শুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০, ১৮ রমজান ১৪৪৫ হিজরী

মহানগর

ইমারত নির্মাণ করলে অবশ্যই সোক-ওয়েল ও সেফটিক ট্যাংক থাকতে হবে : মেয়র তাপস

অনলাইন ডেস্ক | প্রকাশের সময় : ১০ জুন, ২০২২, ১০:২৯ পিএম

ঢাকা শহরে যে কোনো ধরনের ইমারত নির্মাণ করলে সেখানে অবশ্যই সোক-ওয়েল ও সেফটিক ট্যাংক থাকতে হবে। না থাকলে সেসব স্থাপনার বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণের হুঁশিয়ারি দিয়েছেন ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের (ডিএসসিসি) মেয়র ব্যারিস্টার শেখ ফজলে নূর তাপস।

আজ সন্ধ্যায় বাংলাদেশ প্রকৌশলী বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) কেন্দ্রীয় মিলনায়তনে বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব প্ল্যানার্স ও বাংলাদেশ প্রকৌশলী বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) নগর ও অঞ্চল পরিকল্পনা (ইউআরপি) বিভাগ কর্তৃক বিশ্ব পরিবেশ দিবস উপলক্ষ্যে আয়োজিত সেমিনারে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ মন্তব্য করেন।

মেয়র বলেন, "ঢাকা সিটি করপোরেশনের যে নর্দমাগুলো করা হয়েছে, সেই নর্দমাগুলো শুধু পানি নিষ্কাশনের জন্য। সেগুলো পয়োবর্জ্য নিষ্কাশনের জন্য নয়। পয়োবর্জ্য নিষ্কাশনের ব্যবস্থা করবে ঢাকা ওয়াসা। যেহেতু ওয়াসা পয়োবর্জ্য নিষ্কাশনের ব্যবস্থা করেনি সেহেতু ঢাকাবাসী পয়োবর্জ্যরে সংযোগগুলো আমাদের নর্দমায় দিয়ে দেয়। যার কারণে এই নর্দমাগুলো থেকে পয়োবর্জ্য খালে গিয়ে পৌঁছায়। ফলে খালের পানি কালো। কিন্তু আমরা সিদ্ধান্ত নিয়েছি, আগামী পহেলা জুলাই থেকে আমরা সেটা কঠোর বাস্তবায়নে যাবো। ঢাকা শহরে যেকোনো ইমারত নির্মাণ করলে তাহলে অবশ্যই অবশ্যই সেখানে সোক ওয়েল থাকতে হবে, সেফটিক ট্যাংক থাকতে হবে। এটা আবশ্যকীয়। এটার আইন আছে। আমরা সেই আইনের কঠোর বাস্তবায়নে যাবো।"
খালগুলো শুধু বৃষ্টির পানি নিষ্কাশনের বদলে পয়োবর্জ্য নিষ্কাশনের মাধ্যম হয়ে দাঁড়িয়েছে বলে আক্ষেপ প্রকাশ করে তিনি বলেন, "আমাদের খালগুলোর যে পানি তা দেখলে আপনাদের কারো ভালো লাগবে না। কারণ আমাদের সকল পয়োবর্জ্য নিষ্কাশন হয় এসব খাল দিয়ে। অথচ খালগুলো দিয়ে বৃষ্টির পানি নিষ্কাশনের কথা। কিন্তু সেখানে বৃষ্টির পানির সাথে পয়োবর্জ্য যোগ হয়ে খালগুলো পয়ঃনিষ্কাশনের একটি ব্যবস্থা হয়ে দাঁড়িয়েছে।"

এ সময় টেকসই শহর ব্যবস্থাপনা নিশ্চিত করতে সকল শহরের ন্যায় দৈনন্দিন ভিত্তিতে ঢাকা শহরেরও সকল ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠান ও কর্মযজ্ঞ শেষ করার একটি সুনির্দিষ্ট সময় থাকা আবশ্যক উল্লেখ করে ব্যারিস্টার শেখ তাপস বলেন, "করোনাকালে জনজীবন যখন স্তব্ধ ছিল তখন প্রকৃতিকে নবউদ্যোমে জেগে ওঠতে আমরা দেখেছি। কারণ প্রকৃতির বিশ্রাম করার সময় লাগে। তেমনি ঢাকা শহরের ব্যবস্থাপনার জন্য সময় প্রয়োজন। আমরা সারাদিনই ঢাকার উপর অত্যাচার করব আর ঢাকা আমাকে সুন্দর পরিবেশ উপহার দেবে, সেটা কামনা করা যৌক্তিক নয়। পৃথিবীর সব শহরেরই একটি সময়সীমা আছে, ঢাকা শহরের কোনো সময়সীমা নেই। সুতারাং এ বিষয়ে আমরা সকলের সাথে আলাপ করছি। আগামী ১ জুলাই থেকে ঢাকা শহর রাত ৮টার পর বন্ধ করার জন্য আমরা উদ্যোগ নেবো। অবশ্য রেস্তোরাঁ ও অত্যাবশ্যকীয় যে বিষয়গুলো রয়েছে সেগুলো নির্দিষ্ট সময়ের জন্য খোলা থাকবে।"
ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশন প্রথমবারের মতো দীর্ঘমেয়াদী যে মহাপরিকল্পনা প্রণয়ন করছে তাতে জলবায়ু পরিবর্তনের অভিঘাত ও অভিযোজন বিবেচনায় নেওয়া হবে বলে মেয়র জানান। সেজন্য সংশ্লিষ্ট সকলের সহযোগিতা ও মতামত গ্রহণ করা হবে বলেও তিনি জানান।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

এ সংক্রান্ত আরও খবর

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন