বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১, ১৫ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

সারা বাংলার খবর

বন্ধুর প্রেমিকাকে তুলে আনতে যেয়ে প্রেমিকের বন্ধু খুন

মাগুরা থেকে স্টাফ রিপোর্টার | প্রকাশের সময় : ১৫ জুন, ২০২২, ৪:১৩ পিএম

বন্ধুর প্রেমিকার বিয়ে ঠিক হয়েছে সে খবর পেয়ে বন্ধুর পরামর্শে রাতের বেলা মেয়েকে বাড়ি থেকে তুলে আনতে যায় পাঁচ বন্ধু

এ সময় মেয়ের বাড়ির লোকজনের মারধরে গুরুতর জখম হয়ে প্রাণ দিতে হয় রাসেল (২২) নামে এক যুবকের।

এ ঘটনায় আহত হয়ে প্রেমিক মঞ্জুরুল জোয়াদ্দার (২২) ও তার ওপর বন্ধু রাজু আহমেদ (২৩) বর্তমানে তারা মাগুরা ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট সদর হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।

নিহত রাসেল মাগুরার শ্রীপুর উপজেলার শ্রীকোল ইউনিয়নের বরিশাট গ্রামের দলিল শেখের ছেলে বলে জানা গেছে।

ঘটনার বিষয়ে নিহত রাসেলের বন্ধু মঞ্জুরুল জোয়াদ্দার জানায়, ‘দীর্ঘদিন ধরে পার্শ্ববর্তী ছোনগাছা গ্রামের একটি মেয়ের সঙ্গে তার প্রেমের সম্পর্ক রয়েছে। মঙ্গলবার মেয়েটি তার এক বন্ধুর মাধ্যমে খবর দেয় তার অভিভাবক তাকে অন্য ছেলের সঙ্গে বিয়ে দিয়ে দিচ্ছে। এ খবর জানার পরে তারা মঙ্গলবার সন্ধ্যার পরে পাঁচ বন্ধু দুই মোটরসাইকেলে মেয়েটির বাড়িতে যায় তার সঙ্গে দেখা করতে। এসময় কিছু বুঝে ওঠার আগেই তাদের বাড়ির ও আশেপাশের লোকজন লাঠিসোটা দিয়ে তাদের মারপিট করে। এতে সেসহ মোট তিনজন গুরুতর আহত হয়। পরে কোনোভাবে তারা সেখান থেকে পালিয়ে আসে। প্রথমে তাদের মাগুরা সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। রাসেলের অবস্থা খারাপ হলে তাকে ঢাকা মেডিকেল কলেজে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় বুধবার সকালে তার মৃত্যু হয়।’

রাসেলের মৃত্যুর বিষয়ে চাচাতো ভাই ওমর শেখ বলেন, তারা এ হত্যাকাণ্ডে বিচার চায়।

ঘটনার বিষয়ে মেয়েটির বাবা দিদার মণ্ডল বলেন, ‘দীর্ঘদিন ধরে মঞ্জুরুল তার মেয়েকে ইভটিজিং করছিল। স্কুলে যাওয়ার সময় সে প্রায়ই ততার মেয়েন পথরোধ করে প্রেমের প্রস্তাব দিতো। এজন্য বেশ কিছুদিন তার স্কুলে যাওয়া বন্ধ ছিল। তারা মান সম্মান বাঁচাতে মেয়ের বিয়ে ঠিক করেছিল। একথা জানতে পেরে মঞ্জুরুল সাঙ্গোপাঙ্গ নিয়ে ত্দেন বাড়িতে এসে তার মেয়েকে জোরপূর্বক টেনে হেঁচড়ে তুলে নিয়ে যাচ্ছিলো। এ সময় রাতের বেলায় কে বা কারা তাদের মেরেছে সেটা তারা বলতে পারেনা।

শ্রীপুর থানার ওসি লিটন সরকার জানান, ‘প্রেমঘটিত বিষয়ে মারামারির কারণে একজনের মৃত্যুর খবর তারা জানতে পেরেছে। এখন পর্যন্ত কোনো লিখিত অভিযোগ পায়নি। বিষয়টি পুলিশ খতিয়ে দেখছে।’

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

এ সংক্রান্ত আরও খবর

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন