মহানবী হযরত মুহাম্মদ (সা.) এবং হযরত আয়েশা (রা.) এর বিরুদ্ধে বিজেপির দুই নেতার কুৎসা ইসলাম এবং মুসলমানদের বিরুদ্ধে ভারতের দীর্ঘদিনের লালিত বৈরিতা এবং সহিংসতার মুখোশ আরো আলগা করে দিয়েছে। মুসলমানদের ভারত বিজয় এবং শত শত বছর ধরে ভারতবর্ষ শাসনকে তারা মেনে নিতে পারেনি। ভারতের কারণেই ১৯৪৭ সালে পাঞ্জাব ও বাংলা তথা ভারত বিভক্ত হয়েছে। এই বিভক্তিও তারা মেনে নিতে পারেনি, যদিও বৃটিশের সাথে গলা মিলিয়ে তারা যুগের পর যুগ মুসলমানদের শিক্ষা, সংস্কৃতি ও অর্থনৈতিক উন্নয়নের বিরোধিতা করে আসছিল। ভারতীয় বিশেষ করে ভারতের হিন্দু সম্প্রদায়ের স্ববিরোধিতা নতুন নয়। ১৯০৫ সালে তারাই বঙ্গভঙ্গের বিরোধিতা করেছিল। তারাই আবার ১৯৪৭ সালে বাংলা ভাগের জন্য জবরদস্তি করে।
ভারত বিভক্তির পর তারা মুসলমানদের কোনো অবস্থাতেই সহ্য করতে পারছিল না। তাই ১৯৪৭ সালের পর থেকে এ পর্যন্ত ভারতে হাজার হাজার মুসলিম বিরোধী সাম্প্রদায়িক দাঙ্গা সংঘঠিত হয় এবং অসংখ্য মুসলমান হিন্দু সহিংসতার শিকার হন। এসব দাঙ্গার মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলো (১) ১৯৬৪ সালের কলকাতা দাঙ্গা। এই দাঙ্গায় অন্তত ৮শ’ মুসলমান নিহত হন এবং ১ লক্ষ মুসলমান তাদের ঘরবাড়ি ছেড়ে নিরাপদ আশ্রয়ে অন্যত্র পালিয়ে যান। (২) ১৯৮৩ সালে নেলী ম্যাসাকার। এটি আসামে সংঘঠিত হয়। এই ম্যাসাকারের আরেক নাম বাংগাল খেদাও আন্দোলন। এই ম্যাসাকারে অফিসিয়াল হিসাব মোতাবেক ১৮শ’ বাঙালিকে, হত্যা করা হয়, যাদের প্রায় সকলেই মুসলমান। (৩) ১৯৬৯ থেকে ১৯৮৯ সালে গুজরাট দাঙ্গা। ১৯৬৯ সালে গুজরাট দাঙ্গায় ৯ শতাধিক মুসলমান নিহত হন। ১৯৭০ সালের ৭ ও ৮ মে ভিউআন্দি, জলগাঁও এবং মাহদের দাঙ্গায় অনেক মুসলমান নিহত হন, তাদের ঘর বাড়িতে অগ্নি সংযোগ করা হয় এবং তাদের অনেক মহিলাকে ধর্ষণ করা হয়। (৪) হাশিমপুরা ম্যাসাকার। ১৯৮৭ সালে উত্তর প্রদেশের মিরাট শহরে এই দাঙ্গা সংঘঠিত হয়। অসংখ্য মুসলমানকে হাশিমপুরা মহল্লা থেকে ট্রাকে তুলে মুরাদ নগর এবং গাজীবাদ জেলায় নেওয়া হয় এবং গুলি করে হত্যা করা হয়। (৫) ভাগলপুর দাঙ্গা। বিহার প্রদেশের ভাগলপুরে ১৯৮৯ সালের ২৪ অক্টোবর এই দাঙ্গা শুরু হয় এবং প্রায় দুই মাস ধরে চলে। অন্তত ২৫০টি গ্রামে মুসলমানদের ওপর হামলা চালানো হয়, ১ হাজার মুসলমানকে হত্যা করা হয় এবং ৫০ হাজার মুসলমানকে ঘরবাড়ি থেকে উচ্ছেদ করা হয়। (৬) বম্বে দাঙ্গা। বাবরি মসজিদ ভাঙ্গাকে কেন্দ্র করে এই নারকীয় দাঙ্গা সংঘঠিত হয় ১৯৯২ সালে। বিবিসির ভাষ্য অনুযায়ী, ১৯৯০ সাল থেকেই বাবরি মাসজিদ ভাঙ্গা এবং দাঙ্গা বাঁধিয়ে মুসলমানদের হত্যা করার ষড়যন্ত্র পাকানো হচ্ছিল। বাবরি মসজিদ ভাঙ্গার পর বিবিসির মতে, ৯০০ মুসলমানকে হত্যা করা হয় এবং পুলিশের গুলি বর্ষণে আড়াই হাজার মানুষকে আহত করা হয়। উল্লেখ করা যেতে পারে, তখন ভারতের প্রধানমন্ত্রী ছিলেন নরসীমা রাও। কংগ্রেস আমলে এই মসজিদ ভাঙ্গা ও দাঙ্গা সংঘঠিত হয়, যার হোতা ছিলেন শিবসেনা নেতা বাল ঠাকরে। (৭) গুজরাট দাঙ্গা। এর আগেও একবার গুজরাট দাঙ্গার ঘটনা উল্লেখ করা হয়েছে। কিন্তু ২০০২ সালের গুজরাট দাঙ্গা ছিল বিভৎস ও নারকীয়। তখন গুজরাটের মুখ্যমন্ত্রী ছিলেন আজকের ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। গুজরাটের গোধরা নামক রেল স্টেশনে রেলগাড়িতে কে বা কারা অগ্নি সংযোগ করে। এই অগ্নি সংযোগের দায় সুপরিকল্পিতভাবে মুসলমানদের ঘাড়ে চাপানো হয়। এরই প্রতিশোধ হিসাবে তৎকালীন অনেক ভারতীয় এবং আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমের রিপোর্ট মোতাবেক, মুখ্যমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির উস্কানিতে মুসলমানদের ওপর হামলা করা হয়। এই হামলায় ২ হাজার মুসলমান নিহত হন। এই হামলার পর দেশ এবং বিদেশে নরেন্দ্র মোদি ‘গুজরাটের কসাই’ হিসাবে কুখ্যাতি লাভ করেন। (৮) মুজাফফর নগর দাঙ্গা। ২০১৩ সালে উত্তর প্রদেশের মুজাফফর নগরে মুসলিম বিরোধী এই দাঙ্গা সংঘঠিত হয়। এই দাঙ্গায় কয়েকশত মুসলমান নিহত হন এবং ৫০ হাজারেরও বেশি মুসলমান ঘরবাড়ি থেকে বিতাড়িত হন। (৯) দিল্লী দাঙ্গা। এটি অত্যন্ত সাম্প্রতিক। ২০২০ সালে এই দাঙ্গায় অন্তত ৭০ জন মুসলমান নিহত হন। দিল্লীর মুখ্যমন্ত্রী ছিলেন তখন আম আদমি পার্টির নেতা অরবিন্দ কেজরিওয়াল। কিন্তু দিল্লীর আইনশৃঙ্খলা ছিল কেন্দ্রীয় সরকার অর্থাৎ বিজেপি সরকারের হাতে। পুলিশ এই দাঙ্গা থামানোর পরিবর্তে নিজেরাও দাঙ্গায় যোগ দেয়। ভারতে সংঘঠিত হাজার হাজার মুসলিম বিরোধী দাঙ্গার মধ্যে আমরা মাত্র কয়েকটি উল্লেখ করলাম। এতে স্পষ্ট যে, ভারতের হিন্দু সম্প্রদায়ের মধ্যে সংখ্যাগুরু অংশের মাইন্ডসেট মুসলিম বিরোধী।
॥দুই॥
এই মুসলিম বিরোধিতার নজির আরো অনেক ঘটনায় পাওয়া যায়। ভারতের ইতিহাস মুসলমানদেরকে কোণঠাসা করা অথবা বিতাড়নের ইতিহাস। ভারতের ইতিহাস মুসলমানদের কৃষ্টি ঐতিহ্য, সংস্কৃতি, স্থাপত্য ও সভ্যতা ধ্বংস করা অথবা মুছে ফেলার ইতিহাস। কাশ্মীরের কাহিনী এখানে নতুন করে আনলাম না। কারণ এই ঘটনা কম বেশি সকলেই জানেন। কিন্তু সর্বশেষ ২ বছর আগে যেটা করা হয়েছে সেটি জাতিসংঘ এবং বিশ্ব সম্প্রদায়ের কাছে ভারতের দেওয়া ওয়াদার চরম বরখেলাপ। ভারত অধিকৃত কাশ্মীরের বিশেষ মর্যাদা বিলোপ করা হয়েছে এবং অঞ্চলটিকে দুই ভাগে ভাগ করা হয়েছে। মানুষ এটাও জানে যে, কীভাবে নাগরিক পুঞ্জি এবং নাগরিক আইন সংশোধনের নামে ভারতীয় মুসলমানদেরকে দ্বিতীয় শ্রেণীর নাগরিকে পরিণত করা হয়েছে। ভারত সরকার অফিসিয়ালি ঘোষণা করেছে যে, বাংলাদেশ, পাকিস্তান এবং আফগানিস্তান থেকে যেসব মানুষ ভারতে আসবে তাদের মধ্যে যারা হিন্দু তাদেরকে নাগরিকত্ব দেওয়া হবে। আর যারা মুসলমান তাদেরকে বিদায় করা হবে।
কট্টর হিন্দুত্ববাদী সংগঠন রাষ্ট্রীয় স্বয়ংসেবক সংঘ বা আরএসএস। এটি হলো ভারতকে হিন্দুরাষ্ট্র বানানোর প্যারেন্ট সংগঠন। এর শাখা প্রশাখা হলো বিজেপি, বজরং দল, কর সেবক, যুব বাহিনী ইত্যাদি। উত্তর প্রদেশের বর্তমান মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথ হলেন আরএসএসের একজন ক্যাডার। এই নেতা উত্তর প্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী হওয়ার পর থেকেই একের পর এক মুসলিম বিরোধী তাণ্ডব চালিয়ে যাচ্ছেন। গোমাংস ভক্ষণ এবং ঘরে গোমাংস রাখার তথাকথিত অপরাধের কারণে একাধিক মুসলমানকে নির্যাতন, প্রহার এবং হত্যা পর্যন্ত করা হয়েছে। তারা গরুকে গো মাতা বলে মনে করে। এটি তাদের নিজস্ব ব্যাপার। তাদের এই বিশ্বাসের ব্যাপারে মুসলমানদের কোনো কিছু বলার নাই এবং বলেও না। কিন্তু এই ভারত যখন গোমাংস রপ্তানী করে লক্ষ কোটি টাকার বিদেশী মুদ্রা আয় করে তখন এই গোনিধন কোথায় যায়, তার কোনো জবাব তারা দিতে পারে না। এ ধরণের ঘটনা আরো অনেক আছে। যেগুলো সময় হলে আমরা আরো বেশি করে বর্ণনা করবো। এখন যেটি না বললেই নয়, সেটি হলো ‘লাভ জিহাদ’। ভারতে কেন, সারা পৃথিবীতে নরনারীর মধ্যে প্রেম-ভালবাসা সতত সঞ্চারমান। তেমনি দুইটি ধর্মের নরনারীর মধ্যে প্রেম ভালবাসাও নতুন কিছু নয়। কোনো মুসলিম যুবক যদি কোনো হিন্দু যুবতীর প্রেমে পড়ে এবং তাকে বিয়ে করে তাহলে পবিত্র ইসলাম ধর্ম মোতাবেক ঐ হিন্দু নারীকে মুসলমান হতে হবে। তেমনি কোনো মুসলিম নারী যদি কোনো হিন্দু পুরুষের প্রেমে পড়ে তাহলে বিয়ে করতে গেলে ঐ হিন্দু পুরুষটিকে মুসলমান হতে হবে। প্রেমে পড়ে বিয়ে এবং ধর্মান্তরের ঘটনা ভারতে অনেক ঘটেছে। কিন্তু উত্তর প্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী বিজেপি নেতা যোগী আদিত্যনাথ বলছেন, মুসলিম নর বা নারীর হিন্দু নর বা নারীর প্রেমে পড়া একটি ফাঁদ। এর মাধ্যমে তারা হিন্দুদের ইসলাম ধর্মে ধর্মান্তরিত করছে। এই কারণে মুসলমানদের প্রেম বা ভালবাসাকে বলা হচ্ছে জিহাদ। তাই তিনি একটি আইন করেছেন, যার নাম লাভ জিহাদ। এই আইন মোতাবেক, হিন্দু নরনারী নয়, মুসলিম নরনারীর বিভিন্ন শাস্তির বিধান রয়েছে।
॥তিন॥
এখন আমরা দেখাতে চেষ্টা করবো, কীভাবে মুসলিম স্থাপত্য ও সভ্যতার নাম নিশানাকে মুছে ফেলে দেওয়ার কি ভয়াবহ ষড়যন্ত্রে মেতে উঠেছে নরেন্দ্র মোদি ও অমিত শাহের বিজেপি সরকার। আজকের এই কলামে সবকিছু বলা সম্ভব হবে কিনা জানি না। তবে আজকে স্থান সংকুলান না হলে আগামী মঙ্গলবার আমরা দেখাতে চেষ্টা করবো, কিভাবে মোগল সম্রাট আওরঙ্গজেবের কবর ধ্বংস করার চেষ্টা করা হচ্ছে। কীভাবে কুতুব মিনারকে বিষ্ণু স্তম্ভ করার অপচেষ্টা হচ্ছে। কীভাবে মথুরার শাহী ঈদগাহ্ মসজিদের ১৩ একর জমি গ্রাস করার চেষ্টা করা হচ্ছে। কিভাবে পৃথিবীর সপ্তম আশ্চর্য তাজমহলকে তেজ মহালয় বানানোর ষড়যন্ত্র করা হচ্ছে। জ্ঞানবাপী মসজিদে শিবলিঙ্গ পাওয়া গেছে, এই জিগির তুলে কীভাবে বাবরি মসজিদের মত জ্ঞানবাপী মসজিদকেও মন্দিরে রূপান্তরের চক্রান্ত করা হচ্ছে। এগুলোর একটি সংক্ষিপ্ত সার, ইনশাআল্লাহ, আগামী মঙ্গলবার দেওয়ার চেষ্টা করবো।
আরো কথা আছে। কাশ্মীর ফাইলস। কীভাবে হিন্দু পন্ডিতদের ওপর কাশ্মীরি মুসলমানদের অত্যাচারের কাল্পনিক কাহিনী বানিয়ে একটি সিনেমা তৈরি করা হয়েছে এবং রাষ্ট্রীয় পৃষ্ঠপোষকতায় সেই সিনেমা সারা ভারতে চালানো হচ্ছে। আমরা আরো দেখানোর চেষ্টা করবো কীভাবে এলাহাবাদ, ফয়েজাবাদ, মুজাফফর নগর, আহমেদাবাদ, আগ্রা প্রভৃতি জগৎ বিখ্যাত শহরের মুসলিম নামকে হিন্দু নামে পরিণত করার চেষ্টা করা হচ্ছে। কীভাবে ৪৪টি রাস্তার নাম বদলে হিন্দু ব্যক্তিদের নামে করার ভয়াবহ ষড়যন্ত্র করা হচ্ছে। আরো অনেক কথা আছে। এক কথায় ভারতবর্ষ শুধুমাত্র হিন্দুদের, এই তত্ত্ব প্রতিষ্ঠার ভয়ঙ্কর চেষ্টা চলছে।
॥চার॥
আমরা শুরু করেছিলাম মহানবী (সা.) এবং হযরত আয়েশা (রা.) এর বিরুদ্ধে বিজেপির রাষ্ট্রীয় মুখপাত্র নূপুর শর্মা এবং বিজেপির দিল্লী শাখার মিডিয়া ইনচার্জ নবীন জিন্দলের কটূক্তি নিয়ে। এই স্পর্ধিত উক্তি বিজেপি হাই কমান্ডের সবুজ সংকেত ছাড়া করা হয়নি বলে ধারণা করার যথেষ্ট কারণ আছে। একের পর এক ইসলাম ও মুসলিম বিরোধী কর্মকাণ্ড চালিয়ে মোদি সরকার। কিন্তু কোনো মহল থেকে কোনো বড় বাধার সম্মুখীন তারা হয়নি। তাই তারা মনে করেছিল যে, এখন সময় হয়েছে ইসলামের মহানবী (সা.) এবং তার আত্মীয়-স্বজনদের সরাসরি আঘাত করার। ভারত সরকার দেখেছে যে, কাশ্মীরে তারা মুসলমানদের ওপর জুলুমের স্টিম রোলার চালাচ্ছে। আমেরিকা-রাশিয়া বাদ। মুসলিম জাহান থেকেও শক্ত প্রতিবাদ আসেনি। তাই এবার ইসলামের রাসূল (সা.)কে আঘাত করার স্পর্ধা। হয়তো এবারও তারা পার পেয়ে যেতো। কিন্তু ৫৬টি মুসলিম দেশের মধ্যে ৫৫ দেশই এই ভারতীয় স্পর্ধার বিরুদ্ধে গর্জে উঠেছে। এ সম্পর্কে প্রতিদিনই আপনারা পত্র পত্রিকায় খবরা খবর পাচ্ছেন। তাই আমি আর সেগুলো রিপিট করতে চাই না।
কিন্তু যে দেশের ৯০ শতাংশই মানুষই মুসলমান, একমাত্র সেই বাংলাদেশই এ ব্যাপারে মুখ খোলেনি। একটি ক্ষীণ প্রতিবাদও তাদের কণ্ঠ দিয়ে উচ্চারিত হয়নি। সরকারি দল কেন নীরবতা অবলম্বন করেছে তার কারণটি অত্যন্ত দুর্বোধ্য। ধারণা করা যেতে পারে, ক্ষমতায় কন্টিনিউ করার অভিলাষই এই দলের ঠোঁট সেলাই করে রেখেছে। এটি দুর্ভাগ্যজনক এবং একই সাথে নিন্দনীয়ও বটে। তবে খুশির বিষয়, এদেশের মানুষ বসে থাকেনি। ইসলামী দলসমূহের ডাকে হাজার হাজার মানুষ ভারতীয় ঔদ্ধত্যের প্রতিবাদে গর্জে উঠেছেন এবং রাস্তায় নেমেছেন। কিন্তু ইতোমধ্যেই বংলাদেশব্যাপী সাধারণ মুসলমানরা যেভাবে প্রতিবাদে ফুঁসে উঠেছেন সেটা দেখে বহির্বিশ্ব বুঝে গেছে, ভারত বাঙালি মুসলমানদের কলিজায়ও আঘাত করেছে। মুসলমানরা বিশ্বাস করে যে, আল্লাহর কাজ আল্লাহই করেন। তাই এবার সর্বপ্রথম বাংলাদেশ ছাড়া ৫৫টি দেশ ভারতের বিরুদ্ধে সগর্জন প্রতিবাদ করেছে। আর তাইতো বিজেপির দুই নেতা নূপুর ও জিন্দলকে সাসপেন্ড করতে বাধ্য করা হয়েছে এবং পরে তাদের বিরুদ্ধে এফআইআর করা হয়েছে। মুসলিম জাহানের এই নব উত্থানকে আমরা জানাই অভিনন্দন। আজকের মত শেষ করতে চাই জাতীয় কবি কাজী নজরুলের সেই অমর কবিতার চারটি লাইন দিয়ে:
রাসূলের অপমানে যদি
কাঁদে না তোর মন
মুসলিম নয় মুনাফিক
তুই রাসূলের দুশমন।
Email: journalist15@gmail.com
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন