স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রী মো. তাজুল ইসলাম বলেছেন, খরস্রোতা আমাজান নদীর ওপর কেউ সেতু নির্মাণের সাহস না করলেও বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনা প্রমত্তা নদী পদ্মার বুকে সেতু নির্মাণ করে বিশ্ববাসীকে অবাক করে দিয়েছেন।
তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা পদ্মাসেতু করতে গিয়ে দেশী-বিদেশী অনেক প্রতিকূলতা ও ষড়যন্ত্র মোকাবেলা করেছেন। সকল প্রতিকূলতার মধ্যেও তাঁর দৃঢ়চেতা মনোবল ও অসীম সাহসিকতায় পদ্মাসেতু বাস্তবে রূপ নিয়েছে এবং তা চালু হওয়ার অপেক্ষায় রয়েছে।
তাজুল ইসলাম আজ দুপুরে মাদারীপুর জেলার শিবচরের কাঁঠালবাড়ী ঘাটে আগামী ২৫ জুন বহুল প্রতীক্ষিত স্বপ্নের পদ্মাসেতুর উদ্বোধনের জনসভাস্থল পরিদর্শনকালে এসব কথা বলেন।
এ সময় জাতীয় সংসদের চীফ হুইপ নুর-ই-আলম চৌধুরী, স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তরের প্রধান প্রকৌশলী সেখ মোহাম্মদ মহসীন, জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তরের প্রধান প্রকৌশলী মো. সাইফুর রহমানসহ অন্যান্যরা উপস্থিত ছিলেন।
উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রায় ১০ থেকে ১৫ লাখ লোকের সমাগম হবে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করে তাজুল ইসলাম বলেন, জনসভায় আসা মানুষের নিরাপত্তা ও সুপেয় পানি সরবরাহ ও স্যানিটেশনসহ সকল প্রকার সেবা নিশ্চিত করতে সরকারের সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তা-কর্মচারীরা নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছে।
তিনি বলেন, এলক্ষ্যে সাবমার্সিবল পাম্পসহ দু’টি উৎপাদন নলকূপ স্থাপন, ১২টি জলাধার স্থাপনের মাধ্যমে পাঁচশ’টি ট্যাপের মাধ্যমে চলমান পাউপড ওয়াটার সরবরাহ করা হবে।
এ বিষয়ে তিনি আরো বলেন, এছাড়াও ৬০ হাজার বোতল পানি, ২০টি ভিআইপি টয়লেট এবং জনসাধারণের জন্য চলমান পানিসহ পাঁচশ’ টয়লেট স্থাপন করা হবে। এ বিষয়ে স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তর কাজ করছে।
স্থানীয় সরকার মন্ত্রী জানান, পদ্মাসেতু নির্মাণে দক্ষিণ বঙ্গের সঙ্গে ঢাকাসহ দেশের অন্যান্য অঞ্চলের সংযোগ স্থাপিত হবে। এতে শুধু দক্ষিণাঞ্চলেরই নয় সারাদেশের অর্থনৈতিক কর্মকান্ডে ব্যাপক পরিবর্তন আসবে।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন