সাংহাইয়ের জংনান শিপইয়ার্ড থেকে নিজেদের তৃতীয় ও সবচেয়ে উন্নত বিমানবাহী রণতরী পানিতে নামিয়েছে চীন। দেশটির দক্ষিণপূর্বাঞ্চলের উপকূলীয় প্রদেশ ফুজিয়ানের নামে নামকরণ করা এ রণতরীটি শুক্রবার চালু করা হয়েছে, জানিয়েছে চায়না গ্লোবাল টেলিভিশন নেটওয়ার্ক (সিজিটিএন)। পুরোপুরি নিজেদের নকশায় নির্মিত ৮০ হাজার টনের ফুজিয়ান সমতল ডেকসহ অত্যাধুনিক ইলেকট্রোম্যাগনেটিক ক্যাটাপল্ট এয়ারক্রাফট লঞ্চ সিস্টেম ও ইন্টারসেপশন সুবিধায় সজ্জিত। চীনের স্থানীয় সময় সকাল ১১টায় একটি অনুষ্ঠানের মধ্য দিয়ে রণতরীটি পানিতে নামানো হয়। অনুষ্ঠানে চীনের কমিউনিস্ট পার্টির কেন্দ্রীয় কমিটির রাজনৈতিক ব্যুরোর সদস্য এবং কেন্দ্রীয় সামরিক কমিশনের (সিএমসি) ভাইস চেয়ারম্যান শু কিলিয়াং উপস্থিত ছিলেন। তিনি রণতরীটি গ্রহণ করা চীনা নৌবাহিনীর একটি ইউনিটের কাছে শংসাপত্র হস্তান্তর করেন। বার্তা সংস্থা রয়টার্স জানায়, চীনের নৌবাহিনীর কয়েক ডজন সদস্য জাহাজটির সামনে লাইন ধরে দাঁড়িয়ে জাতীয় সংগীত পরিবেশন করে। চীনের নৌবাহিনীতে এর আগে যুক্ত হওয়া বিমানবাহী রণতরী শ্যানডং ও লিয়াওনিং এর সঙ্গে বহরে যোগ দেবে নবনির্মিত ফুজিয়ান। শ্যানডং ২০১৯ সালের শেষ দিকে চীনের নৌবাহিনীতে যুক্ত হয় আর সাবেক সোভিয়েত ইউনিয়নের আমলে নির্মিত লিয়াওনিংকে ১৯৯৮ সালে ইউক্রেইনের কাছ থেকে কিনে সংস্কার করে নেয় চীন। এখন শুধু যুক্তরাষ্ট্রেরই চীনের চেয়ে বেশি বিমানবাহী রণতরী আছে। তবে দ্বিতীয় স্থানে থাকলেও চীনের চেয়ে যুক্তরাষ্ট্রের বিমানবাহী রণতরী অনেক বেশি, ১১টি। ক্রিয়াশীল থাকা দুটি বিমানবাহী রণতরী নিয়ে চীনের পরে আছে যুক্তরাজ্য। দক্ষিণ চীন সাগরের মালিকানার দাবি ও তাইওয়ান নিয়ে চীনের সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের উত্তেজনা ক্রমেই বাড়ছে। এ উত্তেজনার সঙ্গে পাল্লা দিয়ে নিজেদের সামরিক শক্তিও বাড়িয়ে চলছে চীন, যার সর্বশেষ নজির এই ফুজিয়ান। তাইওয়ান প্রণালীর একপাশে চীনের ফুজিয়ান প্রদেশে আর অপরপাশে তাইওয়ান দ্বীপ। চীনের গণমুক্তি ফৌজের ইস্টার্ন থিয়েটার কমান্ডের সদরদপ্তর এই ফুজিয়ান প্রদেশেই অবস্থিত। সিজিটিএন।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন