ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ে (ইবি) ছাত্রলীগ কর্মী মুন্সী কামরুল হাসান অনিক কর্তৃক দলীয় অপর এক সিনিয়র কর্মীকে মারধরের অভিযোগ উঠেছে। শনিবার (১৮ জুন) দুপুর ২টা ৪০ মিনিটে বিশ্ববিদ্যালয় বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান হলের (আন্তর্জাতিক ব্লক) ৪০৯ নাম্বার রুমে এ ঘটনা ঘটে বলে জানান ভুক্তভোগী ওই ছাত্রলীগ কর্মী যোবায়ের রহমান। সে বিশ্ববিদ্যালয় আরবী ভাষা ও সাহিত্য বিভাগের ২০১২-১৩ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী ও শাখা ছাত্রলীগের সাবেক বন ও পরিবেশ বিষয়ক উপ-সম্পাদক ছিলেন বলে জানা গেছে।
ভুক্তভোগী জানান, হঠাৎই বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগ নেতা ফয়সাল সিদ্দিকী আরাফাত এর কর্মী মুন্সী কামরুল হাসান অনিক, সোহান, রাফিজসহ আমার রুমে এসে আমাকে বেধড়ক মারপিট করেছে এবং আমাকে মারার হুমকি দিয়েছে। বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগ নেতা মিজানুর রহমান লালনের রাজনীতি করায় আমাকে এ মারপিট করা হয়েছে। এমতাবস্থায় আমি আমার জীবন নিয়ে শঙ্কিত। ছাত্রলীগের একজন কর্মী হিসেবে কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক এর প্রতি দৃষ্টি আকর্ষণ করছি এবং সুস্থ বিচার করার দাবি জানাচ্ছি।
অভিযুক্ত মুন্সী কামরুল হাসান অনিক বলেন, ঘটনাটির সূত্রপাত সিটে থাকাকে কেন্দ্র করে। যোবায়ের যে রুমে থাকতো ওই রুমে আগে থেকেই গণিত বিভাগের ২০১৪-১৫ শিক্ষাবর্ষের জুলকার-নাইম নামে এক শিক্ষার্থী থাকতো। তার ক্লাস-পরীক্ষা শেষ হওয়ায় সে তার ছোট রাফিজকে রুমের চাবিটি দিয়ে যায়। ওই রুমে রাফিজ উঠতে গেলে যোবায়ের তার সাথে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করে। ঘটনাটি জানার পরে আমি সেখানে যাই। সেখানে গেলে সে আমাকেও গালিগালাজ করে। আর মারধরের যে অভিযোগ করেছে তা সম্পূর্ণ ভিত্তিহীন। তাকে কোন ধরনের আঘাত করিনি। আমি শুধু সেখানে বিষয়টি সমাধানের জন্যই গিয়েছিলাম।
বঙ্গবন্ধু হলের প্রভোস্ট প্রফেসর ড. মাহবুবুল আরফিন বলেন, বিষয়টি আমি জেনেছি। হল প্রভোস্ট বরাবর অভিযোগ করলে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয় প্রক্টর প্রফেসর ড. জাহাঙ্গীর হোসেন বলেন, ভুক্তভোগী ও অভিযুক্ত তারা দুইজনই বিশ্ববিদ্যালয়ের অছাত্র। তারা হলে থেকে ক্যাম্পাসের ভিতরে এধরনের ঘটনা ঘটাবে এটা অত্যন্ত দুঃখজনক। বিষয়টি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান হলের প্রভোস্ট সমাধানের চেষ্টা করছেন।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন