বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১, ১৫ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

সাহিত্য

কবিতাবলী

| প্রকাশের সময় : ১৭ জুন, ২০২২, ১২:০০ এএম

অশরী তুমি

মিশকাত উজ্জ্বল
কর্ম কোলাহলময় নাগরিক জীবন যান্ত্রিক শহরের
শত আয়োজন ব্যস্ততায় নিজেই যেন
হারিয়ে যাই সময়ের চোরাবালিতে।
অনুক্ষণ অনুভবে তবু তুমি...
পরীক্ষা আসন্ন কর্তব্যের ভারে নিষ্পলক নির্ঘুম দুচোখ; জোরপূর্বক হলেও
তাই কিছুটা সময়
তোমায় ভুলে থাকতে চাই।
হৃদ-অলিন্দের প্রবেশদ্বারে মোতায়েন
রেখেছি সহস্র প্রহরী।
অথচ কীভাবে যে হৃদয়-দূর্গে হানা দাও অশরীরী তুমি!

 

একটি স্বপ্নের গল্প
ওলি মুন্সী
আজ যাহা স্বপ্নে দেখিয়াছি শাপু
মায়ের সম্মতিক্রম এক ষোড়শী,
সবুজ বেষ্টনী গ্রামের নিরব একটি ঘর। মেঘবতী চুল সর্পের মতো মেরুদণ্ডহীন শরীর
আমি টগবগে তরুণ,
হাতের স্পর্শ কিছু লাজুক ভালবাসা। এই ভালবাসায় যদি তোমার ভেতর ঝড় বৃষ্টি নেমে হয় ইতালির রোম বিশ্বাস করো শাপু আমি ওর ছিলাম যে সময় হয়েছিল একটু শান্তির ঘুম।

 


বাবা ও বট
আহমাদ কাউসার
ঝুলানো দাড়ি শান্তশীতল ছায়া
পাখির উড়াউড়ি ঝড়ের কষাঘাত
খরতাপের চামড়াপোড়া দহন নিয়ে সহাস্যে বটগাছ।
নেই কোন ক্ষেদ,বিলাসী জীবনের দুষ্প্রাপ্য চাওয়া বিলিয়ে যাওয়াই পরম ধর্ম।
তাকে জড়িয়ে বেড়ে উঠে বৈচিত্রময় লতিকা এগিয়ে যায় কাঙ্খিত লক্ষ্যে
ঠিক বাবার মত সুখেদুঃখে দাঁড়িয়ে থাকে বটের মত ছায়া বিলিয়ে যায় নিরন্তর
তাকে ঘিরে উড়াউড়ি করে সন্তানের উজ্জ্বল
স্বপন জড়িয়ে ধরে বেড়ে উঠি আমরা
পৌছে যাই অভীষ্ট লক্ষ্যে।

 

স্পর্শের আবর্তে
তৌফিকা আজাদ
মেঘের অস্তিত্বে আমি বৃষ্টি জমা রাখি বাতাসে জলের আবরণ কতই গায়ে মাখি,
তোমাকে আমি ছুঁয়ে যাই অনায়সে স্পর্শকাতর হাতের রেশমি পরশে কাঙ্খিত হৃদয় তুমি বুঝতে পারো কি? তোমার সর্বাঙ্গে জলের চতুরঙ্গ ঢেউ তুলে ;
বাতাসে শিহরিত হও তুমি উঞ্চতায় মাখো ভেজা শ্রাবণ।
প্রতীক্ষার প্রমিত সময় হয়ে ওঠে
মাতাল, অনাহারী রাতে জোছনা বিলায় তোমার শরীরে বল্কলে জোয়ার স্পর্শ কাতর আঙ্গুলের রেশমী পরশ!

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন