াব পৌঁছানোর জন্য তার পাশে বসে বা কবরে গিয়ে কুরআন তিলাওয়াতের কোনো প্রয়োজন নেই। এ ধরনের কোনো আচরণও শরিয়তের ঐতিহ্যে নেই। সুন্নত মোতাবেক কবর জিয়ারত ছাড়া কবরস্থানে যাওয়ার কোনোই প্রয়োজন নেই। ঘরে, মসজিদে বা অন্য যে কোনো জায়গায় বসে কুরআন তিলাওয়াতের করেও শুধু নিয়্যতের মাধ্যমেই রূহে সওয়াব প্রেরণ করা যায়।
প্রশ্ন : মানুষের যেমন নির্ধারিত হায়াত বা আয়ু রয়েছে। জীব-জন্তু, পশু-পাখিরও কি নির্দিষ্ট আয়ু আছে? কোনো কারণে কি এ আয়ুষ্কালে হ্রাস-বৃদ্ধি হয়? জসিম তালুকদার, মুক্তাগাছা, ময়মনসিংহ।
উত্তর : প্রতিটি প্রাণী, পদার্থ বা বস্তুরই সৃষ্টি, বিবর্তন, বিকাশ ও ধ্বংস ইত্যাদি বিভিন্ন পর্যায়ের নির্দিষ্ট সময়কাল রয়েছে। অতএব, প্রাণীজগতেরও নির্ধারিত আয়ু রয়েছে। আল্লাহর ইচ্ছায় এতে হ্রাস-বৃদ্ধি হওয়া সম্ভব, তবে আল্লাহপাকের অমোঘ বিধান বা সুন্নাতুল্লাহ এই যে, মৃত্যুর ক্ষেত্রে নির্ধারিত সময়সীমার কোনোরূপ পরিবর্তন আল্লাহ করেন না। হায়াত দারাজ বা দীর্ঘায়ু লাভের যে কথাটি প্রচলিত আছে, তা সময়সীমার দৈর্ঘ্য হিসেবে নয়, বরং এ সময়কাল কার্যকারিতা বা উপকারের প্রবৃদ্ধি হিসেবে। শরিয়তে যাকে হায়াতের বরকত বলা হয়।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন